কিশোর কুমারের বাংলোয় কোহলির রেস্তোরাঁ
রেস্তোরাঁয় গেলেন খাওয়ার জন্য, হঠাৎ মনে হলো সিনেমা দেখলে কেমন হয়! সমস্যা নেই, খেতে খেতেই সিনেমা দেখতে পাবেন। একসঙ্গে খাওয়া আর সিনেমা দেখার সুবিধা এখন অবশ্য অনেক জায়গাতেই পাওয়া যায়।
কিন্তু খেতে গিয়ে যদি কিছুক্ষণের জন্য ব্যাট–বলও হাতে নিতে ইচ্ছা হয়? কিংবা পরিবারসহ বাইরে বের হওয়ার পর কারও ইচ্ছা হলো সিনেমা দেখার, কারওবা শখের বশে খেলার; তখন?
সমাধান নিয়ে এসেছেন ভারতীয় ক্রিকেটার বিরাট কোহলি। খাওয়া, সিনেমা আর খেলা—বিনোদনের তিন মাধ্যমকে একত্র করে রেস্তোরাঁ চালুর উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। রেস্তোরাঁর নাম ‘ওয়ান৮কমিউন’।
মুম্বাইয়ের জুহুতে প্রতিষ্ঠিত রেস্তোরাঁটির আরও একটি বিশেষত্ব আছে। রেস্তোরাঁটি যেখানে করা হয়েছে, এটি ছিল কিংবদন্তি ভারতীয় গায়ক কিশোর কুমারের বাংলো। ‘গৌরী কুঞ্জ’ নামের বাংলোটিকে পাঁচ বছরের জন্য বরাদ্দ নিয়ে রেস্তোরাঁ বানিয়েছেন কোহলি। আগামী পরশু এটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হবে।
রেস্তোরাঁ চালুর দিন অবশ্য কোহলি উপস্থিত থাকতে পারবেন না। টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে আজ ভারত ছেড়ে অস্ট্রেলিয়ায় রওনা হয়েছেন। তবে যাওয়ার আগে রেস্তোরাঁ নিয়ে তৈরি ‘ফার্স্ট লুক’ ভিডিওতে অংশ নিয়েছেন কোহলি। অভিনেতা মনীষ পালের সঙ্গে রেস্তোরাঁর খাবার, খেলা ও সিনেমা দেখার সুবিধা নিয়ে কথা বলেছেন কোহলি।
রেস্তোরাঁর জায়গা নির্বাচনের কথা বলতে গিয়ে কোহলি জানান, ছেলেবেলায় কিশোর কুমারে মুগ্ধ ছিলেন তিনি, ‘তাঁর গান সত্যি সত্যিই আমাকে খুব স্পর্শ করত। কেউ যদি জিজ্ঞেস করত, কোন মানুষটার সঙ্গে তুমি সাক্ষাৎ করতে চাও, তাঁর কারিশমা এতটাই ছিল যে আমি সব সময়ই কিশোর দার কথা বলতাম।’
ভিডিওর একপর্যায়ে কিশোরের গাওয়া ‘মেরে মেহবুব কেয়ামত হোগি’ গেয়ে উঠতে দেখা যায় কোহলিকে। ভিডিওটি প্রকাশ করা হয় রেস্তোরাঁর অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে।
পরে ভিডিওটির কিছু শট নিয়ে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন কোহলি। ৩৩ বছর বয়সী কোহলি অবশ্য এবারই প্রথম রেস্তোরাঁ ব্যবসায় নামেননি। দিল্লি, কলকাতা ও পুনেতেও ‘ওয়ান৮কমিউন’ নামের রেস্তোরাঁ চালু আছে তাঁর।
এ ছাড়া পিউমার সঙ্গে মিলে ‘ওয়ান৮’ ব্র্যান্ড দাঁড় করিয়েছেন কোহলি, যে নামে পোশাক, সুগন্ধি ও জুতার ব্যবসাও আছে। ওয়ান৮ নামটার মাহাত্ম্য? কোহলির জার্সি নম্বর যে ওয়ান৮, মানে ১৮!