বাংলাদেশ সিরিজের সূচি চূড়ান্ত করল পিসিবি
পাকিস্তানের বিপক্ষে আগামী মাসে বাংলাদেশের দুটি টেস্ট হবে রাওয়ালপিন্ডি ও করাচিতে। আগামী মাসে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজসহ ২০২৪-২৫ মৌসুমে নিজেদের আন্তর্জাতিক সূচি ঘোষণা করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। এ সময়ে পাকিস্তান খেলবে মোট তিনটি টেস্ট সিরিজ।
আগামী ২১ আগস্ট রাওয়ালপিন্ডিতে শুরু হবে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের প্রথম টেস্ট। করাচিতে দ্বিতীয় টেস্ট শুরু ৩০ আগস্ট। ২০২০ সালে সর্বশেষ টেস্ট খেলতে পাকিস্তানে গিয়েছিল বাংলাদেশ। অবশ্য করোনাভাইরাস মহামারি শুরু হয়ে যাওয়াতে সেবার হয়েছিল একটিই টেস্ট।
ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ এ দুটি ম্যাচের সিরিজ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন বলেন, ‘আইসিসি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিতে দল হিসেবে আমরা পাকিস্তান ফিরতে মুখিয়ে আছি। পাকিস্তানে খেলা সব সময় চ্যালেঞ্জিং, তবে রোমাঞ্চকর ব্যাপারও। ঘরের মাঠে শক্তিশালী একটি দলের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে আমাদের সেরাটি দিতে হবে।’
বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, ‘আইসিসি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচগুলোর সূচি নিশ্চিত করায় আমরা পিসিবিকে ধন্যবাদ জানাই। এ সিরিজে আমাদের পরীক্ষা হবে। কিন্তু এ সংস্করণে আমাদের উন্নতি দেখানোরও সুযোগ এটি।’
পাকিস্তানের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত ১৩টি টেস্ট খেলেও কোনো জয় পায়নি বাংলাদেশ। একমাত্র ড্র টেস্টটি এসেছিল ২০১৫ সালে খুলনায়। ২০২১ সালের পর থেকে এ সংস্করণে মুখোমুখি হয়নি দুই দল।
প্রথম টেস্ট, ২১-২৫ আগস্ট, রাওয়ালপিন্ডি
দ্বিতীয় টেস্ট, ৩০ আগস্ট-৩ সেপ্টেম্বর, করাচি
বাংলাদেশ ছাড়াও ২০২৪-২৫ মৌসুমে ইংল্যান্ড (৩টি) ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের (২টি) বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলবে পাকিস্তান। এ ছাড়া আগামী বছর চ্যাম্পিয়নস ট্রফি সামনে রেখে নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে একটি ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজ খেলার ঘোষণাও দিয়েছে পিসিবি। ২০০৪ সালের পর পাকিস্তানের মাটিতে এমন কোনো সিরিজ হয়নি।
একই সঙ্গে ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সম্ভাব্য শুরু ও শেষের তারিখও ঘোষণা করেছে পিসিবি। ১৯ ফেব্রুয়ারি উদ্বোধনী ম্যাচ আর ৯ মার্চকে রাখা হয়েছে ফাইনালের দিন হিসেবে। তবে এ টুর্নামেন্টের চূড়ান্ত সূচি ঘোষণা করবে আইসিসি। ভারত দেশটিতে গিয়ে এ টুর্নামেন্টে খেলবে কি না, সে ব্যাপারে যথেষ্ট সংশয় আছে।
তবে পিসিবির চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি বলেছেন, ‘২০২৫ সালে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে পাঁচটি ক্রিকেট খেলুড়ে জাতির সফরে আসা এবং এরপর আরও সাতটি দেশের (পাকিস্তানসহ আটটি) অংশগ্রহণে ওই টুর্নামেন্টের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পাকিস্তানর অবস্থান ও মর্যাদা ফুটে ওঠে। আমরা এ সব দল ও খেলোয়াড়ের অংশকে দারুণ মূল্যায়িত করি।’