এজবাস্টন টেস্টে পাঁচ দিনই ব্যাটিং খাজার, এমন কীর্তি আছে কয়জনের
এজবাস্টনে অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম টেস্টে দারুণ জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ে বেন স্টোকসের ইংল্যান্ডকে ২ উইকেটে হারিয়ে সিরিজে এগিয়ে গেছে তারা। শেষ সময়ে মাথা ঠান্ডা রেখে অস্ট্রেলিয়াকে জয়ের বন্দরে নিয়ে গেছেন অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। তবে এজবাস্টন টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার সেরা ব্যাটসম্যান উসমান খাজাই। প্রথম ইনিংসে ৩২১ বলে ১৪১ রানের দারুণ এক ইনিংসে অস্ট্রেলিয়াকে ম্যাচে রেখেছিলেন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে ফিফটি করে রান তাড়ায় বড় ভূমিকা এই ব্যাটসম্যানের। উসমান খাজা এই টেস্টে দারুণ এক রেকর্ডেরও অংশীদার হয়েছেন। এজবাস্টনে পাঁচ দিনই ব্যাটিং করেছেন খাজা। টেস্টে পাঁচ দিনই ব্যাটিং করেছেন, ক্রিকেট ইতিহাসে এমন কীর্তি আছে মাত্র ১২ জন ব্যাটসম্যানের।
দ্বিতীয় অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে খাজা টেস্টে পাঁচ দিনই ব্যাটিং করলেন। এর আগে কিম হিউজ ১৯৮০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডস টেস্টে পাঁচ দিনই ব্যাটিং করেছিলেন। ২০২৩ সালে টেস্টে পাঁচ দিন ব্যাটিং করার কীর্তি আছে খাজা ছাড়াও দুই ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটসম্যানের—ক্রেগ ব্রাফেট ও তেজনারায়ণ চন্দরপলের। দুজনেরই প্রতিপক্ষ ছিল জিম্বাবুয়ে।
এজবাস্টন টেস্টের প্রথম দিনই ৩৯৩ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে ইংল্যান্ড। দিনের একেবারে শেষ দিকে কয়েক ওভার ব্যাটিংয়ের সুযোগ পান খাজা। দ্বিতীয় দিন সারা দিন ব্যাটিং করে অস্ট্রেলিয়া। খাজাও নিজের সেঞ্চুরিটি তুলে নেন। তৃতীয় দিন বেশিক্ষণ খেলা হয়নি বৃষ্টির কারণে। তবে খাজা ব্যাটিং করে নিজের ইনিংসটিকে ১৪১ রান পর্যন্ত নিয়ে যান। চতুর্থ দিনও শেষ দিকে ব্যাটিংয়ে নামেন খাজা। খেলেন পঞ্চম দিনও। পূরণ করেন ফিফটি। অস্ট্রেলিয়ার ২৮১ রান তাড়ায় তাঁর অবদান ছিল ৬৫।
টেস্টে পাঁচ দিনই ব্যাটিং করার প্রথম ঘটনাটি ১৯৬০ সালে। এই কীর্তি প্রথম করেন এক ভারতীয়, এম এল জয়সীমা। কলকাতার ইডেন গার্ডেনে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ দিন ব্যাটিং করেন তিনি। পাঁচ দিন ব্যাটিং করার কীর্তি আছে আরও দুই ভারতীয় ব্যাটসম্যানের। তাঁদের একজন রবি শাস্ত্রী, অন্যজন চেতেশ্বর পূজারা। ভারতের ব্যাটসম্যানদের পাঁচ দিন ব্যাটিং করার তিনটি কীর্তিই কলকাতার ইডেন গার্ডেনে। শাস্ত্রীরটি ১৯৮৪ সালে, পূজারা ২০১৭ সালে।
এ তালিকায় ইংলিশ ব্যাটসম্যান আছেন চারজন—জিওফ বয়কট ১৯৭৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে, অ্যালান ল্যাম্ব ১৯৮৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে, অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ ২০০৬ সালে ভারতের বিপক্ষে আর ররি বার্নস ২০১৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। দক্ষিণ আফ্রিকার আছেন একজন—আলভিরো পিটারসেন, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১২ সালে। ক্রেগ ব্রাফেট আর তেজনারায়ণ চন্দরপালের পাশাপাশি আরেক ক্যারিবীয়র আছে এমন কীর্তি—আড্রিয়ান গ্রিফিথ, ১৯৯৯ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে।