বিরাট কোহলির জন্ম ১৯৮৮ সালের ৫ নভেম্বর। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ২০০৮ সালের ১৮ আগস্ট। টেস্ট অভিষেক এর তিন বছর পর, ২০১১ সালের ২০ জুন।
আনুশকা শর্মার সঙ্গে প্রেম ঠিক নির্দিষ্ট কোন তারিখে শুরু করেছিলেন, সেটা জানা যায়নি। তবে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন ২০১৭ সালের ১১ ডিসেম্বর। বাবা হয়েছেন ২০২১ সালে, মেয়ে ভামিকার জন্মদিন ১১ জানুয়ারি।
ওপরে যে তারিখগুলো উল্লেখ করা হয়েছে, একজন মানুষ বা ক্রিকেটারের জীবনে এগুলোই তো বিশেষ দিন! এর বাইরে আর কী বিশেষ দিন থাকতে পারে কোহলির। কালকের দিনটিকে যে ভারতের ক্রিকেটার ‘বিশেষ দিন’-এর আখ্যা দিলেন!
সত্যিই কালকের দিনটি কোহলির জন্য বিশেষই ছিল। ভারতের বিপক্ষে কালকের ম্যাচটি যে ছিল আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১০০তম!
ওয়ানডে ও টেস্টের পর টি-টোয়েন্টিতেও ১০০ ম্যাচ খেলে ফেললেন কোহলি। ভারতের ক্রিকেটারদের মধ্যে এই কীর্তিতে তিনিই একমাত্র। ক্রিকেট বিশ্বে কোহলি ছাড়া এই কীর্তি আর মাত্র একজনের—নিউজিল্যান্ডের রস টেলরের।
কোহলির এমন বিশেষ দিন এর আগেও দুবার এসেছে। ওয়ানডে আর টেস্ট—শততম ম্যাচ খেলার সেই দুই বিশেষ মুহূর্ত জয়ের রঙে রেঙেছিল কোহলির। এবারও বাদ যায়নি। কোহলির ক্যারিয়ারের শততম টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি জয়ের রঙে রাঙিয়ে দিয়েছেন তাঁর সতীর্থেরা।
লম্বা সময় ধরে রান-খরায় ভুগতে থাকা কোহলি কাল পাকিস্তানের বিপক্ষে এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টির ম্যাচটিতে ৩৪ বলে করেছেন ৩৫ রান।
খুব যে ভালো স্কোর তা বলা যাবে না, কিন্তু ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত আছে এতে। ইনিংসটি খেলার পথে ৩টি চারের পাশাপাশি ১টি ছয়ও মেরেছেন কোহলি।
কোহলির শততম ওয়ানডে ও টেস্ট ম্যাচে ভারতকে জয় এনে দিয়েছিলেন রবীন্দ্র জাদেজা। ভারতের এই অলরাউন্ডার দুটি ম্যাচেই জিতেছিলেন ম্যাচসেরার পুরস্কার।
কাল অবশ্য জাদেজা বল হাতে কোনো উইকেট পাননি। ব্যাট হাতে দুটি করে চার ও ছয়ে ২৯ বলে তুলেছেন ৩৫ রান। কাল পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারতকে মূলত জিতিয়েছেন আরেক অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া।
বল হাতে ২৫ রানে ৩ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতে ১৭ বলে অপরাজিত ৩৩ রান করেছেন তিনি।
তা ম্যাচ যিনিই জেতান না কেন, শততম টি–টোয়েন্টি খেলার বিশেষ দিনে জয় পেয়েই খুশি কোহলি। তাই তো ম্যাচ শেষে জয়ের মুহূর্তের কিছু ছবি টুইট করে লিখেছেন, ‘বিশেষ দিনে বিশেষ জয়।’