পাকিস্তান দলে নির্দিষ্ট ব্যাটিংক্রম নেই, বললেন বাবর
বিশ্বকাপে পাকিস্তানের ব্যাটিং অর্ডার কী হবে? বিশ্বকাপের আগে সর্বশেষ ম্যাচেও পাকিস্তান তাদের উদ্বোধনী জুটি পরিবর্তন করেছে। সেই ম্যাচে সাইম আইয়ুবকে বসিয়ে চলতি বছরে প্রথমবার জুটি হিসেবে ওপেন করেন বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। সমস্যা শুধু ওপেনিংয়েই নয়। উসমান খান, ফখর জামানরা কোথায় ব্যাটিং করবেন, তা নিয়েও প্রশ্ন আছে। বিশ্বকাপের আগে অবশ্য বাবর স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিয়েছেন, পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানদের নির্দিষ্ট কোনো ব্যাটিংক্রমই নেই।
বাংলাদেশ সময় আগামীকাল রাত সাড়ে ৯টায় ডালাসে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবে পাকিস্তান। এই ম্যাচের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর।
উদ্বোধনী জুটি নিয়ে ওঠা প্রশ্নের উত্তরে বাবর জবাব দিয়েছেন এভাবে, ‘কারও ব্যাটিংক্রম নির্দিষ্ট নয়, পরিস্থিতি অনুযায়ী এটা পরিবর্তন হতে পারে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, সাইম আইয়ুব প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারেনি। ও ম্যাচ বদলে দেওয়ার মতো খেলোয়াড়, তবে এখনো ছন্দে ফেরার মতো ইনিংস খেলতে পারেনি। দলের জন্য যেটা ভালো সে অনুযায়ী পরিকল্পনা করব আমরা।’
বিশ্বকাপে বাবরের সবচেয়ে বড় ভরসার জায়গা দলের পেস আক্রমণ। শাহিন শাহ আফ্রিদি, নাসিম শাহ, হারিস রউফ—এই তিন পেসারের যে কেউ একাই ম্যাচের ভাগ্য লিখে দিতে পারেন। পাকিস্তানের পেস বিভাগ আরও শক্তিশালী হয়েছে অবসর ভেঙে চার বছর পর মোহাম্মদ আমির ফেরায়।
অভিজ্ঞতায় আমির বাকি তিনজনের চেয়ে অনেক এগিয়ে। বাবরও পেস বোলারদের প্রতি নিজের আস্থার কথা জানিয়েছেন, ‘পেস ইউনিটের প্রতি আমার অনেক ভরসা আছে। কন্ডিশনও ফাস্ট বোলারদের পক্ষে। আগের ভুলগুলোর পুনরাবৃত্তি না করার চেষ্টা করব। সিনিয়র খেলোয়াড়দের এগিয়ে আসতে হবে, দায়িত্ব নিতে হবে। ভালো প্রস্তুতি নিয়ে ডালাসে এসেছি।’
পাকিস্তানের অলরাউন্ডার শাদাব খান ছন্দে নেই। লেগ স্পিনার হিসেবে তাঁর উইকেট নেওয়ার দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন আছে। বল হাতে সর্বশেষ ৫ ইনিংসে তাঁর উইকেট মাত্র ১টি। ব্যাট হাতে সর্বশেষ তিন ম্যাচের মধ্যেও দুটিতে করেছেন শূন্য। তবু শাদাবের ওপর ভরসা হারাচ্ছেন না বাবর, ‘শাদাবের ভিন্ন কন্ডিশনে পারফর্ম করেছে। এ কারণে ওর প্রতি আমাদের ভরসা আছে। অধিনায়ক হিসেবে খেলোয়াড়দের প্রতি আমার ভরসা আছে, বিশেষ করে শাদাব। তিন বিভাগেও সে কার্যকর। আশা করছি, এই কন্ডিশন তাঁর জন্য মানানসই হবে। ক্রিকেটারদের জীবনে উত্থান-পতন থাকে, আমরা এ সময়টাকে তাদের সাপোর্ট করব। প্লেয়ারদের পাশে থাকলে দলও লাভবান হয়। এটা দলীয় খেলা, কারও যদি দিনটা ভালো না যায়, অন্যদের পুষিয়ে দিতে হবে।’
অধিনায়ক বাবরের লক্ষ্য জানতে চাইলে তিনি বলেছেন, ‘অধিনায়ক হিসেবে আমার লক্ষ্য বিশ্বকাপ জেতা। ব্যক্তিগত লক্ষ্য আসলে কোনো বিষয় নয়। দল কী চায় সেটাই বড়। দল আমার কাছে কী চায় আমি তাতে মনোযোগ দিই, ব্যক্তিগত লক্ষ্যে নয়। মাঠ থেকে হোটেলের দূরত্ব, সুবিধা নিয়ে আমরা ভাবতে চাই না, ওটা বোর্ডের দায়িত্ব। আমরা এমন কন্ডিশনে আগে খেলেছি। একমাত্র চাপ হচ্ছে এখন একটা ম্যাচের টিকিট নিয়ে।’
পরশু দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে বাজেভাবে হারের পর শ্রীলঙ্কা দল সূচি, ভিন্ন ভিন্ন ভেন্যুতে খেলা, মাঠ থেকে হোটেলের দূরত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলে।