জিম্বাবুয়ে সিরিজের কিছু ম্যাচে না থাকা নিয়ে যা বললেন সাকিব
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে সাকিব আল হাসান কয়টি ম্যাচ খেলবেন, সেটা এখন নিশ্চিত নয়। তবে তিনি সিরিজের শুরু থেকে থাকছেন না, সেটা নিশ্চিত। দল ঘোষণার পরই প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ জানিয়েছেন, সাকিবকে সিরিজের শুরুর দিকে পাওয়া যাবে না। সাকিব এ সময়ে খেলবেন শেখ জামালের হয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল)। এর পর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে একটা ধোঁয়াশা তৈরি হয়।
জিম্বাবুয়ে সিরিজে শুরু থেকে না খেলে তখন কেন ডিপিএল খেলবেন সাকিব, ওঠে এমন প্রশ্ন। যুক্তরাষ্ট্রে একটি অনুষ্ঠানে এই বিষয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন সাকিব। তিনি জানিয়েছেন, পুরো বিষয়টিই হয়েছে টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আলোচনার মধ্যে দিয়ে। ৩ মে থেকে শুরু হবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি–টোয়েন্টি সিরিজ।
সাকিব বলেছেন, ‘জিম্বাবুয়ে সিরিজে অবশ্যই খেলব। দেশে হয়তো এ নিয়ে একটা কনফিউশন (দ্বিধা) চলছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এটা নিয়ে কথা চলছে যে আমি জিম্বাবুয়ে সিরিজে শুরু থেকে খেলব না, ডিপিএল খেলব...আসলে কোচ, অধিনায়ক সবার সঙ্গে আগে কথা বলে রেখেছিলাম। কোচ বলেছিলেন দুটো ম্যাচ খেললেই হবে। এরপর অধিনায়ক ও নির্বাচকদের সঙ্গে কথা বলি, তারা বলেছে দুটো না তিনটা ম্যাচ খেলো, তাহলে আমাদের জন্য ভালো হয়। আমি বলেছি সমস্যা নেই। এটাই সিদ্ধান্ত হয়েছে, যেটা নিয়ে দেশে এত কনফিউশন দেখতে পাচ্ছি। খুবই অবান্তর আলোচনা।’
সাকিব আরও বলেন, ‘আসলে এগুলো আলোচনার মাধ্যমেই হয়, আমার ইচ্ছামতো হয় না। যেহেতু ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে দুটি ম্যাচ থাকবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ তিন ম্যাচ খেলার আগে। সেহেতু দুটি ম্যাচ খেলার সুযোগ থাকবে, এ ছাড়া প্রস্তুতিটাও ভালো হবে। সে কারণে আসলে এই দুইটা ম্যাচ খেলা। এখানে এর বেশি নাই।’
এসব নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এত আলোচনায় হাসি পায় সাকিবের, ‘আমেরিকা থাকলে ফেসবুকে বেশি সময় কাটানো হয়, দেশে থাকলে সময় পাই না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসব দেখলে আমার একটু হাসিই পায় যে মানুষ কত রকম চিন্তা করতে পারে। যা হয়েছে বিসিবি আর আমার আলোচনার মধ্যেই হয়েছে। কারণ, আমাদের অন্যান্য খেলোয়াড়দেরও দেখা জরুরি। বিভিন্ন ধরনের কম্বিনেশন তৈরি করতে হলে আমাদের কী অবস্থায় থাকতে হবে, সে প্রস্তুতিটা নিতে পারি।’
১ জুন থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে শুরু হবে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের সম্ভাবনা নিয়ে সাকিব বলেছেন, ‘বিশ্বকাপ পাওয়ার মতো অবস্থায় আসছি কি না, এটা বলাটা একটু মুশকিল। তবে টি-টোয়েন্টিতে যে কেউ যে কাউকে হারাতে পারে, বড় ছোট দল নেই। আমাদের বিশ্বাসটা দরকার, ওই বিশ্বাসটা নিয়ে যদি খেলতে পারি, আমরা ভালো করব। বলছি না, ট্রফি জিততে পারব কি পারব না। তবে আমাদের ভালো কিছুর সম্ভাবনা আছে।’
বিশ্বকাপ থেকে আঙুলের চোট ও চোখের সমস্যা নিয়ে ফেরা সাকিব জাতীয় দলের হয়ে ফেরেন সর্বশেষ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে। ছুটিতে থাকায় টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে সিরিজে খেলেননি তিনি। বাংলাদেশের হয়ে সাকিব সর্বশেষ টি-টোয়েন্টিতে খেলেছেন গত বছরের জুলাইয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে। তবে খেলেছেন প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের প্রথম পর্বের কয়েকটি ম্যাচে। এরপর খেলবেন সুপার লিগের কয়েকটি ম্যাচ।