বৃষ্টিতে হলো না সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড
ভেন্যু পাল্টেছে। সঙ্গে সংস্করণ আর খেলার ধরনও। সিলেটে বাংলাদেশ দল তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের পাওয়ারপ্লেতে একটু রয়েসয়ে খেলেছে। সিলেটের মেঘাচ্ছন্ন কন্ডিশন এ ক্ষেত্রে একটা ভূমিকা রেখেছে হয়তো। আজও সাগরিকার আকাশ ছিল মেঘলা। কিন্তু চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ দল পাওয়ারপ্লেতে বইয়ে দিয়েছে চার-ছক্কায় বৃষ্টি।
লিটন দাস ও রনি তালুকদারের দুই শ ছাড়ানো স্ট্রাইক রেট ব্যাটিং পাওয়ারপ্লেতে বাংলাদেশকে নিয়ে যায় ৮১ রানে, যা টি-টোয়েন্টি ম্যাচের প্রথম ৬ ওভারে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ। বড় রানের ভিতটা পেয়ে যায় ওই ৬ ওভারেই। সেটি কাজে লাগিয়ে ১৯.২ ওভারে বাংলাদেশ ৫ উইকেটে ২০৭ রান করে, যা জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সর্বোচ্চ। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ টি-টোয়েন্টি স্কোর ২১৫ রানের রেকর্ডও ছাড়িয়ে যেতে পারত। কিন্তু বৃষ্টি নামায় বাংলাদেশ ইনিংসের শেষ ৪ বল করা সম্ভব হয়নি।
বাংলাদেশের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ের শুরুটা করেছেন লিটন দাস। ইনিংসের প্রথম ওভারেই আইরিশ অফ স্পিনার হ্যারি টেক্টরকে পেয়ে লং অন বাউন্ডারি দিয়ে বিশাল ছক্কা মারেন। বাংলাদেশের ইনিংস কেমন হতে পারে, সেটি অনুমান করা যাচ্ছিল লিটনের ওই ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে মারা ছক্কায়। এরপর যে-ই বোলিংয়ে এসেছেন, সে-ই লিটনের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ের শিকার হয়েছেন।
একটা পর্যায়ে মনে হচ্ছিল, মোহাম্মদ আশরাফুলের দ্রুততম টি-টোয়েন্টি ফিফটির (২১ বল) রেকর্ড ভাঙবেন লিটন। শেষ পর্যন্ত সেটি হয়নি। ২৩ বল খেলে ৪৭ রান করে ক্রেগ ইয়ংয়ের বলে আউট হন তিনি। ৪টি চার ও ৩টি ছক্কা ছিল লিটনের ২০৪ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসে। তিনি যখন আউট হন, তখন বাংলাদেশের রান ৭.১ ওভারে ১ উইকেটে ৯১।
সেখান থেকে বাংলাদেশকে বেশি দূর এগিয়ে নিতে পারেননি নাজমুল হোসেন। তিনে নেমে ১৩ বল খেলে ১৪ রান করে আউট হন তিনি। টেক্টরের বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েন। তবে আরেক ওপেনার রনি খেলে গেছেন তাঁর সহজাত গতিতে। লিটন ফিফটি না পেলেও টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি পেয়েছেন তিনি। মাঠের চারপাশে ছিল তাঁর বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ের ছাপ।
বিশেষ করে গুড লেংথের বলে রনি ছিলেন বিধ্বংসী। মিড অন, মিড অফের মাথার ওপর দিয়ে বেশ কয়েকটি বাউন্ডারি মেরেছেন। নিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ফিফটি করেছেন ২৪ বল খেলে, ৬টি চার ও ২টি ছক্কা ছিল রনির ২০৮ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসে। ফিফটির পর অবশ্য রানের গতি কিছুটা কমেছে। গ্রাহাম হিউমের বলে বোল্ড হওয়ার আগে রনির ব্যাট থেকে এসেছে ৩৮ বলে ৭টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৬৭ রান।
রান রেট ১০–এর নিচে নামতে দেননি শামীম হোসেনও। মাঝের ওভারে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ২০ বলে ৩০ রানের ইনিংস। ২টি চার ও ১টি ছক্কা ছিল শামীমের ইনিংসে। শেষের দিকে সাকিবের ব্যাট থেকে এসেছে আরও ২০ রান। সাকিবের ছোট্ট ইনিংসটাও এসেছে দ্রুতগতিতে (১৩ বল)।