যে কারণে বাজে সময়ে কোহলিকে কোনো পরামর্শ দেননি সৌরভ
ব্যাট হাতে লম্বা একটা বাজে সময় কাটার পর এশিয়া কাপে নিজেকে ফিরে পেয়েছেন বিরাট কোহলি। একটি সেঞ্চুরির পাশাপাশি দুটি ফিফটিও করেছেন। জুলাইয়ে ইংল্যান্ড সফরে ব্যর্থ হওয়ার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টানা দুটি সিরিজে বিশ্রাম নিয়েছিলেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক। ক্রিকেট থেকে বিশ্রামের সময় টানা এক মাস ব্যাটও হাতে নেননি বলে জানিয়েছেন তিনি।
কোহলির এমন বাজে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য পরামর্শ দিয়েছেন অনেকেই। কী করা যায়, কীভাবে করা যায়—সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা মত দিয়েছিলেন সাবেক ক্রিকেটার ও বিশ্লেষকেরা। তবে অনেকটাই নীরব থাকতে দেখা গেছে সৌরভ গাঙ্গুলীকে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সভাপতি বা সাবেক ক্রিকেটার হিসেবে কোহলিকে প্রকাশ্যে কোনো পরামর্শ দিতে দেখা যায়নি।
এশিয়া কাপে নিজেকে ফিরে পাওয়ার পর কোহলি সমালোচকদের জবাবও দিয়েছেন। একই সঙ্গে দুঃসময়ে যাঁরা তাঁর খোঁজখবরও নেননি, সেসব সাবেক খেলোয়াড়ের ওপর যেন একটু ক্ষোভও ঝেড়েছেন। তখন তিনি বলেছিলেন, অধিনায়কত্ব হারানোর পর একমাত্র ধোনি ছাড়া কেউ তাঁকে মুঠোফোনে একটি বার্তাও পাঠাননি।
সৌরভ প্রকাশ্যে কোনো পরামর্শ না দিন, উত্তরসূরি হিসেবে তাঁকে কাছ থেকে কি কোনো পরামর্শ দেননি? প্রশ্নটি করা হয়েছিল সৌরভকেই। এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি সোজাসাপটা জবাবই দিয়েছেন, ‘না।’
কোহলিকে পরামর্শ দেওয়ার সুযোগই নাকি মেলেনি সৌরভের। রণবীর সিংয়ের ইউটিউব প্রোগ্রাম ‘রণবীর শো’-তে গিয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান বলেন, ‘কোহলির সঙ্গে আমার তেমন দেখা হয় না। আমি বোর্ডের প্রেসিডেন্ট হতে পারি, তবে ও তো সব সময় সফরে ব্যস্ত থাকে। যে কারণে খুব একটা দেখা হয় না।’
দলের তারকা ব্যাটসম্যানের সঙ্গে খুব একটা দেখা না হওয়া নিয়ে সৌরভ আরও বিষদ ব্যাখ্যা দিয়েছেন, ‘ক্রিকেট ঘিরে ব্যস্ততা এখন অনেক বেড়ে গেছে। গত দুই বছর কোভিড-১৯ এই ব্যস্ততাকে আরও কঠিন করে তুলেছে। কোয়ারেন্টিন আছে, নানা বিধিনিষেধ আছে। তবে এসবের ফল ভালোই। ভিন্নভাবে দেখার কিছু নেই।’
এক বছর আগেও ভারতের তিন সংস্করণের অধিনায়ক ছিলেন কোহলি। গত ১২ মাসের মধ্যে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব ছেড়েছেন তিনি, বোর্ড কেড়ে নিয়েছে ওয়ানডের অধিনায়কত্ব। ভারতের সফল অধিনায়কের আলোচনায় অনেকেই সৌরভ-কোহলির তুলনা করেন। দুজনের অধিনায়কত্বের ধরন এবং মাঠের আগ্রাসী ভাব নিয়েও কথা হয়।
তবে সৌরভ মনে করেন, তুলনা টানার মানদণ্ড হতে পারে শুধুই ক্রিকেটীয় দক্ষতা।
আর সেই দক্ষতায় তিনি কোহলিকেই এগিয়ে রাখছেন, ‘আমার মনে হয় না দুজনের মধ্যে তুলনা টানা উচিত। হ্যাঁ, তুলনা হতে পারে খেলোয়াড়ি দক্ষতার। দক্ষতায় আমার চেয়ে কোহলি এগিয়ে। আমরা ভিন্ন দুই প্রজন্মে খেলেছি। আমি আমার প্রজন্মে প্রচুর খেলেছি। সে খেলছে, সম্ভবত আমার চেয়েও বেশি খেলবে।’