৩১৭ রানের হার তদন্ত করবে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট
ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হার—কাল তিরুবনন্তপুরমে ভারতের কাছে ৩১৭ রানে হেরেছে শ্রীলঙ্কা। প্রথমে ব্যাটিং করে শুবমান গিল আর বিরাট কোহলির সেঞ্চুরিতে ভারত স্কোরবোর্ডে তোলে ৩৯০ রানের পাহাড়। জবাবে শ্রীলঙ্কা গুটিয়ে যায় মাত্র ৭৩ রানে। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং—সব বিভাগেই শোচনীয়ভাবে পরাস্ত লঙ্কান দল।
কোহলি আর শুবমান গিলের ব্যাটিংয়ের সময় তিরুবনন্তপুরমের উইকেটে লঙ্কান বোলাররা কিছুই পাননি। আরাম করেই খেলেছেন ভারতীয়রা। ৯৭ বলে সেঞ্চুরি করেন গিল, কোহলি ১৬৬ রান করেন ১১০ বলে। মেরেছেন ৮টি ছক্কা। কিন্তু সেই ‘নিষ্প্রাণ’ উইকেটেই শ্রীলঙ্কার ব্যাটিংয়ের সময় মোহাম্মদ শামি ও মোহাম্মদ সিরাজরা রাজত্ব করেছেন, দাঁড়াতেই দেননি শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানদের। সিরাজ একাই নিয়েছেন ৪ উইকেট। শামি আর কুলদীপ নিয়েছেন ২টি করে উইকেট। ফিল্ডিংয়ের সময় গুরুতর চোট পাওয়ায় অবশ্য শ্রীলঙ্কাকে ব্যাটিংয়ে নামতে হয়েছে আশেন বান্দারাকে ছাড়াই।
এমন শোচনীয় হারে ক্ষুব্ধ শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট। তারা ৩১৭ রানের এই বিশাল হারের তদন্ত করছে। কালই লঙ্কান দলের ম্যানেজারের কাছে বার্তা পৌঁছে গেছে। এই হারের ব্যাখ্যা দিতে হবে। পাঁচ দিনের মধ্যে তাঁদের জমা দিতে হবে প্রতিবেদন। তাতে শুধু ম্যানেজার, কোচ ও অধিনায়কই নন, থাকতে হবে নির্বাচকদের বক্তব্যও।
কিছুদিন আগে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট অক্টোবর-নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ–ব্যর্থতা নিয়ে একটি তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে দলের সদস্যদের ‘ভণ্ড ধর্মগুরু’র খপ্পরে পড়ার মতো বিষয় উঠে এসেছিল। এ ছাড়া ক্যাসিনোতে গিয়ে ঝামেলায় জড়ানো ও আর্থিক অনিয়মের বিষয়ও উঠে এসেছে। অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে ফেরার দিন ব্যাটসম্যান দানুস্কা গুনাতিলকা এক নারীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে স্থানীয় পুলিশের হাতে আটক হন।
সব মিলিয়ে বিশ্বকাপে দলের ব্যর্থতার কারণ খুঁজতে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি) একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি কুশলা সরোজিনি বীরাবর্ধনার নেতৃত্বাধীন কমিটি দুই মাসের তদন্ত শেষে ৬৩ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন তৈরি করেছে।