ওয়ানডেতে বছর কেমন কাটল সাকিব–নাজমুল–তাসকিনদের

সাকিব আল হাসান, লিটন দাস ও তাসকিন আহমেদফাইল ছবি

চলতি বছরের ওয়ানডে অধ্যায় শেষ। অর্থাৎ এই বছরে আর কোনো ওয়ানডে ম্যাচ বাকি নেই। বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ড ম্যাচই ছিল চলতি বছরের শেষ ৫০ ওভারের ম্যাচ। বিশ্বকাপের বছরটিতে ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন শুবমান গিল।

ভারতীয় ওপেনার ব্যাট করেছেন ১০৫ স্ট্রাইক রেটে, ২৯ ইনিংসে ৬৩.৩৬ গড়ে তাঁর রান ১৫৮৪। আবার উইকেটশিকারের দিক থেকেও সবার ওপরে এক ভারতীয়—কুলদীপ যাদব। ২৯ ইনিংসে তাঁর উইকেট ৪৯টি। এবার দেখে নেওয়া যাক, শেষ হতে চলা বছরে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা কেমন করেছেন?

আরও পড়ুন

২০২৩ সালে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ রান নাজমুল হোসেনের। ২৭ ম্যাচের ২৬টিতে ব্যাট করে ৪১.৩৩ গড় আর ৮৫.১১ স্ট্রাইক রেটে তাঁর রান ৯৯২। শতক আছে দুটি, অর্ধশত ৬টি। সব দেশ মিলিয়ে সর্বোচ্চ রানের তালিকায় নাজমুলের অবস্থান ১২ নম্বরে।

প্রথম আলো

বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তালিকায় পরের নামটা মুশফিকুর রহিমের। তাঁর রান ২৬ ইনিংসে ৮৪৬। গড় ৩৬.৭৮, স্ট্রাইক রেট ৮৬.৫৯। সাকিব আল হাসান ২২ ইনিংসে করেছেন ৭৩৫ রান। এই বাঁহাতি অলরাউন্ডারের গড় ৩৫, স্ট্রাইক রেট ৮৯.৮৫। চলতি বছরে তিনি কোনো শতক পাননি। অবশ্য ২০১৯ বিশ্বকাপের পর থেকেও ওয়ানডেতে সাকিবের শতক নেই।

চলতি বছরে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক নাজমুল
এএফপি

এ বছরই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট পা রাখা তাওহিদ হৃদয় ওয়ানডেতে এখন পর্যন্ত ব্যাট করেছেন ২৩ ইনিংসে। ৬ অর্ধশতকে ৩৪.৬১ গড় আর ৮৫.২২ স্ট্রাইক রেটে তাঁর রান ৭২৭। তবে হতাশ করেছেন গত বছর বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান (১৩ ইনিংসে গড়ে ৫৭৭) করা লিটন দাস। এই ওপেনার ২০২৩ সালে ২৮ ইনিংসে ব্যাট করে কোনো শতক পাননি। অর্ধশতক করেছেন ৫টি। ২৬.০৪ ইনিংসে তাঁর রান ৬৫১।

আরও পড়ুন

বাংলাদেশের শীর্ষ পাঁচ ব্যটসম্যানের কেউই ৯০ বা এর বেশি স্ট্রাইক রেটে রান তুলতে পারেননি। সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেট সাকিবের ৮৯.৮৫। যেখানে রোহিত শর্মা চলতি বছর ব্যাটিং করেছেন ১১৭ স্ট্রাইক রেটে। এইডেন মার্করাম ১১৩.২৬ স্ট্রাইকে রেট। আর ক্লাসেনের কথা তো আগেই বলা হয়েছে। এমনকি ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপে ভারসাম্য রক্ষার দায়িত্বে থাকা বিরাট কোহলিও ব্যাটিং করেছেন ৯৯.১৩ স্ট্রাইক রেটে।

প্রথম আলো

ব্যাটসম্যানদের মতো চলতি বছরে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারীর তালিকাতেও শীর্ষ তিনে ভারতের ক্রিকেটাররা। কুলদীপ যাদব, মোহাম্মদ সিরাজ, মোহাম্মদ শামি উইকেট নিয়েছেন যথাক্রমে ৪৯, ৪৪ ও ৪৩টি। বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেট নিয়েছেন পেসার শরীফুল ইসলাম। ১৯ ইনিংসে এই বাঁহাতি পেসারের উইকেট ৩২টি।

আরও পড়ুন

তাসকিন আহমেদ নিয়েছেন ১৭ ম্যাচে ২৬ উইকেট। যদিও শরীফুলের চেয়ে ওভারপ্রতি রান খরচ কম তাঁর। শরীফুলের ওভারপ্রতি খরচ ৫.৫০ রান আর তাসকিনের ৪.৭৯। সাকিব ২০ ইনিংসে উইকেট নিয়েছেন ২৩টি। আরেক স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজেরও তা–ই, তবে দুই ম্যাচ বেশি খেলেছেন তিনি। এই দুই স্পিনারেরই গড় বেশি। সাকিব একটি উইকেট পেতে গড়ে রান দিয়েছেন ৩৫.৪৭ রান। মিরাজ আরও বেশি—৪২.০৪। আরেক পেসার হাসান মাহমুদ নিয়েছেন ১৫ ম্যাচে ২২ উইকেট। তবে ওভারপ্রতি খরচ করেছেন ৬.০৮ রান।