নাজমুলকে অধিনায়ক রাখা প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচক ‘এটা বোর্ডের সিদ্ধান্ত’
তিন সংস্করণের ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলের অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করার পর থেকেই বাংলাদেশ ক্রিকেটের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নাজমুল হোসেন; কিন্তু গতকাল বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের সঙ্গে কথা বলার পর আজ নাজমুলকে অধিনায়ক রেখেই আফগানিস্তান সিরিজের দল ঘোষণা করেছে বিসিবি।
স্বাভাবিকভাবেই আজ প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেনকে এ ব্যাপারে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে। যদিও তিনি নাজমুলকে অধিনায়ক করে আফগানিস্তান সিরিজের দল সাজানোর ব্যাপারে কিছুই বলতে চাননি। তিনি বিষয়টি ক্রিকেট বোর্ডের কোর্টে ঠেলে দিয়েছেন। তাঁর কথা, ‘এটা বোর্ডের সিদ্ধান্ত। এ ব্যাপারে নির্বাচকদের কিছু না বলাই ভালো। সে অধিনায়ক ছিল। তাকেই রাখা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে আমাদের কথা বলাটা সমীচীন মনে করি না।’
আফগানিস্তান সিরিজ দিয়ে এক বছরের বেশি সময় পর ওয়ানডে দলে ফিরেছেন বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ। তিনি সর্বশেষ দেশের হয়ে খেলেছেন গত বছরের অক্টোবরে, ভারতের মাটিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপে।
দীর্ঘ বিরতির পর তাঁর জাতীয় দলে ফেরা নিয়ে প্রধান নির্বাচকের ব্যাখ্যা ছিল এমন, ‘নাসুম সর্বশেষ বিশ্বকাপে ছিল। মাঝখানে খুব বেশি ওয়ানডে খেলেনি বাংলাদেশ। সাকিব থাকলে হয়তো বাঁহাতি স্পিনের জায়গাটা ভিন্ন হতে পারত। আমাদের বাঁহাতি স্পিনে তানভীর ও নাসুমকেই মূল বোলার মনে করি। রাকিবুলের আরও সময় দরকার বলে মনে করি।’
পরে যোগ করেন, ‘নাসুম কঠোর পরিশ্রম করছে। কম্বিনেশনের জন্য তাকে রাখা। যদি উইকেটের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের কারণে আমরা কোনো কারণে যদি তিন পেসার না খেলিয়ে তিন স্পিনার খেলাই, তাহলে মিরাজ ও রিশাদের সঙ্গে নাসুমের সুযোগ থাকতে পারে।’
পেস বোলিং বিভাগে বৈচিত্র্য যোগ করতে আফগান সিরিজ দিয়ে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে দলে ডাক পেয়েছেন নাহিদ রানা।
তানজিম হাসান চোটে পড়ায় ও হাসান মাহমুদকে বিশ্রাম দেওয়ায় সুযোগ এসেছে রানার, ‘হাসান মাহমুদের ওয়ার্ক লোডের কারণে তাঁকে রাখা হয়নি। তানজিমের কাঁধে চোট আছে। আর আমরা নাহিদ রানাকে দেখতে চাই। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে এই সিরিজটা আর ওয়েস্ট ইন্ডিজে খেলা আছে আমাদের। আমরা এর আগে তাকে ওয়ানডেতে দেখিনি। এখান থেকে দেখতে চাই। আমরা আশা করছি সে ভালো করবে। যদি কোন ফাইন টিউনিং দরকার হয়, নতুন কোচ সেটাও দেখার সুযোগ পাবেন। আর তার গতিময় বোলিং আমাদের জন্য আরেকটি অপশন হতে পারে বলে আশা করছি।’