চোটের কাছে হার মেনে ৩৪ বছর বয়সেই স্টিভেন ফিনের অবসর
প্রায় এক বছর পর ক্রিকেটে ফিরেছিলেন এ মাসে। কিন্তু ৪ আগস্ট ইংল্যান্ডের ঘরোয়া এক দিনের প্রতিযোগিতায় সাসেক্সের হয়ে ৪ ওভার বোলিং করেই আবার উঠে যেতে হয়। চোটের সঙ্গে দীর্ঘ সে লড়াইয়ে অবশেষে হার মানলেন স্টিভেন ফিন। সব ধরনের ক্রিকেট থেকে আজ অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন ৩৪ বছর বয়সী এ পেসার। ইংল্যান্ডের হয়ে ১২৬টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা ফিন তিনবার অ্যাশেজজয়ী দলের সদস্য ছিলেন।
২০১০ সালে বাংলাদেশ সফরে চট্টগ্রাম টেস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়েছিল ফিনের। প্রায় ৭ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে তিন সংস্করণ মিলিয়ে তাঁর উইকেট ২৫৪টি। ৩৬ টেস্টে ৩০.৪০ গড়ে ১২৪টি উইকেট আছে তাঁর। ২০১৩ সাল পর্যন্ত প্রায় নিয়মিত টেস্ট খেলেছিলেন তিনি। এর পর থেকেই অনিয়মিত হয়ে পড়েন।
২০১৬ সালে বাংলাদেশ সফরে আবার ফেরেন, মিরপুরে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক টেস্ট জয়ের ম্যাচটাও খেলেছেন। ক্যারিয়ারে তাঁর শেষ টেস্ট হয়ে থাকল সেটিই। ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বশেষ তাঁকে দেখা গিয়েছিল ২০১৭ সালের লর্ডসে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডেতে।
২০০৫ সালে মিডলসেক্সের হয়ে প্রথম শ্রেণিতে অভিষেক করা ফিন ক্যারিয়ারের প্রায় পুরোটাই সেখানে কাটিয়েছেন। গত বছর সেখান থেকে পাড়ি জমান সাসেক্সে। মৌসুমে তাদের হয়ে ১৯টি ম্যাচ খেলেছিলেন।
বিদায়ী বার্তায় ফিন বলেছেন, ‘আজ সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নিচ্ছি, যা এখন থেকেই কার্যকর হবে। ১২ মাস ধরে নিজের শরীরের সঙ্গে লড়াই করছি, এর কাছে হার স্বীকার করে নিয়েছি। মিডলসেক্সের হয়ে ২০০৫ সালে অভিষেকের পর থেকেই পেশা হিসেবে ক্রিকেট খেলতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করি। ভ্রমণটা মসৃণ ছিল না, তবে উপভোগ করেছি।’
শেষে গিয়ে বলেছেন, ‘ক্রিকেট আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে, ভবিষ্যতে আশা করি কোনোভাবে কিছু ফিরিয়ে দেব। তবে আপাতত আমার শরীর আর এক দিনের ক্রিকেট নিতে পারবে কি না, সে ভাবনা থেকে মুক্ত হয়ে খেলা দেখব। ধন্যবাদ।’
ইংল্যান্ডের হয়ে ১২৫টি ম্যাচ খেলতে পারাটা নিজের স্বপ্নের চেয়েও উল্লেখ করা ফিন সাসেক্সকেও গত এক বছরে সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তবে ক্লাবটির হয়ে আরও খেলতে না পারার আক্ষেপও আছে তাঁর। সে আক্ষেপ তো ক্যারিয়ারজুড়েই চাইলে করতে পারেন তিনি।
এমন সময়ে তাঁকে বিদায় বলতে দেখে হতাশ সাসেক্সের কোচ পল ফারব্রেসও। তরুণ বয়স থেকে ফিনকে দেখে আসা ফারব্রেস বলেছেন, ‘এ মুহূর্তে বেশ হতাশা কাজ করছে। পুরো ফিটনেস ফিরে পেতে এতটা খাটুনির পরও সে ক্যারিয়ার চালিয়ে যেতে পারছে না। সামনের কয়েক সপ্তাহ ও মাসে সে তার ক্যারিয়ার ও এ খেলায় বিশাল অবদানের দিকে গর্ব নিয়ে ফিরে তাকাতে পারবে।’