বিশ্বকাপ শুরু করেছিলেন টি-টোয়েন্টির শীর্ষ অলরাউন্ডার হিসেবে। কিন্তু শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এতটাই অপ্রত্যাশিত ক্রিকেট খেলেছেন যে, শীর্ষস্থান থেকে এক ঝটকায় পাঁচে নেমে গেছেন সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের তারকা বাঁহাতি অলরাউন্ডারের ক্যারিয়ারে এটি এক যুগের মধ্যে সর্বনিম্ন র্যাঙ্কিং।
সর্বশেষ ২০১২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর র্যাঙ্কিংয়ের পাঁচে নেমেছিলেন সাকিব। তাঁর পাঁচে নেমে যাওয়ার দিনে শীর্ষ অলরাউন্ডার হয়েছেন মোহাম্মদ নবী। আফগান অলরাউন্ডারের রেটিং পয়েন্ট ২৩১। ২২৫ রেটিং নিয়ে দুইয়ে অস্ট্রেলিয়ার মার্কাস স্টয়নিস।
আজ আইসিসির হালনাগাদ র্যাঙ্কিংয়ে এই পরিবর্তন এসেছে।
সর্বশেষ সপ্তাহের র্যাঙ্কিংয়ে সাকিব শীর্ষে ছিলেন ২২৩ রেটিং নিয়ে। তবে শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচের বাজে পারফরম্যান্সে তাঁর রেটিং পয়েন্ট কমে গেছে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বল হাতে তিন ওভারে ৩০ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ও ব্যাট হাতে ১৪ বলে ৮ রান এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১ ওভারে ৬ রানে উইকেটশূন্য ও ব্যাট হাতে ৪ বলে ৩ রানে আউট হন তিনি।
টানা দুটি ম্যাচে সাকিবের ব্যাটে-বলে এমন অনুজ্জ্বল পারফরম্যান্সের কারণে সাকিবের রেটিং ১৫ পয়েন্ট কমে এখন ২০৮। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে না খেলা জিম্বাবুয়ের সিকান্দার রাজাও তাঁর ওপরে (২১০ রেটিংয়ে ৪ নম্বরে)।
অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে সাকিবের বড় পতন ঘটলেও ব্যাটিং ও বোলিংয়ে বড় লাফ দিয়েছেন তাওহিদ হৃদয় ও মোস্তাফিজুর রহমান। তাওহিদ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০ বলে ৪০ ও প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ৩৪ বলে ৩৭ রান করেন। দুই ম্যাচেই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক ছিলেন তিনি। ডানহাতি এ মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান এগিয়েছেন ৩২ ধাপ। এখন ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে তিনি ২৭ নম্বরে।
বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে মোস্তাফিজ এগিয়েছেন ১০ ধাপ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকলেও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৭ রানে নেন ৩ উইকেট। মোস্তাফিজ এখন টি-টোয়েন্টি বোলারদের মধ্যে ১৩ নম্বরে অবস্থান করছেন। অন্যদের মধ্যে তাসকিন আহমেদ ৮ ধাপ এগিয়ে ১৯ নম্বরে এবং রিশাদ হোসেন ২৪ ধাপ এগিয়ে ৩০ নম্বরে উঠে এসেছেন।
বোলারদের মধ্যে শীর্ষে যথারীতি আদিল রশিদ, ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সূর্যকুমার যাদব।