- স্বাগতম
- টস
- বাংলাদেশ দলে একটি পরিবর্তন
- অপরিবর্তিত শ্রীলঙ্কা
- ভোট দিন
- প্রথম ওভারেই বেঁচে গেলেন নিশাঙ্কা
- ৫ ওভারে উইকেটশূন্য শ্রীলঙ্কা
- করুনারত্নের সঙ্গে দ্বৈরথ জিতলেন হাসান
- হাসানের ওভারে দুই চার
- দুই প্রান্তে দুই বাঁহাতি স্পিনার
- হাসান ও উদ্যাপন
- বেঁচে গেলেন নিশাঙ্কা, মেন্ডিসের সঙ্গে ফিফটি জুটি
- মেন্ডিসকে জীবন দিলেন শামীম
- নিশাঙ্কাকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন শরীফুল
- ২৫ ওভারে ১১৩/২
- মেন্ডিসের ফিফটি
- নিশাঙ্কার পর মেন্ডিসও শরীফুলের শিকার
- ফিরলেন তাসকিন
- সফল তাসকিন
- ফিরতি স্পেলে সফল হাসানও
- শ্রীলঙ্কা কত রান করবে?
- মিতব্যয়ী নাসুম
- সামারাবিক্রমার ফিফটি
- শ্রীলঙ্কার ২০০
- শানাকাকে থামালেন হাসান
- উইকেটশূন্য সাকিব
- হাসানের ফুটওয়ার্কে ফিরলেন ভেল্লালাগে
- হাসান ৩/৫৭
- সামারাবিক্রমা ৯৩, শ্রীলঙ্কা ২৫৭
- ওপেনিংয়ে মিরাজ
- তিকশানাকে দুই চার মিরাজের
- মিরাজকে ওপেনিংয়ে পাঠানোর সিদ্ধান্ত সমর্থন করেন?
- ইতিবাচক শুরু বাংলাদেশের
- ১০ ওভারে ৪৭/০
- জুটির সঙ্গে দলের ৫০
- মিরাজ আউট
- ১৩তম ওভারে পঞ্চম বোলার
- নাঈমও শানাকার শিকার
- রিভিউ হারাল শ্রীলঙ্কা
- সফল রিভিউ, ফিরলেন সাকিব
- নাজিমউদ্দিনের পর নাঈম
- লিটনও ফিরলেন
- ১০ ওভারে বদলে যাওয়া চিত্র
- বাড়ছে প্রয়োজনীয় রান রেটের বোঝা
- ৫০ রানের জুটি মুশফিক-হৃদয়ের
- দুই দল যখন কাছাকাছি
- মুশফিককে ফিরিয়ে ব্রেকথ্রু দিলেন শানাকা
- হৃদয়ের ফিফটি
- ৬০ বলে ৮১
- ওদিকে নাসুম, এদিকে ভেল্লালাগে
- তিকশানার বলে এলবিডব্লিউ শামীম
- ৪২ বলে ৬৮
- হৃদয়কে থামালেন তিকশানা
- তিকশানার জোড়া আঘাত
- তিকশানার দুই রকম রাত
- ২৪ বলে ৪২
- রইল বাকি এক
- ১৮ বলে ৩৪
- ১২ বলে ২২
- ২১ রানে হারল বাংলাদেশ
- হারের যে কারণ দেখেন সাকিব
- জিতেই চলেছে শ্রীলঙ্কা
স্বাগতম
কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে আজ এশিয়া কাপের সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি বাংলাদেশ। সুপার ফোরে প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ৭ উইকেটে হেরেছে সাকিব আল হাসানের দল।
টস
টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
বাংলাদেশ দলে একটি পরিবর্তন
টসের সময় বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান জানিয়েছেন, দলে আফিফ হোসেনের জায়গায় স্পিনার নাসুম আহমেদকে অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ দল: সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মোহাম্মদ নাঈম, লিটন দাস, তাওহিদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, শামীম হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, শরীফুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ ও নাসুম আহমেদ।
অপরিবর্তিত শ্রীলঙ্কা
শ্রীলঙ্কা দলে কোনো পরিবর্তন নেই। গ্রুপপর্বে আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচের একাদশ নিয়েই নামছে স্বাগতিকেরা।
শ্রীলঙ্কা একাদশ
পাতুম নিশাঙ্কা, দিমুথ করুনারত্নে, কুশল মেন্ডিস, সাদিরা সামারাবিক্রমা, চারিত আসালাঙ্কা, ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা, দাসুন শানাকা (অধিনায়ক), দুনিথ ভেল্লালাগে, মহীশ তিকসানা, কাসুন রাজিতা ও মাতিশা পাতিরানা।
ভোট দিন
প্রথম ওভারেই বেঁচে গেলেন নিশাঙ্কা
আম্পায়ার জয়ারমন মদনগোপাল আউট দিতে সময় নেননি একেবারেই। পাতুম নিশাঙ্কা অবশ্য একটু সময় নেন রিভিউ করতে। তবে উচ্চতা নিয়ে সংশয় ছিলই। শেষ পর্যন্ত বল ট্র্যাকিং দেখিয়েছে, বল যেত স্টাম্পের ওপর দিয়েই। প্রথম চার বলে দুর্দান্ত শুরুর পুরস্কার পেয়েই গিয়েছিলেন তাসকিন, শেষ পর্যন্ত তা পাননি।
প্রথম বলেই ইনসাইড-এজ হয়েছিল, তাতে উল্টো চার পান নিশাঙ্কা। সিম দিয়ে এরপর তাঁকে অস্বস্তিতে ফেলেন তাসকিন, চতুর্থ বলে গিয়ে ভেতরের দিকে ঢোকা বলে নিশাঙ্কাকে তো এলবিডব্লিউ দেন আম্পায়ার। পঞ্চম বলে অবশ্য ফুললেংথে পেয়ে কাভার ড্রাইভে চার মারেন নিশাঙ্কা। শেষ বলে গিয়ে আবার ঘুরে দাঁড়ান তাসকিন।
প্রথম ওভারে এসেছে ৮ রান। কিন্তু তাতে মোটেও হতাশ হওয়ার কথা নয় বাংলাদেশের। পেসারদের জন্য যথেষ্ট মুভমেন্ট আছে এ উইকেটে। দ্রুত উইকেটের আশা বাংলাদেশ করতেই পারে।
৫ ওভারে উইকেটশূন্য শ্রীলঙ্কা
উইকেটে মুভমেন্ট আছে। দুই স্লিপ নিয়ে আক্রমণাত্মক ফিল্ডিং-ও আছে। কিন্তু নিজের প্রথম ওভারে শরীফুল, পরে নিজের দ্বিতীয় ওভারে তাসকিন ঠিক লাইনটা খুঁজে পাননি। অফ স্টাম্পের বাইরের লাইনে বা ডাউন দ্য লেগে করেছেন তাঁরা, করুনারত্নে ও নিশাঙ্কা যেগুলোর বিপক্ষে নিরাপদ পথে হেঁটেছেন। শরীফুলের বল প্যাডের ওপর পেয়ে চারও মারেন করুনারত্নে।
চতুর্থ ওভারে শরীফুলের জায়গায় হাসান মাহমুদকে আনেন সাকিব। হাসান অবশ্য হুমকি তৈরি করেছেন। করুনারত্নে ফ্লিক করতে গিইয়ে ক্যাচের মতো তুলেছিলেন, যদিও সেটি মিডউইকেট বা মিড অনের ফিল্ডার পর্যন্ত পৌঁছায়নি। এরপর আউটসাইড-এজ তাক করে বোলিং করেছেন।
নিজের তৃতীয় ওভারে তাসকিনও খুঁজে পেয়েছেন সে লাইন। এ উইকেটে সফল হতে গেলে ব্যাটসম্যানকে খেলতে বাধ্য করতে হবে বা প্রলুব্ধ করতে হবে, সেটি বলায় যায়। শুরুর ব্রেকথ্রুও গুরুত্বপূর্ণ। ৫ ওভারশেষে বাংলাদেশ সেটির দেখা পায়নি। শ্রীলঙ্কা তুলেছে ২৬ রান।
করুনারত্নের সঙ্গে দ্বৈরথ জিতলেন হাসান
অফ স্টাম্প লাইনে প্যাডের ওপর পেয়ে ঘুরিয়ে মারার পর ফুললেংথ থেকে স্ট্রেইট ড্রাইভে চার। হাসান মাহমুদের ওপর চড়াও হয়েছিলেন করুনারত্নে। হাসান ঘুরে দাঁরালেন দুর্দান্তভাবে। দুর্দান্ত সিম পজিশন, লেংথ থেকে উঠছিল বলটা। স্টাম্প রক্ষা করতে ব্যাট বাড়াতে বাধ্য হলেন করুনারত্নে, তাতেই আউটসাইড-এজ। বাকি কাজটা উইকেটের পেছনে করেছেন মুশফিক। ষষ্ঠ ওভারে বাংলাদেশকে প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দিলেন হাসান। শ্রীলঙ্কা তুলেছে ৩৪ রান।
হাসানের ওভারে দুই চার
শুরুতে হুমকি তৈরি করেছিলেন। এরপর অতি আত্মবিশ্বাসী হয়ে গেলেন হাসান। ব্যাটের ফেস ওপেন করে পয়েন্ট দিয়ে মারার পর পয়েন্টের ওপর দিয়ে ড্রাইভ করে দুটি চার নিশাঙ্কার। করুনারত্নেকে ফেরালেও শ্রীলঙ্কার রানের গতি সেভাবে আটকাতে পারেনি বাংলাদেশ। প্রথম ৮ ওভারে উঠেছে ৪৭ রান।
দুই প্রান্তে দুই বাঁহাতি স্পিনার
তিন পেসারকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ব্যবহার করার পর নবম ওভারে সাকিব নিজেই এসেছেন নবম ওভারে। টার্ন আর বাউন্সের দেখাও পেয়েছেন, উইকেটে বল ধরেছেও। বাংলাদেশ অধিনায়কের প্রথম ওভারে এসেছে মাত্র ১ রান। প্রথম পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে আসেন নাসুম আহমেদ, যিনি এবারের এশিয়া কাপে খেলছেন প্রথম ম্যাচ। নাসুমের ওভারে ৩ রানের বেশি আসেনি, এর মধ্যে একটি লেগ বাই।
১০ ওভারশেষে শ্রীলঙ্কা ৫১/১।
হাসান ও উদ্যাপন
‘ব্যাটসম্যানকে আউট করার পর উদ্যাপন করলে ওর মন খারাপ হবে আরও, এই ভেবেই করি না।’
উইকেট পেয়েও কেন উদ্যাপন করেন না, এমন প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন হাসান মাহমুদ। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে, গত মার্চে সিলেটে এ প্রশ্ন করা হয়েছিল হাসানকে। উইকেট পেয়েও নির্লিপ্তই থাকতেন বাংলাদেশ পেসার।
কিন্তু আজ করুনারত্নেকে ফেরানোর পর দেখা গেল ভিন্ন হাসানকে। বেশ ভালোই উদ্যাপন করলেন বাংলাদেশ পেসার। এর আগে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে ইব্রাহিম জাদরানের উইকেট নিয়েও অবশ্য উদ্যাপন করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। মুশফিকুর রহিম তাঁর বলে নিয়েছিলেন দুর্দান্ত ক্যাচ।
পাকিস্তানের বিপক্ষে অবশ্য উইকেটশূন্যই ছিলেন এ পেসার।
বেঁচে গেলেন নিশাঙ্কা, মেন্ডিসের সঙ্গে ফিফটি জুটি
দুই প্রান্ত থেকে টানা ৬ ওভার করেছেন সাকিব ও নাসুম। নাসুম আঁটসাঁট বোলিং করেছেন, তাঁর প্রথম ৪ ওভারে এসেছে ১০ রান। নিশাঙ্কা বা মেন্ডিস—সেভাবে ঝুঁকি না নিয়েই খেলছেন। করুনারত্নেকে হারানোর ধাক্কা সামাল দিয়ে জুটি বড় করছেন তাঁরা।
১৯তম ওভারে হাসান মাহমুদকে ফেরানো হয়েছে। স্লিপ নেই, নিশাঙ্কার ক্যাচ নিতে ডানদিকে ডাইভ দিয়েছিলেন মুশফিক। কিন্তু আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে ইব্রাহিমের ক্যাচটির পুনরাবৃত্তি করতে পারেননি তিনি। অবশ্য শুরুতে বাঁদিকে একটু এগিয়েছিলেন, পরে ডানদিকে ঝাঁপ দিতে হয়েছে। গ্লাভসে অবশ্য পেয়েছিলেন, রাখতে পারেননি। নিশাঙ্কার রান ছিল ৩৬।
এ ওভারেই মেন্ডিস ও নিশাঙ্কার জুটিতে ৫০ রান উঠে গেছে, লেগেছে ৮০ বল। ১৯তম ওভারশেষে দুজনের কারও স্ট্রাইক রেটই ৭০-এর ওপরে নয়। ১৯ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে শ্রীলঙ্কা তুলেছে ৮৫ রান।
মেন্ডিসকে জীবন দিলেন শামীম
নিশাঙ্কার পর এবার জীবন পেলেন মেন্ডিসও। শরীফুলের শর্ট লেংথের বলে পুল করেছিলেন মেন্ডিস, স্কয়ার লেগে থাকা শামীমের হাত গলে বেরিয়ে গেছে সেটি। তার ওপর হয়েছে ছক্কা। ২৯ রানে জীবন পেলেন মেন্ডিস। শামীম কেন বাউন্ডারি লাইনে না থেকে বেশ ভেতরে ছিলেন, সেটিও প্রশ্ন। এরপরও ক্যাচটি কঠিন ছিল, তা বলা যাবে না।
শরীফুল ও বাংলাদেশের কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা হয়ে এসেছে এক বল পর মেন্ডিসের আউটসাইড-এজ। স্লিপ আগে থেকেই নেই, মুশফিক এবার ডাইভ দেওয়ারও সুযোগ পাননি। ওই চারেই ১০০ পেরিয়েছে বাংলাদেশ। ২২ ওভারশেষে ১০৩ রান শ্রীলঙ্কার।
নিশাঙ্কাকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন শরীফুল
শরীফুলের স্লোয়ারে ব্যাট নামাতে দেরি করে ফেলেছেন নিশাঙ্কা। আম্পায়ার পল উইলসনের দেওয়া এলবিডব্লিউর সিদ্ধান্ত প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই রিভিউ করেছিলেন, তবে বাঁচেননি। বল ব্যাটের আগে লেগেছে প্যাডে, ইমপ্যাক্টে আম্পায়ার্স কল। ৭৪ রানের জুটি অবশেষে ভাঙলেন শরীফুল। নিশাঙ্কা থেমেছেন ৬০ বলে ৪০ রান করে, যিনি জীবন পেয়েছিলেন ৩৬ রানে।
আগের ওভারের মেন্ডিসকে আউট করার দুটি সুযোগ তৈরি করলেও সফল হননি শরীফুল। এবার ফেরালেন নিশাঙ্কাকে।
২৫ ওভারে ১১৩/২
একটু আগেও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিল শ্রীলঙ্কার হাতেই। নিশাঙ্কাকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে লড়াইয়ে ফিরিয়েছেন শরীফুল।
মেন্ডিসের ফিফটি
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৯২ রানের ইনিংসের পর এবার বাংলাদেশের বিপক্ষে আরেকটি ফিফটি মেন্ডিসের। শরীফুলের বলে পুল করে মারা চারে ক্যারিয়ারের ২৪তম ফিফটি পূর্ণ করেছেন তিনি। এ ইনিংসে ভাগ্যের সহায়তা পেয়েছেন ভালোভাবেই। বাংলাদেশকে আরও কতটা হতাশ করবেন, প্রশ্ন সেটিই।
নিশাঙ্কার পর মেন্ডিসও শরীফুলের শিকার
শরীফুল, শরীফুল! শ্রীলঙ্কার দুই থিতু ব্যাটসম্যানকেই ফেরালেন এ বাঁহাতি পেসার। এর আগে শর্ট বলে ক্যাচ তুলেও বেঁচে গিয়েছিলেন মেন্ডিস। এবার অবশ্য অফ স্টাম্পের বাইরে করেছিলেন শরীফুল, লেংথ কমিয়ে এনেছিলেন আরও। এ ওভারেই ফিফটি পূর্ণ করা মেন্ডিস সে বলে ব্যাট চালিয়েছিলেন, কিন্তু ডিপ থার্ডম্যানে থাকা তাসকিনকে পেরোতে পারেননি। ২৯ রানে জীবন পাওয়া মেন্ডিস শরীফুলের বলেই থামলেন ঠিক ৫০ রান করে। ক্রিজে দুই নতুন ব্যাটসম্যান, চাপ আবার শ্রীলঙ্কার ওপরই।
ফিরলেন তাসকিন
ক্রিজে এতক্ষণ ছিলেন দুই ডানহাতি। বাঁহাতি চারিত আসালাঙ্কা আসার পর অফ স্পিনার মিরাজকে এনেছেন সাকিব।
অন্যপ্রান্তে শরীফুলকে সরিয়ে আনা হয়েছে তাসকিনকে। প্রথম বলেই ক্যাচ তুলেছিলেন সামারাবিক্রমা। কিন্তু মিড অফে থাকা তাওহিদ হৃদয় তাঁর বাঁদিকে ছুটে ডাইভ দিয়েও নাগাল পাননি সেটির।
৩০ ওভারে ১৩১/৩।
সফল তাসকিন
সামারাবিক্রমা এভাবে শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ তুলেছিলেন, কিন্তু বেঁচেও গিয়েছিলেন। আসালাঙ্কা বাঁচলেন না। তাসকিনের স্লোয়ারে তুলে মারতে চেয়েছিলেন। মিড অনে থাকা সাকিব তাঁর ডানদিকে ছুটে নিয়েছেন ভালো ক্যাচ। জুটি বড় হতে দিলেন না তাসকিন। আসালাঙ্কা থেমেছেন ২৩ বলে ১০ রান করে। শরীফুল ফিরে এসে সফল হয়েছিলেন, ফিরতি স্পেলে সফল তাসকিনও।
কুশল মেন্ডিসকে ফেরানোর পর শরীফুলের উদ্যাপন
ফিরতি স্পেলে সফল হাসানও
ফিরতি স্পেলে শরীফুল সফল হয়েছিলেন, এরপর তাসকিনও। এবার উইকেটের দেখা পেলেন হাসান মাহমুদও। এই লেংথে এর আগেও সুযোগ তৈরি করেছিলেন হাসান। অফ স্টাম্পের বাইরের এ চ্যানেলের ডেলিভারিতে খোঁচা দিয়েছেন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। সিম আপ ডেলিভারি পড়ার পর একটু নিচু হয়েছিল। উইকেটের পেছনে সহজ ক্যাচ মুশফিকের। ৪০তম ওভারের আগেই পঞ্চম উইকেট হারিয়ে চাপ আরও বেড়েছে শ্রীলঙ্কার। ৩৭.১ ওভারে ১৬৪ রান স্বাগতিকদের।
শ্রীলঙ্কা কত রান করবে?
মিতব্যয়ী নাসুম
আগের ম্যাচেও তাঁকে খেলানোর কথা উঠলেও সুযোগ দেওয়া হয়নি। নাসুমকে আনা হয়েছে এ ম্যাচে। নিজের কাজটা দারুণভাবে করলেন এ বাঁহাতি স্পিনার। ১০ ওভারে উইকেট পাননি, কিন্তু দিয়েছেন মাত্র ৩১ রান। তাঁর তৈরি করা চাপের ফল পেয়েছেন বাংলাদেশের পেসাররাও।
সামারাবিক্রমার ফিফটি
যখন নেমেছিলেন, দল বেশ চাপে ছিল। সামারাবিক্রমা সেখানে দাঁড়িয়ে দারুণ ফিফটি পেলেন। শরীফুলকে পুল করে চার মেরেছেন, ইনিংসে যেটি চতুর্থ বাউন্ডারি তাঁর। কিন্তু ৪৫ বলে ফিফটি হয়ে গেছে সামারাবিক্রমার। শেষ পাওয়ারপ্লেতে বাংলাদেশের অন্যতম হুমকি তিনি, সঙ্গে আছেন অধিনায়ক শানাকা।
শ্রীলঙ্কার ২০০
৪৩তম ওভারে ২০০ পেরিয়ে গেল শ্রীলঙ্কা। ৭ ওভার বাকি থাকতে সামারাবিক্রমার সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন শানাকার জুটি।
শানাকাকে থামালেন হাসান
৩৮তম ওভারে সর্বশেষ উইকেটের দেখা পেয়েছিল বাংলাদেশ। সামারাবিক্রমা ও শানাকার জুটি হতাশ করছিল বাংলাদেশকে। ৪৭তম ওভারে এসে সেটি ভাঙলেন হাসান মাহমুদ। ফুললেংথের বলে আগে থেকেই স্কুপ করতে উদ্যত শানাকা স্টাম্পে ডেকে এনেছেন বল। শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক ৩২ বলে করেছেন ২৪ রান। প্রথম ৪ বলে ২টি সিঙ্গেলের সঙ্গে উইকেট—দুর্দান্ত হাসান। এ ওভারে দিলেন মাত্র ৪ রান।
উইকেটশূন্য সাকিব
১০ ওভারে ৪৪ রান দিয়ে উইকেটশূন্য সাকিব। আফগানিস্তান, পাকিস্তানের পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও সাফল্য পাননি বাংলাদেশ অধিনায়ক। ক্যারিয়ারে সর্বশেষ ২০১৮ সালে টানা তিন ম্যাচে উইকেটশূন্য ছিলেন। জানুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুটি ম্যাচের পর জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতেও উইকেটের দেখা পাননি সেবার।
২ ওভার বাকি থাকতে শ্রীলঙ্কার ২৪৩/৬।
হাসানের ফুটওয়ার্কে ফিরলেন ভেল্লালাগে
সামারাবিক্রমা খেলার পর ঠিক খেয়াল করেননি, বল কই গেছে। মাথার ওপর থেকে পড়েছিল স্টাম্পের সামনে। এরপর সিঙ্গেল নিতে যান, তবে ভেল্লালাগে ক্রিজে পৌঁছানোর আগেই হাসানের পা দিয়ে মারা শট ভেঙেছে স্টাম্প। সপ্তম উইকেট হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা, তবে মূল ব্যাপার হলো সামারাবিক্রমা অপরাজিত এখনো।
হাসান ৩/৫৭
৯ ওভারে ৫৭ রান দিয়ে ৩ উইকেটের বোলিং ফিগার নিয়ে শেষ করলেন হাসান মাহমুদ। ৬ বল বাকি থাকতে শ্রীলঙ্কার স্কোর ৭ উইকেটে ২৪৬ রান, সামারাবিক্রমা অপরাজিত ৬৮ বলে ৮৩ রানে।
সামারাবিক্রমা ৯৩, শ্রীলঙ্কা ২৫৭
তাসকিনের বাউন্সারে প্রথম বলে টপ-এজে মুশফিকের হাতে ধরা পড়েছেন মহীশ তিকসানা। পরের বলে রানআউটের সুযোগ থাকলেও তাসকিন ভাঙতে পারেননি স্টাম্প। তাতে স্ট্রাইক ফিরে পান সামারাবিক্রমা। তৃতীয় বলে লেগ স্টাম্পের বাইরে পেয়ে চার মেরেছেন তিনি। এরপর তাসকিন যান অফ স্টাম্পের বাইরে, এবার হাঁটু গেড়ে স্ল্যাশ করে পয়েন্টের ওপর দিয়ে ছক্কা দিয়ে ৯০ পেরোন তিনি। শেষ বলে তুলে মেরেছিলেন, ওয়াইড লং অনে ধরা পড়েছেন স্লোয়ারে। ৯৩ রানেই থেমেছেন সারামাবিক্রমা, শ্রীলঙ্কা থেমেছে ২৫৭ রানে। তাসকিনের এটি তৃতীয় উইকেট।
আর প্রেমাদাসার উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য সহজ, সেটি বলা যাবে না মোটেও। পেসাররা যেমন মুভমেন্টের দেখা পেয়েছেন, আছে অসম বাউন্স। স্পিনাররাও টার্ন ও বাউন্স পেয়েছেন এখানে। শেষ কয়েকদিন বৃষ্টি হয়েছে কলম্বো, স্বাভাবিকভাবেই উইকেটের প্রভাব আছে তাতে।
নিশাঙ্কা, মেন্ডিসের পর সামারাবিক্রমা খেলেছেন গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস। নিশাঙ্কা ও মেন্ডিস ইনিংস বড় করতে না পারলেও সামারাবিক্রমা ঠিকই করেছেন। তাঁর ৭২ বলে ৯৩ রানের ইনিংসই
পেসারদের পুরো ইনিংসেই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ব্যবহার করেছেন সাকিব। ইনিংসে ৮টি উইকেট তিন পেসারের, ১টি রানআউট। অবশ্য তিন পেসারই ওভারপ্রতি দিয়েছেন ৬ বা এর বেশি রান।
ওপেনিংয়ে মিরাজ
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেঞ্চুরি, পাকিস্তানের বিপক্ষে গোল্ডেন ডাক। পরপর দুই ম্যাচে ওপেনিংয়ে এসে মুদ্রার দুই পিঠ দেখে ফেলা মিরাজকে আবার পাঠানো হয়েছে ওপেনিংয়ে। শেষ বলে গিয়ে স্ট্রাইক পেয়েছেন, তাতে পরাস্ত হয়েছেন। প্রথম দুই বলে দুই ওয়াইড দিয়ে শুরু করলেও কাসুন রাজিতা প্রথম ওভারে ৩ রানের বেশি দেননি।
তিকশানাকে দুই চার মিরাজের
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের বোলিং-ও বলছিল, এ উইকেটে স্পিনারদের মোকাবেলা করা সহজ হবে না। শ্রীলঙ্কার ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই মহীশ তিকসানার আসা তাই বিস্ময়কর নয়। মিরাজ অবশ্য তাঁকে স্বাগত জানিয়েছেন দুই চারে। কাট করে চারের পর ড্রাইভ করে মেরেছেন আরেকটি।
ইনিংস রিপোর্ট
পাল্লেকেলে, লাহোর কিংবা প্রেমাদাসা…ভেন্যু যা-ই হোক, বাংলাদেশ দলের পেস বোলিং আক্রমণ দাপট দেখাবেই। এ যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজ যেমন শ্রীলঙ্কাকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে ৯ উইকেটে ২৫৭ রানে থামানোর কাজটা করেছেন পেসাররাই। লঙ্কানদের ৯ উইকেটের ৮টিই ভাগাভাগি করে নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ, শরীফুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদ। শ্রীলঙ্কার ইনিংসে রান আউট ছিল একটি, সেটাও করেছেন পেসার হাসান।
মিরাজকে ওপেনিংয়ে পাঠানোর সিদ্ধান্ত সমর্থন করেন?
ইতিবাচক শুরু বাংলাদেশের
তিকশানাকে ১ ওভার করিয়েই সরিয়ে ফেলেছেন শানাকা, এসেছেন নিজে। প্রথম ৫ ওভারে ২৮ রান, শুরুটা বাংলাদেশ করেছে ইতিবাচক। এ উইকেটে ২৫৮ রানের লক্ষ্য ভালো শুরুটা স্বাভাবিকভাবেই গুরুত্বপূর্ণ।
১০ ওভারে ৪৭/০
ফ্লাডলাইটের আলোয় একটু হলেও ব্যাটে ভালোভাবে আসছে বল। নাঈম ও মিরাজ সেভাবে ঝুঁকি নেননি, কিন্তু রান এসেছে ঠিকই। নাঈম অবশ্য ঠিক স্বচ্ছন্দে নেই। ৩৭ বলে করেছেন মাত্র ১৯ রান, অন্যদিকে ২৩ বলে ২২ রান মিরাজের। প্রথম পাওয়ারপ্লের ১০ ওভারে বাংলাদেশ তুলেছে ৪৭ রান। এ সময়ে ৫১ রান তুলেছিল শ্রীলঙ্কা, দিমুথ করুনারত্নের উইকেট হারিয়ে। বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি অবিচ্ছিন্ন।
জুটির সঙ্গে দলের ৫০
প্রথম পাওয়ারপ্লে শেষেই আসা পাতিরানাকে ফ্লিক করে চার মেরেছেন মিরাজ। ওপেনিং জুটির সঙ্গে দলীয় সংগ্রহও ৫০ পেরিয়েছে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৬০ রানের পর পাকিস্তানের বিপক্ষে নাঈম ও মিরাজের জুটি থেমেছিল কোনো রান না তুলেই।
মিরাজ আউট
এবং থামলেন মিরাজ! শানাকা এক প্রান্ত থেকে করে যাচ্ছিলেন বোলিং, সফলও হলেন। শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক শর্ট লেংথের বলে পুল করতে গিয়ে টাইমিং ঠিকঠাক হয়নি মিরাজের, ব্যাটের স্টিকারে লেগে ক্যাচ গেছে মিডউইকেটে। ৫৫ রানে ভেঙেছে ওপেনিং জুটি, তাতে মিরাজের অবদান ২৯ বলে ২৮ রান।
১৩তম ওভারে পঞ্চম বোলার
সাকিব পেসারদের ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ব্যবহার করেছিলেন। শানাকা সব বোলারকেই তাই করছেন। ১৩তম ওভারে পঞ্চম বোলার হিসেবে এসেছেন বাঁহাতি স্পিনার দুনিথ ভেল্লালাগে। নাঈম এখনো খোলসের ভেতর, ৪৩ বলে ২১ রান তাঁর।
নাঈমও শানাকার শিকার
আরেকটি শর্ট বল, শানাকার আরেকটি উইকেট। মিরাজের পর এবার নাঈমও শ্রীলঙ্কা অধিনায়কের শিকার। মিরাজ তবুও পুল করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু নাঈম বুঝেই উঠতে পারেননি শর্ট বলটা। ব্যাট সরিয়েও নিতে পারেননি, শেষ মুহূর্তে ব্যাট চালাতে বা নামাতে গিয়ে খাড়া ওপরে তুলেছেন ক্যাচ। ৪৬ বলে ২১ রানের ইনিংসটিতে নাঈম স্বচ্ছন্দ ছিলেন না একেবারেই, ধীরগতির ব্যাটিং পুষিয়ে দেওয়ার আগেই ফিরতে হলো তাঁকে।
রিভিউ হারাল শ্রীলঙ্কা
শ্রীলঙ্কা অধিনায়কের বলে এলবিডব্লিউর আবেদন হলো বাংলাদেশ অধিনায়কের বিপক্ষে। আম্পায়ার আউট না দেওয়াতে রিভিউ নিলেন শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক। বল ট্র্যাকিং দেখিয়েছে, সেটি লেগ স্টাম্পের বেশ বাইরেই পড়েছে। শ্রীলঙ্কা রিভিউ হারিয়েছে তাই। সাকিব অক্ষত।
১৪ ওভারে ৬১/২।
সফল রিভিউ, ফিরলেন সাকিব
শ্রীলঙ্কানরা আবেদন করেছে, রিভিউ নেওয়ার পর উদ্যাপনও করেছে। এবং সেটি যথার্থ! উইকেটটি যে সাকিব আল হাসানের! পাতিরানার রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে অ্যাঙ্গেল করে বেরিয়ে যাওয়া বলে ব্যাট চালিয়েছিলেন সাকিব। বাংলাদেশ অধিনায়ক হয়েছেন কট-বিহাইন্ড। গ্রুপপর্বে পাল্লেকেলেতেও পাতিরানার বলেই কট-বিহাইন্ড হয়েছিলেন সাকিব।
সাকিব ও লিটনের চোখেমুখে যেমন অন্ধকার, ঠিক ততটাই উজ্জ্বল শ্রীলঙ্কানদের চেহারা! ডাগআউটে প্রধান কোচ ক্রিস সিলভারউডের উদ্যাপন দেখে তো মনে হয়েছে তিনিই উইকেট পেয়ে গেছেন। ম্যাচের প্রেক্ষাপটে অনেক গুরুত্বপূর্ণ উইকেট হারাল বাংলাদেশ। চাপ যে বাড়ল আরও, তা আলাদা করে না বললেও চলছে।
১৬ ওভারশেষে ৩ উইকেটে ৭৩ রান বাংলাদেশের।
নাজিমউদ্দিনের পর নাঈম
এ শতাব্দীতে এশিয়া কাপে বাংলাদেশের কোনো ওপেনারের এটি দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্ট্রাইক রেট, যে ইনিংস কমপক্ষে ৪০ বল স্থায়ী হয়েছে। ২০১২ সালে মিরপুরের ফাইনালে নাজিমউদ্দিন খেলেছিলেন ৫২ বলে ১৬ রানের ইনিংস। স্ট্রাইক রেট ছিল ৩০.৭৬। বাংলাদেশ সে ম্যাচ হেরেছিল ২ রানে।
লিটনও ফিরলেন
দুনিথ ভেল্লালাগের অফ স্টাম্পের বাইরে ঝুলিয়ে দেওয়া বল। লিটন জায়গা থেকেই বড়সড় ড্রাইভ করতে গেলেন। ব্যাটের নিচের কানায় লেগে ক্যাচ গেছে কুশল মেন্ডিসের হাতে। প্রথম দফা ধরতে না পারলেও কোলের ওপর আটকেছে ক্যাচ। ২৪ বলে ১৫ রানে শেষ লিটনের ইনিংস। বাংলাদেশ চতুর্থ উইকেট হারিয়েছে ৮৩ রানে।
১০ ওভারে বদলে যাওয়া চিত্র
আর প্রেমাদাসায় ২৫৮ রানের লক্ষ্যে শুরুটা ইতিবাচকই হয়েছিল বাংলাদেশের। কিন্তু ১১-২০ ওভারের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে পথ হারাতে ধরেছে তারা।
শেষ ৩০ ওভারে দরকার ১৭৪ রান। মুশফিকুর রহিম ও তাওহিদ হৃদয় ক্রিজে। স্বীকৃত ব্যাটসম্যান আসতে বাকি শুধু শামীম হোসেন।
বাড়ছে প্রয়োজনীয় রান রেটের বোঝা
দ্রুত উইকেট হারানোর পর সতর্ক মুশফিক ও হৃদয়। যখন আসতে বাকি একজন স্বীকৃত ব্যাটসম্যান, তখন উইকেট ধরে রাখার দিকে নজর দেওয়াটা স্বাভাবিক। কিন্তু ঝামেলা হলো, সেটি করতে গিয়ে বাড়ছে প্রয়োজনীয় রান রেটের চাপ।
৫০ রানের জুটি মুশফিক-হৃদয়ের
৫০ রানের জুটি হলো মুশফিক ও হৃদয়ের। এখন ৮৫ বলে ৫২ রানে অবিচ্ছিন্ন সেটি। কাজ বাকি অনেকটাই, তবে বাংলাদেশকে নিশ্চিতভাবেই আশা দিচ্ছেন দুজন। ১৭ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ১২৩ রান।
দুই দল যখন কাছাকাছি
৩৫ ওভারশেষে শ্রীলঙ্কার স্কোর ছিল ৪ উইকেটে ১৫৩ রান। বাংলাদেশের রান সেখানে সমান উইকেট হারিয়ে ১৪৯। ৩৬তম ওভারে ১৫০ ছুঁয়ে ফেলছে বাংলাদেশ।
শেষ ১৫ ওভারে শ্রীলঙ্কার লাফের পেছনে বড় অবদান ছিল সামারাবিক্রমার দুর্দান্ত ইনিংসের। বাংলাদেশের অবশ্য এখন দুই ব্যাটসম্যানই থিতু। এ জুটিটা ম্যাচের প্রেক্ষিতে গুরুত্বপূর্ণ অনেক, সেটি আলাদা করে না বললেও চলছে।
মুশফিককে ফিরিয়ে ব্রেকথ্রু দিলেন শানাকা
আবার সেই শানাকা। সামনে এসে জায়গা বানিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন মুশফিক, কিন্তু মিড অফে কাসুন রাজিতার হাতে ধরা পড়েছেন। হয়ত যতটা চেয়েছিলেন, বল ততটা ওঠেনি। বাংলাদেশকে আশা জোগানো জুটি থামল এখানেই—৭২ রানে। গতি বাড়াতে গিয়ে ফিরে যেতে হলো মুশফিককে। শ্রীলঙ্কা অধিনায়কের এটি তৃতীয় উইকেট।
হৃদয়ের ফিফটি
শানাকাকে চার মেরে ফিফটি তাওহিদ হৃদয়ের। লেগ স্টাম্পের বাইরে পেয়েছিলেন, ব্যাট চালিয়েছেন তাতে। ৭৩ বল লেগেছে তাঁর। ৭২ বলে প্রয়োজন ৯৮ রান, ক্রিজে শেষ স্বীকৃত জুটি বাংলাদেশের।
৬০ বলে ৮১
তৃতীয় পাওয়ারপ্লেতে ইনিংস। মানে বৃত্তের বাইরে রাখা যাবে বাড়তি আরেকজন ফিল্ডার। শেষ ১০ ওভারে বাংলাদেশের জয়ের জন্য প্রয়োজন ৮১ রান। সেটি নাগালেই। কিন্তু সমস্যা হলো এটিই শেষ স্বীকৃত জুটি বাংলাদেশের। হৃদয়ের সঙ্গে আছেন এ সংস্করণে মাত্র তৃতীয় ম্যাচ খেলতে নামা শামীম হোসেন। সাম্প্রতিক সময়ে এমন পজিশনে বাংলাদেশের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলা মিরাজকে আজও ওপেনিংয়ে পাঠানো হয়েছিল।
হৃদয় অপরাজিত আছেন ৬৫ রানে।
ওদিকে নাসুম, এদিকে ভেল্লালাগে
বাংলাদেশ ইনিংসে আঁটসাঁট বোলিং করেছিলেন বাঁহাতি স্পিনার নাসুম। ১০ ওভারে ৩১ রান দিয়েছিলেন। দুনিথ ভেল্লালাগে ছাড়িয়ে গেলেন তাঁকেও। ১০ ওভারে তিনি দিয়েছেন মাত্র ২৬ রান। নাসুম উইকেটশূন্য থাকলেও ভেল্লালাগে নিয়েছেন লিটনের উইকেট।
৫৪ বলে দরকার ৭৮ রান।
তিকশানার বলে এলবিডব্লিউ শামীম
৫ ওভারে ৩৭ রান—তিকশানা ছিলেন খরুচে। ষষ্ঠ ওভারে এসে পেলেন উইকেটের দেখা। তাঁর ক্যারম বল পেছনের পায়ে ভর দিয়ে খেলতে গিয়ে মিস করে যান শামীম। এলবিডব্লিউর সিদ্ধান্ত রিভিউ করলেও কাজে আসেনি। হৃদয়ের ওপর সব চাপের বোঝা চাপিয়ে ফিরে গেলেন শামীম।
৪২ বলে ৬৮
প্রেমাদাসার গ্যালারির ফাঁকা অনেকটাই। কিন্তু যাঁরা আছেন, তাঁরাও স্তব্ধ হয়ে গেলেন একটু সময়ের জন্য। পাতিরানাকে কাট করে হৃদয়ের মারা চারের পর ওই অবস্থা। অবশ্য ম্যাচের যা অবস্থা, তাতে হৃদয়ের এমন শট লাগবে অনেকগুলো। ৪২ বলে দরকার ৬৮ রান। ৭৬ রানে অপরাজিত হৃদয়।
হৃদয়কে থামালেন তিকশানা
নো বল, সে সুবাদে পাওয়া ফ্রি হিটে ছক্কা। হৃদয় ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন ভালো কিছুর। কিন্তু পরের বলেই মিস করে এলবিডব্লিউ। মাঠে আউট দেওয়ার মানে, রিভিউ নিয়ে সে সিদ্ধান্ত বদলাতে মিস করে যেতে হতো স্টাম্প। কিন্তু বল ট্র্যাকিং দেখিয়েছে, লেগ স্টাম্প ক্লিপ করে যেত তিকশানার সে বল। শ্রীলঙ্কানদের উদ্যাপনই বলে দেয়, হৃদয় কতটা খচখচানির কারণ হয়ে ছিলেন তাঁদের জন্য। জয়ের জন্য এখনো প্রয়োজন ৬০ রান।
হৃদয় থেমেছেন ৯৭ বলে ৮২ রান করে। দারুণভাবে এগোচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁর লড়াই বৃথাই গেল সম্ভবত।
তিকশানার জোড়া আঘাত
তিকশানার বলে আরেকটি এলবিডব্লিউ। আরেকটি রিভিউ। এবার ব্যাটসম্যান তাসকিন আহমেদ। কিন্তু এ রিভিউও ব্যর্থ। এ ওভারে এসে হৃদয়কে ফেরালেই হয়তো ম্যাচ ঘুরিয়ে দিয়েছেন বলা যেত, সেটি আরও বেশি করে বলতে হচ্ছে এখন।
বাংলাদেশের হার এখন সময়ের অপেক্ষা, সেটি এখন বলাই যায়!
তিকশানার দুই রকম রাত
২৪ বলে ৪২
২ উইকেট বাকি। জয়ের জন্য সমীকরণ, ২৪ বলে ৪২ রান।
রইল বাকি এক
ফুল। স্ট্রেইট। টেল-এন্ডারের জন্য পারফেক্ট ডেলিভারি। পাতিরানার বলে বোল্ড শরীফুল ইসলাম। বাকি ১ উইকেট।
১৮ বলে ৩৪
পাতিরানার বলে দুটি চার মেরেছেন হাসান মাহমুদ। কাভার ড্রাইভে প্রথমটি। পরেরটি এসেছে আউটসাইড-এজে, অল্পের জন্য যেটি নাগালের বাইরে দিয়ে গেছে কুশল মেন্ডিসের। ১৮ বলে প্রয়োজন ৩৪ রান, ক্রিজে শেষ উইকেট জুটি।
১২ বলে ২২
তিকশানার বলে নাসুমের মারা নিশ্চিত ছয় প্রায় বাঁচিয়ে দিয়েছিলেন বদলি ফিল্ডার দুশান হেমন্ত। তবে টেলিভিশন আম্পায়ার শেষ পর্যন্ত সেটি ছক্কাই দিয়েছেন। লাফিয়ে ওঠার আগে বাউন্ডারি কুশনের সঙ্গে পা লেগেছিল তাঁর। ১২ বলে এখন দরকার ২২ রান।
২১ রানে হারল বাংলাদেশ
১২ বলে ২২ রান দরকার, সমীকরণটা কঠিনই ছিল শেষ উইকেট জুটির জন্য। তবে ১২ বলে ২০ রানের জুটি হয়তো অসম্ভবের আশা জোগাচ্ছিল বাংলাদেশকে। পাতিরানার ফুললেংথের বলে সে আশা আর পূর্ণ হয়নি। বড় শটের চেষ্টা পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে নাসুমের, বাংলাদেশ ২৩৬ রানে গুটিয়ে গেছে ১১ বল বাকি থাকতেই।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭ উইকেটে হারের পর এবার ২১ রানে হারল বাংলাদেশ। সুপার ফোরের প্রথম দুই ম্যাচ হেরে ফাইনালের আশা তাই কার্যত শেষ বাংলাদেশের।
২৫৭ রানের লক্ষ্যে ৫৫ রানের ওপেনিং জুটি গড়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এরপর ২৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর কাজটা কঠিন হয়ে পড়েছিল এমন উইকেটে। মুশফিক ও হৃদয়ের জুটি অবশ্য টেনেছিল বাংলাদেশকে। কিন্তু মুশফিক আউট হয়েছেন অসময়েই, সে সময় অবশ্য রান ও বলের পার্থক্যও বাড়ছিল। এরপর সব কিছু গিয়ে ঠেকে হৃদয়ের ওপর। ৮২ রানের ইনিংসে দারুণ লড়াই করেছেন তিনি, কিন্তু শেষ করে আসতে পারেননি।
হারের যে কারণ দেখেন সাকিব
আমাদের প্রথম চার ব্যাটসম্যান রান পায়নি, বোলাররাও শুরুতে ভালো বোলিং করেনি।