২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

পাকিস্তানের সমস্যা ফিল্ডারে নয়, প্রথম স্লিপে

ওয়ার্নারের ক্যাচ ফেলছেন আবদুল্লাহ শফিক। মেলবোর্ন টেস্টের ছবিএএফপি

প্রথম টেস্ট, পার্থ
আমের জামালের বলে উসমান খাজার ক্যাচ মিস। প্রথম স্লিপে দাঁড়ানো আবদুল্লাহ শফিক খাজার টপ এজড হয়ে ওঠা ক্যাচটি নিতে পারেননি।

দ্বিতীয় টেস্ট, মেলবোর্ন
এবারও আবদুল্লাহ শফিক। শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে ডেভিড ওয়ার্নারে সহজ ক্যাচ কীভাবে প্রথমে স্লিপে দাঁড়ানো শফিকের হাত ফসকাল, সেটা নিয়ে গবেষণাই হতে পারে।

তৃতীয় টেস্ট, সিডনি
আবারও ওয়ার্নার জীবন পেলেন। এবার চরিত্র বদল। প্রথম স্লিপে দাঁড়িয়ে সহজ ক্যাচ ছাড়লেন শফিকের ওপেনিং সঙ্গী অভিষিক্ত সাইম আইয়ুব।

আরও পড়ুন

অর্থাৎ শফিককে সরিয়েও কোনো কাজ হয়নি। পাকিস্তানের ফিল্ডাররা স্লিপে দাঁড়িয়ে সহজ ক্যাচ ছেড়েই যাচ্ছেন। তাই মজা করে কোনো পাকিস্তানি সমর্থক প্রশ্ন তুলতেই পারেন, সমস্যাটা কোথায়, ফিল্ডিং পজিশনে নাকি ফিল্ডারে? সালমান আগাও যেন সেই পাকিস্তানি সমর্থকদের আশ্বস্ত করলেন!

ব্যাট হাতে অর্ধশতকের পর বল হাতেও ওয়ার্নারকে আউট করেছেন সালমান
এএফপি

সংবাদ সম্মেলনে এই পাকিস্তানি অলরাউন্ডার বললেন, সমস্যাটা ওই পজিশনেই। কথাটা অবশ্য মজা করেই বলেছেন।

সিডনি টেস্টের প্রথম ইনিংসে অর্ধশতক করেছেন সালমান। এরপর বল হাতে অফ স্পিনে ফিরিয়েছেন বিদায়ী টেস্ট খেলা ওয়ার্নারকে (৩৪)। জায়গামতো থাকলে সালমান হয়তো এর আগেই ওয়ার্নারকে আউট করতে পারতেন। ২০ রানে থাকা ওয়ার্নার আমের জামালের বলে ক্যাচ দিয়েছিলেন প্রথম স্লিপে। আজ পাকিস্তানের হয়ে প্রথম স্লিপ সামলাচ্ছিলেন সালমান। কিন্তু কিছুক্ষণের জন্য তিনি মাঠের বাইরে যাওয়ায় স্লিপে দাঁড়ান অভিষিক্ত আইয়ুব, আর তখনই ক্যাচ ফেলেন তিনি।

স্বাভাবিকভাবেই দিন শেষে পাকিস্তান দলের সংবাদ সম্মেলনে ক্যাচিং নিয়ে প্রশ্ন উঠল। সেই প্রশ্নের উত্তরে সালমান কিছুটা মজা করলেও স্লিপ ক্যাচিংয়ে পাকিস্তানের ইতিবাচক দিকেও তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন, ‘সাইম স্লিপ ক্যাচিং অনুশীলন করছে। আমার মনে হয় প্রথম স্লিপ পজিশনেই কোনো ঝামেলা আছে (হাসি)। আমি যখন অল্প সময়ের জন্য মাঠের বাইরে যাই, ক্যাচ উঠবে ভেবে বাবর দ্বিতীয় স্লিপে দাঁড়িয়েছিল। যারা ক্রিকেটে চোখ রাখে, তারা জানে দ্বিতীয় স্লিপের দিকেই বেশি ক্যাচ যায়।’

আরও পড়ুন

এরপর সালমান যোগ করেছেন, ‘ক্যাচ ফেলা খেলারই অংশ। অস্ট্রেলিয়ারও ক্যাচ ফেলেছে, এটা যে কারও সঙ্গে হতে পারে। স্লিপে কোনো ক্যাচই সহজ নয়, কারণ খুব বেশি সময় পাওয়া যায় না। আমরা স্লিপে অনেক ক্যাচ নিয়েছিও, সেটা নিয়ে কেউ কথা বলে না।’

গত বছরটা বাবরের ভালো যায়নি। টেস্টে ৯ ইনিংসে বাবরের রান ছিল মাত্র ২০৪, গড় ২২.৬৬। অথচ ২০২২ সালে টেস্টে বাবর রান করেন ৬৯.৬৪ গড়ে। ১৭ ইনিংসে ৪ শতক ও ৭টি অর্ধশতক। এ বছরও বাবরের শুরুটা ভালো হয়নি। সিডনিতে প্রথম ইনিংসে ২৬ রানে প্যাট কামিন্সের বলে আউট হন। ছন্দহীন বাবরের পাশেই আছে দল, এমনটাই জানিয়েছেন সালমান।

তিনি বলেছেন, ‘যেকোনো ক্রিকেটারেরই খারাপ সময় আসতে পারে। বাবর পাকিস্তানের হয়ে যতটা পারফর্ম করেছে, তাতে এই খারাপ সময়টুকুতে কিছু আসে–যায় না। আমরা তার ফর্ম নিয়ে উদ্বিগ্ন নই। কীভাবে এই পরিস্থিতি থেকে বের হতে হবে, সেটা সে জানে। যেভাবে সে ব্যাটিং নিয়ে কাজ করছে, আমার মনে হয় এটা সময়ের ব্যাপার। খুব শিগগির বাবরের কাছ থেকে বড় শতক দেখবেন।’

আরও পড়ুন