ছেলে ও মেয়েদের টি–টোয়েন্টি মিলিয়ে যে কীর্তি একমাত্র হারমানপ্রীতেরই
ভারতের নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হারমানপ্রীতি কউর কাল বিশ্ব ক্রিকেটে অনন্য ইতিহাস গড়েছেন। সুজি বেটস–রোহিত শর্মাদের পেছনে ফেলে টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিজেকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন তিনি। মেয়েদের টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গতকাল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাট বা বল হাতে নেওয়ার আগেই হারমানপ্রীত হয়ে গেছেন ইতিহাস।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে যখন টস করতে নামেন, হারমানপ্রীতের ক্যারিয়ার পরিসংখ্যানে জ্বলজ্বল করছিল ১৫০তম আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টি ম্যাচ। ছেলে ও মেয়েদের মিলিয়ে আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে ১৫০টি ম্যাচ খেলা প্রথম ক্রিকেটার হয়ে গেছেন হারমানপ্রীত।
এই কীর্তি গড়ার দিনে আরেকটি মাইলফলক স্পর্শ করেছে হারমানপ্রীত। ভারতের প্রথম নারী ব্যাটার হিসেবে টি–টোয়েন্টিতে ৩ হাজার পূরণ করেছেন তিনি।
ছেলে ও মেয়েদের মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন হারমানপ্রীতেরই স্বদেশি রোহিত শর্মা। ভারত জাতীয় দলের অধিনায়ক খেলেছেন ১৪৮ ম্যাচ। এ তালিকায় তৃতীয় স্থানে নিউজিল্যান্ডের নারী ক্রিকেটার সুজি বেটস। তিনি খেলেছেন ১৪৩ ম্যাচ।
ছেলে ও মেয়েদের মিলিয়ে সবচেয়ে আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার তালিকা করলে ওপরের দিকে নারী ক্রিকেটারই বেশি থাকবেন। শুধু ছেলেদের তালিকায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১২৪ ম্যাচ খেলেছেন পাকিস্তানের শোয়েব মালিক। নিউজিল্যান্ডের মার্টিন গাপটিল খেলেছেন ১২২ ম্যাচ।
যৌথ তালিকা করলে রোহিত শর্মা ও শোয়েব মালিকের মাঝে আছেন ৮ নারী ক্রিকেটার। সুজি বেটসের পর ১৪১ ম্যাচ নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছেন ইংল্যান্ডের ড্যানিয়েল ওয়াট। এরপর যথাক্রমে অস্ট্রেলিয়ার অ্যালিসা হিলি (১৩৯) ও এলিসি পেরি (১৩৭), পাকিস্তানের বিসমাহ মারুফ (১৩২), অস্ট্রেলিয়ার মেগ ল্যানিং (১৩০), পাকিস্তানের নিদা দার (১২৯) ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডিন্ড্রা ডটিন (১২৭)।
ছেলে ও মেয়েদের আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে দুর্দান্ত এই কীর্তি গড়তে পেরে উচ্ছ্বসিত হারমানপ্রীত, ‘এটা আমার কাছে অনেক কিছু। সতীর্থদের কাছ থেকে আবেগপূর্ণ অনেক বার্তা পেয়েছি। আমরা অনেক ম্যাচ খেলতে পারি বলে বিসিসিআই ও আইসিসিকে ধন্যবাদ।’
হারমানপ্রীতের কীর্তি গড়ার দিনে আয়ারল্যান্ডের মেয়েদের ডিএলএস পদ্ধতিতে ৫ রানে হারিয়ে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠেছে ভারত।