২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

দ্বিতীয় নারী টি–টোয়েন্টি: ব্যাটিং নিয়েই যত উদ্বেগ–হতাশা

ব্যাটিংটা মোটেও ভালো হচ্ছে না বাংলাদেশের মেয়েদের। ছবিটি সিরিজের প্রথম টি–টোয়েন্টিরবিসিবি

সূর্যটা হেলে পড়ার আগে শেষ একবার উত্তাপ ছড়াচ্ছিল সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে। সংবাদকর্মীদের সঙ্গে কথা বলার আগে একটা চেয়ারে বসে একটু জিরিয়ে নিচ্ছিলেন বাংলাদেশ নারী দলের প্রধান কোচ হাশান তিলকারত্নে। একটু আগে শেষ হয়েছে অনুশীলন, তাতে স্বাভাবিকভাবেই কোচের ওপর একটা ধকল গেছে।

আরও পড়ুন

দলের যা পারফরম্যান্স, তাতে হয়তো মানসিক দিক দিয়েও চাপে আছেন হাশান। প্রায় এক মাস ধরে ঘুরিয়ে–ফিরিয়ে একই কথা বলতে হচ্ছে তাঁকে। সেটি মূলত টপ অর্ডারের ব্যাটিং নিয়ে। ভারতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে যেটি আবার এসেছে আতশ কাচের নিচে, আজ দ্বিতীয় ম্যাচের আগেও যেটি আবার আলোচনায়।

ভারতকে এমন উইকেটে ১৪৫ রানে আটকে ফেলার পর প্রথম ম্যাচটা জেতা উচিত ছিল বাংলাদেশের, এটিও এখন পুরোনো কথা। তবে হাশানের হতাশা টের পাওয়া গেল গতকালও, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের ব্যাটিং ক্লিক করেনি। আমার মনে হয়, এটা তাড়া করার মতো ছিল। ব্যাটিং যেভাবে করেছি, তাতে হতাশ।’

বাংলাদেশ নারী দলের প্রধান কোচ হাশান তিলকারত্নে
প্রথম আলো

সর্বশেষ ৫ ম্যাচে বাংলাদেশ প্রথম ২ উইকেট হারিয়েছে ২৩, ১৭, ৪০, ২ ও ৪ রানে। টি-টোয়েন্টিতে ওপরের দিক থেকে রান না এলে যে কাজটি অনেক কঠিন, সেটি জানা কথাই। শুরুতেই উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ চাপে পড়ছে বারবার। এরপর সেখান থেকে নিচের দিকের ব্যাটসম্যানদের নিয়ে যা একটু লড়াই করছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা।

হাশান তাই উদ্বিগ্নই, ‘জ্যোতি (নিগার) অনেক ভালো ব্যাটিং করেছে। সে চাপ নিয়েছে। তবে অন্যদিক থেকে কেউ সহায়তা করতে পারছে না। এটিই এখন আমাদের সবচেয়ে বড় উদ্বেগের ব্যাপার। আমরা আলোচনা করেছি, কীভাবে আমরা জ্যোতিকে সমর্থন করব। আমি নিশ্চিত অন্যরা বুঝেছে, গতকাল কী ভুল করেছে। সেগুলো শুধরে ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশা করি।’

আরও পড়ুন

এর আগে বিসিবির উদ্যোগে শহরের তিনটি স্কুলে সিরিজের প্রচারণা চালাতে গিয়ে অধিনায়ক নিগার নিজেও বলেছেন সে উদ্বেগের কথা, ‘সত্যি বলতে কী, অনুশীলনে যেমন থাকে, ম্যাচে ভিন্ন দেখেছি। এটা উদ্বেগের বিষয়। রাতারাতি বদলাবে না। নিজেদের দায়িত্ব ও সামর্থ্য অনুযায়ী যদি খেলতে পারে, গত ম্যাচে যে পারফরম্যান্স ছিল এর থেকে ভালো কিছু দেখাতে পারব।’

বিসিবির উদ্যোগে শহরের তিনটি স্কুলে সিরিজের প্রচারণা চালিয়েছেন অধিনায়ক নিগার। স্কুলে একটি মুহূর্তের ছবি
বিসিবি

দলের পারফরম্যান্স এমন হলেও কোচরা কোনো ঘাটতি রাখছেন না—স্বাভাবিকভাবেই হাশান দাবি করলেন সেটি, ‘কোচিং স্টাফ অনেক কাজ করেছে। এখন তাদের (খেলোয়াড়দের) দেশকে ফিরিয়ে দেওয়ার পালা। এটা তাদের ওপর, ভালো কিছু করা।’

দ্বিতীয় ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়ানোর আশার কথাও শোনালেন হাশান, ‘আমরা আগেও তাদের হারিয়েছি। এখনো পরিস্থিতি বদলাতে পারব। মাঠে নেমে নিজেদের মেলে ধরতে হবে। নিজেদের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে।’

সে বিশ্বাস রেখে কোচ ও অধিনায়কের উদ্বেগ দূর করার দায়িত্বটা নিতে হবে ব্যাটারদেরই।