মুশফিকের যে রেকর্ড এখন সৌম্যর
অল্পের জন্যই ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটা করা হয়নি সৌম্য সরকারের। তবে নেলসনে আজ আরেকটি রেকর্ডে বাংলাদেশের এক নম্বর হয়ে গেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশ করেছিল ২৯১, এই রানের ১৬৯-ই এসেছে সৌম্যর ব্যাট থেকে। যা দলের রানের ৫৮.০৭ শতাংশ। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের ইনিংসে শতকরা হিসেবে সর্বোচ্চ অবদানের রেকর্ড এটিই।
সৌম্য পেছনে ফেলেছেন মুশফিকুর রহিমকে। ২০১৮ এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের ২৬১ রানের ১৪৪–ই করেছিলেন মুশফিক। যা ছিল মোট রানের ৫৫.১৭ শতাংশ। ওই ম্যাচটি আরেকটি কারণেও স্মরণীয় হয়ে আছে। ভাঙা আঙুল নিয়ে তামিম ইকবালের ব্যাটিং করার কারণে। বাংলাদেশের ওপেনার ইনিংসের শুরুতে ৩ বলে ২ রান করে উঠে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন চোটে পড়ে। ৪৭তম ওভারে দল নবম উইকেট হারানোর পর বাঁহাতে ব্যান্ডেজ নিয়ে আবার নেমে পড়েন তামিম। এক হাত দিয়ে ব্যাট ধরে ওভারের শেষ বলটি ঠেকিয়েও দেন। অন্য প্রান্তে মুশফিকের রান তখন ১১২। সেই মুশফিক এরপর আউট হওয়ার আগে টানা ১৪ বল খেলে তুলেছিলেন আরও ৩২ রান।
তামিমের সাহায্য নিয়ে মুশফিক ভেঙেছিলেন তামিমেরই রেকর্ড। ২০১০ সালে মিরপুরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের ২২৮ রানের ১২৫-ই ছিল তামিমের। শতকরা হিসেবে যা ৫৪.৮২।
ওয়ানডে দলীয় রানে সর্বোচ্চ অবদানের রেকর্ডটি ভিভ রিচার্ডসের। ১৯৮৪ সালে ওল্ড ট্রাফোর্ডে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ২৭২ রানের ১৮৯–ই এসেছিল রিচার্ডসের ব্যাট থেকে। শতকরা হিসেবে দলের রানের অবদান ছিল ৬৯.৪৭ ভাগ।
আজকের ম্যাচে ২২টি চার মেরেছেন সৌম্য। ওয়ানডেতে এক ম্যাচে যা বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের সর্বোচ্চ। আগের রেকর্ডটা তামিমের। ২০২০ সালে সিলেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৫৮ রান করার পথে ২০টি চার মেরেছিলেন তামিম।
সৌম্য আজ ছক্কাও মেরেছেন ২টি। ইনিংসে ২৪টি চার–ছক্কা, এটিও বাংলাদেশের রেকর্ড। তবে এই রেকর্ডে আছে লিটন দাসের নামও। ২০২০ সালে সিলেটেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে রেকর্ড ১৭৬ রানের ইনিংসটি খেলার পথে ১৬টি চার ও ৮টি ছক্কা মেরেছিলেন লিটন।
চার–ছক্কায় লিটনকে ছুঁলেও এক ম্যাচে বাউন্ডার–ওভার বাউন্ডারি থেকে মোট রানে লিটনের পেছনেই আছেন সৌম্য। ২০২০ সালের ওই ম্যাচে লিটন চার–ছক্কা থেকেই নিয়েছিলেন ১১২ রান। সৌম্য আজ চার–ছয়ে করেছেন ঠিক ১০০ রান। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে চার–ছক্কায় ১০০ রান আছে শুধু লিটন–সৌম্যরই