রিজওয়ান-শাকিলের ব্যাটে চড়ে ২৮৬ রানে থামল পাকিস্তান

মোহাম্মদ রিজওয়ান ও সৌদ শাকিল দুজনই ফিফটি তুলে নেনছবি: এএফপি

টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামার আগে পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম বলেছিলেন, তাঁদের লক্ষ্য ২৯০ থেকে ৩০০ রানের মতো। প্রথম ১০ ওভারের মধ্যে ৩ উইকেট হারানোর পর সেটি মনে হচ্ছিল অনেক দূরের পথ।

মাঝে মোহাম্মদ রিজওয়ান ও সৌদ শাকিলের ১১৪ বলে ১২০ রানের জুটিতে সেটি চলে এসেছিল নাগালে। এরপর ৩০ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে আবার চাপে পড়া, শাদাব খান ও মোহাম্মদ নেওয়াজের জুটিতে আবার আশা পাওয়া। ২৫২ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলার পরও অবশ্য পাকিস্তান গেছে ২৮৬ রান পর্যন্ত, তবে ১২ বছর পর বিশ্বকাপ খেলতে নামা নেদারল্যান্ডস নিজেদের ভালো একটা সুযোগই দেখবে ম্যাচের মাঝপথে।

পাকিস্তানের টপ অর্ডার নিয়ে আলোচনা ছিল আগে থেকেই। সেটি সফল হয়নি আজও। লোগান ফন বিককে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে প্রথমে ফেরেন ফর্মহীনতায় ভোগা ফখর জামান। কলিন অ্যাকারম্যান ও পল ফন মিকেরেন আঘাত করেন নিজেদের প্রথম ওভারেই—মিকেরেনকে হুক করতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে ধরা পড়েন ইমাম-উল-হক, অ্যাকারম্যানকে পুল করতে গিয়ে মিডউইকেটে ক্যাচ দেন বাবর। ৩৮ রানে ৩ উইকেট হারায় পাকিস্তান, প্রথম ১০ ওভারে তোলে ৪৩ রান। ২০১৯ বিশ্বকাপের পর থেকে প্রথম পাওয়ারপ্লেতে ২ উইকেট হারানো দুই–তৃতীয়াংশ ম্যাচেই হেরেছে পাকিস্তান।

চতুর্থ উইকেটে ১২০ রান যোগ করেন রিজওয়ান–শাকিল
ছবি: এএফপি

তবে সে পরিসংখ্যানকে খুব একটা চোখ রাঙাতে দেননি মোহাম্মদ রিজওয়ান ও সৌদ শাকিল। দুজনই ছিলেন দারুণ ইতিবাচক। চার নম্বরে এ বছর ৬২.৮০ গড় রিজওয়ানের, আজও সফল হয়েছেন। এ বছর এ পজিশনে চতুর্থ ফিফটিটি পান তিনি, লাগে ৫৮ বল। শাকিল ব্যাটিং করেছেন আরও দ্রুতগতিতে, তাঁর ফিফটি করতে লাগে মাত্র ৩২ বল। দুজনের জুটির সময় নেদারল্যান্ডসকে মনে হচ্ছিল ক্লান্ত।

আরও পড়ুন

তবে ঠিকই ঘুরে দাঁড়ায় ডাচরা। সে জুটি ভাঙেন আরিয়ান দত্ত। টানা ভালো বোলিংয়ের পুরস্কার পান এ স্পিনার, সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ দেন ৫২ বলে ৬৮ রান করা শাকিল। এরপর হায়দরাবাদে চলে বাস ডি লিডির শো। ১৯৯৬ সালে নেদারল্যান্ডসের প্রথম বিশ্বকাপে খেলেছিলেন বাসের বাবা টিম ডি লিডি, পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাটিং করে ১৯ বল খেলে রান করতে পারেননি, পরে বোলিংয়ে ৪ ওভারে ছিলেন উইকেটশূন্য। তবে ছেলের পারফরম্যান্স হলো ভিন্ন রকমই।

পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর মোহাম্মদ রিজওয়ান
ছবি: এএফপি

একই ওভারে রিজওয়ান ও ইফতিখার তাঁর শিকার। রিজওয়ান বোল্ড, ইফতিখার কট বিহাইন্ড। ১৮৮ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তান ধুঁকছে তখন। তাদের উদ্ধারে এগিয়ে আসেন দুই স্পিনার—শাদাব খান ও মোহাম্মদ নেওয়াজ। ৭০ বলে সপ্তম উইকেটে দুজন যোগ করেন ৬৪ রান। এরপর আবার দৃশ্যপটে ডি লিডি। পরপর দুই বলে নেই শাদাব ও হাসান আলী ২৫২ রানে পাকিস্তানের নেই ৮ উইকেট। শাহিন শাহ আফ্রিদির ১২ বলে ১৩ ও হারিস রউফের ১৪ বলে ১৬ রানের ইনিংসে অবশ্য পাকিস্তান যায় ‘কাঙ্ক্ষিত’ ২৯০-এর কাছে। তবে ১ ওভার বাকি থাকতেই অলআউট তারা।

আরও পড়ুন