বাজবল প্রশ্নে রোহিত, প্রতিপক্ষের খেলার ধরনে আগ্রহী নই
সুনীল গাভাস্কার হতে নাসের হুসেইন, আকাশ চোপড়া হতে মন্টি পানেসার—গত কয়েক দিনে বাজবল নিয়ে পাল্টাপাল্টি প্রচুর কথা হয়েছে ভারত-ইংল্যান্ডজুড়ে। ভারতের মাটিতে ইংল্যান্ডের বাজবল ক্রিকেট কতটা কাজে লাগবে, সেটি বোঝা যাবে আজ শুরু হতে যাওয়া পাঁচ টেস্টের সিরিজে।
তবে সাবেক ক্রিকেটার ও বিশ্লেষকেরা বাজবল নিয়ে প্রচুর আলোচনা করলেও রোহিত শর্মা এ ক্ষেত্রে চুপই থাকতে চাইলেন। কাল ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বাজবল নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ভারত অধিনায়ক এড়িয়ে যাওয়ার সুরে বলেন, প্রতিপক্ষের খেলার ধরন নিয়ে মাথা ঘামানোর আগ্রহ নেই তাঁর।
২০২২ সালের মে মাসে ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ইংল্যান্ড টেস্ট দলের কোচ হওয়ার পর দলটির খেলায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসে। ব্যাট-বলে, ফিল্ডিং সাজানোয় এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে অতি ইতিবাচক ও আক্রমণাত্মক ধারার এই খেলা ম্যাককালামের ডাকনামের সঙ্গে মিলিয়ে ‘বাজবল’ নামে পরিচিতি পায়। যা মাঠের ক্রিকেটে বেশ সাফল্যও নিয়ে আসে (১৮ ম্যাচে ১৩ জয় ৪ হার ১ ড্র)।
ইংল্যান্ড, পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডে সফল হওয়া বাজবল ভারতে কেমন করবে, সপ্তাহ দুয়েক ধরে এমন আলোচনা চলেছে সাবেক ক্রিকেটারদের মধ্যে। যেমন ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক নাসের বাজবলের জয়গান গাওয়ার পর ‘ভারতের বিরাটবল’ আছে বলে মন্তব্য করেন গাভাস্কার। কাল হায়দরাবাদে রোহিতের সংবাদ সম্মেলনে জিজ্ঞেস করা হয়, ইংল্যান্ডের বাজবল ক্রিকেট কী ভাবছে ভারত?
জবাবে এত দিন ধরে চলা বাজবল উত্তেজনায় যেন জলই ঢেলে দিতে চেয়েছেন ভারত অধিনায়ক, ‘আমরা নিজেদের ক্রিকেট নিয়ে ভাবছি। প্রতিপক্ষ কী ধরনের ক্রিকেট খেলবে, তা নিয়ে আমি আগ্রহী নই। আমি শুধু নিজের দল নিয়েই মাথা ঘামাচ্ছি।’
বাজবল নিয়ে ভারতের আপাত নির্লিপ্ততার অন্যতম কারণ হতে পারে নিজেদের সামর্থ্যের ওপর বিশ্বাস। এক দশকের বেশি সময় ভারত নিজেদের মাটিতে টেস্ট সিরিজ হারেনি। সর্বশেষ কোনো দল তাদের দেশে এসে টেস্ট সিরিজ জিতেছিল ২০১২ সালে, কাকতালীয়ভাবে সেটা ইংল্যান্ডই। সেই কথা মাথায় রেখে হোক বা অন্য কোনো কারণে, রোহিত বললেন তাঁর দল অপরাজেয় নয়, ‘নিজেদের আমরা অপরাজেয় মনে করি না। আমরা এভাবে ভাবতেই চাই না। অতীত রেকর্ড যেমনই হোক, গত এক দশক বা তার বেশি সময় ধরে যেমনটাই হয়ে থাক, সেটা এই সিরিজে জয়ের নিশ্চয়তা দেয় না। সিরিজ জিততে আমাদের ভালো খেলতে হবে।’