‘মানকাডিং করলে ইংল্যান্ডের সঙ্গেই করা উচিত’

মানকাডিং নিয়ে ইংল্যান্ডকে খোঁচা দেওয়ার সুযোগ ছাড়েননি এলিস পেরিক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া

মানকাডিং শব্দটার সঙ্গে ক্রিকেটভক্তদের অপরিচিত থাকার কোনো সুযোগ নেই। নন–স্ট্রাইক প্রান্তে ব্যাটসম্যান আগেভাগেই ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার পর রানআউট হওয়ার এ ঘটনা নতুন করে আলোচনায় এসেছে দীপ্তি শর্মার সৌজন্যে।

লর্ডসে ইংল্যান্ড ও ভারতের শেষ ওয়ানডেতে ৪৭ রানে অপরাজিত থাকা চার্লি ডিনকে এভাবে আউট করেছিলেন দীপ্তি। এর পর থেকেই শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক, বিষয়টির পক্ষে-বিপক্ষে কথা বলছেন অনেকেই। আলোচনাটা সেই পুরোনো ‘ক্রিকেটীয় চেতনা বনাম ক্রিকেটীয় আইন’ ঘিরেই। অনেকেই আবার পুরো ঘটনাটিকে দেখছেন ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের বাড়াবাড়ি হিসেবে।

আরও পড়ুন

জস বাটলার বলছেন, বিশ্বকাপ ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কাউকে তাঁর দলের বোলার এভাবে আউট করলেও ওই ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে আনবেন তিনি। আর অস্ট্রেলিয়া অলরাউন্ডার এলিস পেরি বলছেন, মানকাডিং কারও সঙ্গে করলে সেটি ইংল্যান্ডের সঙ্গেই করা উচিত!

ইংল্যান্ডের চার্লি ডিনকে মানকাডিং করেন ভারতের দীপ্তি শর্মা। এই আউট নিয়েই বিতর্ক হচ্ছে
ছবি: টুইটার

এ বিতর্কের মাঝে বিষয়টি নিয়ে একটু মজা করার সুযোগ ছাড়েননি পেরি। তাঁর মনে হচ্ছে, মানকাডিং এমনিতে ‘ভালো’ কিছু না হলেও সেটি ইংল্যান্ডের সঙ্গে করাই যায়! দ্য গ্রেড ক্রিকেটার পডকাস্টে পেরি হাসতে হাসতে বলেছেন, ‘আমার মনে হয়, মানকাডিং খেলার জন্য ভালো নয়, কিন্তু এভাবে কাউকে আউট করলে সেটা ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই করা উচিত।’

আরও পড়ুন

সম্প্রতি এ নিয়ে কথা বলেছেন সীমিত ওভারে ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জস বাটলার ও সহ-অধিনায়ক মঈন আলীও। বরাবরের মতোই এর বিপক্ষে কথা বলেছেন তাঁরা।

২০১৯ আইপিএলে বাটলারকে নন স্ট্রাইক প্রান্তে রানআউট করেছিলেন অশ্বিন
ছবি: বিসিসিআই

টক স্পোর্টসকে এ নিয়ে বাটলার বলেছেন, ‘(অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ফাইনালে এমন হলেও) আমি ব্যাটসম্যানকে ডেকে পাঠাব। ক্রিকেটে এটা কেউই দেখতে চায় না। কারণ, এমন কিছু ঘটলেই সেটা নিয়ে বিতর্ক হয়। ক্রিকেটে শুধু লড়াইটা ব্যাট-বলের মধ্যেই হওয়া উচিত।’

এর আগে মানকাডিংয়ের শিকার হয়ে আলোচনায় এসেছিলেন বাটলারও। আইপিএলে তাঁকে এভাবে আউট করেছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। যে ঘটনা নিয়ে পরে জলঘোলা কম হয়নি।

আরও পড়ুন

বাটলারের মতো প্রায় একই কথা বলেছেন মঈন আলীও। পাকিস্তান সফরে বাটলারের চোটে ইংল্যান্ডকে নেতৃত্ব দেওয়া মঈন ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য টেলিগ্রাফকে বলেছেন, ‘মানকাডিং আমার বিষয় নয়। আমার মনে হয় না, কারও প্রতি খুব রাগ না হলে আমি কখনোই মানকাডিং করব। এটা ক্রিকেটের আইনের মধ্যেই আছে, যারা করছে তারাও আইন মেনেই করছে। কিন্তু আমি আশা করছি, ক্রিকেটে এটা নিয়মিত যেন দেখা না যায়।’

এত দিন আইনে বৈধ থাকলেও মানকাডিংকে ৪১ নম্বর ধারায় ‘আনফেয়ার প্লে’ হিসেবে ধরা হতো। তবে সম্প্রতি এটিকে রানআউটের আইনের আওতায় আনা হয়েছে। তবে নতুন নিয়মেও ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা মানকাডিং আউটের সুযোগ নেন কি না, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

আরও পড়ুন