শুধু বাবরকে দোষারোপ করা হচ্ছে কেন
সপ্তাহ তিনেক আগেও পাকিস্তান দল নিয়ে সমর্থক ও সাবেক ক্রিকেটারদের মধ্যে বেশ উচ্ছ্বাস ছিল। বাবর আজমের দল এশিয়া কাপ অভিযান শুরু করেছিল ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের ১ নম্বর দল হিসেবে। যা দলটির সমর্থকদের বিশ্বকাপের জন্যও আশাবাদী করে তুলেছিল।
কিন্তু এশিয়া কাপে পাকিস্তান দল ফাইনালেও উঠতে পারেননি, চার দলের সুপার ফোর শেষ করেছে চতুর্থ হয়ে। এমন ব্যর্থতার পর দলটির সমালোচনায় মুখর হয়েছেন অনেকেই। ড্রেসিংরুমে বাবর-শাহিন আফ্রিদির মধ্যে বিতণ্ডা ও শাদাব খানকে বিশ্বকাপে না রাখার গুঞ্জন যাতে বাড়তি উত্তাপ দিচ্ছে। সমালোচনা হচ্ছে বাবরের অধিনায়কত্বেরও।
তবে পাকিস্তানের সাবেক দুই কোচ-অধিনায়ক দাঁড়িয়েছেন বাবরের পাশে। তাঁদের প্রশ্ন, এশিয়া কাপে পাকিস্তান দলের ব্যর্থতার জন্য শুধু বাবরকে দোষারোপ করা হচ্ছে কেন? এটা দলগত খেলা। এককভাবে কেউ দোষী হতে পারেন না।
পাকিস্তানের করাচিতে চল্লিশ বছরের বেশি বয়সীদের ‘ওভার-ফোরটি’স ক্রিকেট গ্লোবাল কাপ’ শুরু হয়েছে মঙ্গলবার। এ টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছে পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, ওয়েস্ট ইন্ডিজসহ আটটি দল। সেখানে বাবরের দলের সাম্প্রতিক ব্যর্থতা নিয়ে জিজ্ঞেস করা হলে সাবেক অধিনায়ক ও কোচ জাভেদ মিয়াঁদাদ বলেন, ‘এশিয়া কাপে যেখানে পুরো দলই ভারত, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ভালো খেলতে পারেনি, সেখানে শুধু বাবর আজমকে দোষারোপ করা হচ্ছে কেন?’
এশিয়া কাপের সুপার ফোরে শুধু বাংলাদেশকে হারাতে পেরেছিল পাকিস্তান। নিজের দেশকে তিন দফায় কোচিং করানো মিয়াঁদাদের মতে, ‘পাকিস্তানের এই দলটির বিশ্বকাপে ভালো করার সম্ভাবনা আছে, এশিয়া কাপে যেভাবে খেলেছে, দলটা এতটা খারাপ নয়। এই দলটির বিশ্বকাপে ভালো করার ব্যাপক সম্ভাবনা আছে। দেখার বিষয় হচ্ছে, ভারতের বিপুল দর্শকসংখ্যার সামনে তারা কত দ্রুত মানিয়ে নিতে পারে, বিশেষ করে এমন একটা দেশে, যেখানে তাদের প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে হবে।’
আরেক সাবেক অধিনায়ক ও কোচ মিসবাহ–উল–হকও বাবরের সমালোচনাকে যৌক্তিক মনে করছেন না। তাঁর মতে দলগত খেলায় সবাইকে ভালো খেলতে হয়, ‘সব সময় বাবর ভালো খেলবে, এমন আশা করা ঠিক নয়। কারণ, এটা সম্ভব নয়। দল সাফল্য পায় সমন্বিতভাবে, এটা ভারতের মাটিতেও মাথায় রাখতে হবে।’
খেলোয়াড়, কোচ এবং প্রধান নির্বাচক—তিন ভূমিকাতেই পাকিস্তান দলের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে মিসবাহর। বিশ্বকাপের আগমুহূর্তে বাবরের অধিনায়কত্বের সমালোচনায়ও আপত্তি তাঁর, ‘এখন ওর অধিনায়কত্ব নিয়ে কথা বলার সময় নয়। সে এমন একজন যার ওপর বিশ্বকাপে ব্যাটসম্যান এবং অধিনায়ক হিসেবে ভরসা করা যায়।’
বিশ্বকাপে পাকিস্তানের অভিযান শুরু হবে ৬ অক্টোবর নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে।