রানের হিসাবে যেখানে সবচেয়ে বড় জয় বাংলাদেশের
রানের হিসাবে টেস্টে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয় কোনটি? খুব বেশি পিছিয়ে যাওয়ার দরকার নেই। গত জুনেই মিরপুরে আফগানিস্তানকে ৫৪৬ রানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ; যা শুধু বাংলাদেশেরই নয়, একবিংশ শতাব্দীতেই টেস্টে কোনো দলের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়।
তবে জয়টা ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণ টেস্টে নবীন সদস্য আফগানিস্তানের বিপক্ষে বলেই সেই বিশাল জয়কেও খুব একটা বড় করে দেখা হয় না, এমনকি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাওয়া দেড় শোর্ধ্ব রানের পাঁচ–পাঁচটি জয়কেও না।
কিন্তু আজকের জয়টিকে ওপরের সারিতে রাখতেই হবে। সিলেটে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাওয়া ১৫০ রানের জয়টা যে আইসিসি টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ পাঁচে থাকা দলগুলোর বিপক্ষে রানের হিসাবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়।
বড় দলগুলোর বিপক্ষে এর আগে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়টা ছিল ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। মিরপুরে সে ম্যাচে অ্যালিস্টার কুক–বেন স্টোকসদের ১০৮ রানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ে ও আফগানিস্তানের বাইরে টেস্ট খেলুড়ে অন্য দলগুলোর বিপক্ষে রানের হিসাবে সিলেট টেস্টেই সবচেয়ে বড় জয় পেল নাজমুল হোসেনের দল।
আজ নিজেদের ১৩৯তম টেস্ট ম্যাচে ১৯তম জয় পাওয়া বাংলাদেশ প্রতিপক্ষকে ১০০ বা এর চেয়ে বেশি রানের ব্যবধানে হারাল ৯ বার (ইনিংস ব্যবধানে জয় ব্যতীত)।
তবে বড় দলের বিপক্ষে ১০০ রানের বেশি ব্যবধানে জয় এই দুটিই। ইনিংস ব্যবধানে সবচেয়ে বড় জয় হিসাবে আনলে সেটা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ২০১৮ সালে মিরপুরে ক্যারিবিয়ানদের ইনিংস ও ১৮৪ রানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
যেকোনো দলের বিপক্ষে উইকেট ব্যবধানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়টা নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেই। গত বছর মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে ইতিহাস গড়ার ম্যাচে কিউইদের হারিয়েছিল ৮ উইকেটে।
সেটা এখন পর্যন্ত সব সংস্করণ মিলিয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তাদেরই মাটিতে বাংলাদেশের একমাত্র জয়। সে সময়ও নিউজিল্যান্ড ছিল আইসিসি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের চ্যাম্পিয়ন এবং র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ পাঁচ দলের একটি।
আজকের জয়ে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ পাঁচ দলের কোনো একটির বিপক্ষে প্রথমবার দুটি টেস্ট জিতল বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের আগে বাংলাদেশ একাধিক টেস্ট জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।
বাংলাদেশ এখনো টেস্ট জেতেনি, এমন প্রতিপক্ষও তিনটি—ভারত, পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা।