কোহলির সঙ্গে যদি ২০ মিনিট কথা বলতে পারতেন গাভাস্কার!
বিরাট কোহলির ব্যাটিং ফর্ম এখন ক্রিকেটের সবচেয়ে আলোচিত বিষয়। হাল ক্রিকেটের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান দীর্ঘদিন ধরে রানে নেই, ব্যাপারটা রীতিমতো অস্বস্তির ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে সবার জন্য। কী করলে কোহলি ফিরবেন, এ মত দিয়ে যাচ্ছেন যে যাঁর মতো করে। অনেকেই কোহলির প্রতি খড়্গহস্ত, ভারতীয় দল থেকেই তাঁকে বাদ দিয়ে দিতে চান তাঁরা। অনেকেই কোহলির পাশে দাঁড়াচ্ছেন, তাঁকে অনুপ্রাণিত করছেন, অভয় দিচ্ছেন। কিন্তু কোহলির এই দীর্ঘ ফর্মহীনতা তাঁদেরও উদ্বেগে ফেলে দিয়েছে।
২০১৯ সালের নভেম্বর মাসেই শেষ। এরপর প্রায় তিন বছর হতে চলল কোহলি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোনো শতরান পাননি। অথচ এর আগেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর ৭০টি শতরান হয়ে গেছে। একটা সময় পর্যন্ত শতরান না পেলেও রানটা ঠিকই করে গেছেন। কিন্তু এ বছরটা কোহলির জন্য রীতিমতো দুঃস্বপ্নময়। যা একটু রান পাচ্ছিলেন, সেটিও আর পাচ্ছেন না। ভারতের সাম্প্রতিক ইংল্যান্ড সফরে তাঁর ব্যাটে বড় খরা। একমাত্র টেস্টে তো ব্যর্থ হয়েছেনই, সীমিত ওভারের ক্রিকেটেও তাঁর ব্যাট চুপ। ক্রিকেটে হালফিলে সবচেয়ে বড় ‘রহস্যে’র সমাধানটা কীভাবে হবে, সেটি কারও মাথায় না এলেও ভারতের ব্যাটিং কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার মনে করেন, তিনি এর সমাধান দিতে পারবেন।
কীভাবে! গাভাস্কার মনে করেন, কোহলির সঙ্গে তিনি যদি ২০ মিনিট কথা বলার সুযোগ পেতেন, তাহলেই কোহলিকে বাজে ফর্ম থেকে বেরিয়ে আসার উপায়টা বাতলে দিতে পারতেন। গাভাস্কার বলেছেন, কোহলির বাজে ফর্মের রোগটা তিনি সারিয়ে তুলতে পারবেন। তিনি কোহলির সঙ্গে কথা বলতে চান, তাঁকে কয়েকটি বিষয়ে দেখিয়ে দিতে চান চোখে আঙুল দিয়ে।
ইন্ডিয়া টুডেকে গাভাস্কার বলেছেন, ‘আমি যদি ওর সঙ্গে ২০ মিনিট থাকতাম, তাহলে আমি তাকে বলতে পারতাম কী করতে হবে। এটি তাকে সাহায্য করতে পারে, আমি বলছি না এটি তাকে সাহায্য করবেই, তবে এটি বিশেষত সেই অফ স্টাম্পের বাইরের বল খেলার ক্ষেত্রে হতে পারে।’
গাভাস্কার আরও বলেছেন, ‘একজন ওপেনার হিসেবে সেই লাইন নিয়েই সমস্যা রয়েছে এবং আরও কিছু বিষয় রয়েছে। যদি আমি তার সঙ্গে কথা বলার ২০ মিনিট সময় পাই, তাহলে আমি তাকে এসব বলতে পারি।’
ইংল্যান্ড সফরে এজবাস্টন টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে কোহলির রান ৩১। টি-টোয়েন্টি সিরিজে দুই ম্যাচে ১২, ওয়ানডেতে দুই ম্যাচ খেলে ৩৩—কোহলির আসলেই গাভাস্কারের সঙ্গে একটু বসা উচিত।