পাকিস্তানের বাবর ছাড়িয়ে গেলেন উগান্ডার মাসাবাকে
১৯৪ রানের লক্ষ্যে ৪ বল খেলে কোনো রান না করেই আউট। ব্যাটিংয়ে বাবর আজমের দিনটা সুবিধার যায়নি মোটেও। তবে অধিনায়ক বাবর ঠিকই হেসেছেন তৃপ্তির হাসি। ডাবলিনে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে জিতে সমতা ফিরিয়েছে সফরকারী পাকিস্তান। আর সেই জয়ে একটি রেকর্ডও হয়ে গেছে বাবরের।
দ্বিতীয় দফা দায়িত্ব পাওয়া বাবরের অধীনে গতকালের ম্যাচে পাকিস্তান পেয়েছে ৪৫তম জয়। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এখন সবচেয়ে বেশি জয়ে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া অধিনায়ক বাবর। তিনি ছাড়িয়ে গেলেন উগান্ডার ব্রায়ান মাসাবাকে। তাঁর অধীনে আফ্রিকান দেশটি জিতেছে ৪৪টি ম্যাচ।
২০২০ সালের জানুয়ারিতে লাহোরে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে অধিনায়ক হিসেবে প্রথম জয়টি পান বাবর। মজার ব্যাপার হচ্ছে, সে ম্যাচেও তিনি কোনো রান করতে পারেননি। এমনিতে অধিনায়ক হিসেবে সেটি ছিল তাঁর চতুর্থ ম্যাচ, তার আগে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাবরের নেতৃত্বে প্রথম তিনটি ম্যাচ হেরেছিল পাকিস্তান।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি জয় (শীর্ষ দশ)
সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর তিন সংস্করণের অধিনায়কত্বই ছেড়ে দিয়েছিলেন বাবর, টি-টোয়েন্টির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল শাহিন শাহ আফ্রিদিকে। নাটকীয়ভাবে বাবর সীমিত ওভারের অধিনায়কত্ব আবার ফিরে পেয়েছেন। দ্বিতীয় দফা দায়িত্ব পাওয়ার পর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজটি অধিনায়ক বাবরের দ্বিতীয়, এর আগে দেশের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে ৫ ম্যাচ সিরিজটি ২-২ ব্যবধানে ড্র হয়।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি জয় পাওয়া অধিনায়কদের তালিকায় এখনো দায়িত্বপ্রাপ্ত আছেন পাঁচজন—বাবর, মাসাবা, ভারতের রোহিত শর্মা, মালয়েশিয়ার আহমেদ ফায়াজ, নামিবিয়ার গেরহার্ড এরাসমাস ও নিউজিল্যান্ডের কেইন উইলিয়ামসন। সামনের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মালয়েশিয়ার ফায়াজ ছাড়া বাকিদের দেখা যাবে। উইলিয়ামসন ও মাসাবা আবার প্রথম পর্বে গ্রুপ ‘সি’-এর লড়াইয়ে মুখোমুখি হবেন।
অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি ওয়ানডে জয়ের রেকর্ডটি রিকি পন্টিংয়ের, তাঁর অধীনে অস্ট্রেলিয়া জেতে ১৬৫টি ওয়ানডে। তালিকায় দুইয়ে থাকা মহেন্দ্র সিং ধোনির জয়ের সংখ্যা ১১০টি। টেস্টে ৪৮টি জয় নিয়ে তালিকার দুইয়ে পন্টিং, এখানে তাঁর ওপরে থাকা গ্রায়েম স্মিথের অধীনে দক্ষিণ আফ্রিকা জেতে ৫৩টি টেস্ট।