শেষ ম্যাচে এসে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দুর্দান্ত ব্যাটিং করা ফিল সল্ট গড়েছেন নতুন রেকর্ড, এ সিরিজও গড়েছে নতুন রেকর্ড—
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে ফিল সল্টের রান। দ্বিপক্ষীয় কোনো টি-টোয়েন্টি সিরিজে যেটি সর্বোচ্চ। সল্ট ছাড়িয়ে গেছেন মোহাম্মদ রিজওয়ানের ৩১৬ রানের রেকর্ড। গত বছর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে সে রান করেছিলেন পাকিস্তানের উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান। তবে সেটি ছিল ৭ ম্যাচের সিরিজ, রিজওয়ান ব্যাটিং করেছিলেন ৬টি ইনিংসে। এক ইনিংস কম খেলেই এবার তাঁকে ছাড়িয়ে গেলেন সল্ট।
৫ ম্যাচে সল্টের ছক্কার সংখ্যা। আইসিসির পূর্ণ সদস্য দুটি দেশের কোনো দ্বিপক্ষীয় সিরিজে কোনো ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ এটি। আগের রেকর্ডটি আফগানিস্তানের হজরতউল্লাহ জাজাইয়ের। ২০১৯ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে ৩ ম্যাচে তিনি মেরেছিলেন ১৮টি ছক্কা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ড সিরিজে দুই দল মিলিয়ে ৫ ম্যাচে মেরেছে ১২০টি ছক্কা। কোনো দ্বিপক্ষীয় সিরিজে যা নতুন রেকর্ড। আগের রেকর্ডটি ছিল ২০২২ সালে সার্বিয়া-বুলগেরিয়া সিরিজের ৯৭টি। দুটি পূর্ণ সদস্য দলের আগের রেকর্ডটি অবশ্য ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজেরই। ২০২২ সালে ক্যারিবীয়তে দুই দলের সর্বশেষ সিরিজেই হয়েছিল ৯৬টি ছক্কা।
দুই দলের ক্ষেত্রেই আলাদা করে সর্বোচ্চ ছক্কাও এসেছে এ সিরিজে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবার (৬৪) ছাড়িয়ে গেছে ২০২১ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজকে (৫৮)। অন্যদিকে এবারের (৫৬) আগে নিজেদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ছক্কা ইংল্যান্ড মেরেছিল ২০১৯ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে—৪৬টি।
দ্বিপাক্ষিক টি-টোয়েন্টি সিরিজে সর্বোচ্চ ছক্কা
এ সিরিজে ওভারপ্রতি রান। ৫ বা এর বেশি ম্যাচের দ্বিপক্ষীয় সিরিজে যা সর্বোচ্চ। এ সিরিজ ভাঙল কদিন আগেই শেষ হওয়া ভারত ও অস্ট্রেলিয়া সিরিজে ওভারপ্রতি ৯.৬৬ রানের রেকর্ড।
এ সিরিজে দুই দলের মোট রান, দ্বিপক্ষীয় কোনো সিরিজে যা তৃতীয় সর্বোচ্চ। এ তালিকায় শীর্ষেও আছে ইংল্যান্ডের নাম, গত বছর পাকিস্তানের বিপক্ষে তাদের সিরিজে ৭ ম্যাচে উঠেছিল ২৩০২ রান। দুইয়ে আছে নভেম্বর-ডিসেম্বরে হয়ে যাওয়া ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার সিরিজ (১৮২৩ রান)।
২০২৩ সালে সিরিজ জয়ের হ্যাটট্রিক করল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দক্ষিণ আফ্রিকা (২-১), ভারতের পর (৩-২) সর্বশেষ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে (৩-২) হারাল তারা। কমপক্ষে দুটি ম্যাচের সিরিজ এর আগে কখনোই টানা তিনটি জেতেনি ২০১২ ও ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী ক্যারিবীয়রা।