ভারতের বিপক্ষে অসাধারণ কিছুর খোঁজে তাসকিন
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভালো উইকেটে বড় দলের লড়াইয়ে কেমন করে বাংলাদেশ দল, আজ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তা দেখা গেল। সুপার এইটে নাজমুলদের প্রথম ম্যাচে হেসেখেলেই হারিয়েছে মিচেল মার্শের দল।
সে হারের ধাক্কা থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগটা পেল কই বাংলাদেশ! অ্যান্টিগায় কালই বাংলাদেশের জন্য অপেক্ষা করছে আরেক টুর্নামেন্ট ফেবারিট ভারত। এ ম্যাচে হারলেই বাংলাদেশ দলের বিশ্বকাপে টিকে থাকার স্বপ্ন শেষ।
সমীকরণটা বাংলাদেশ দলেরও জানা। করণীয় কী, সেটাও। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে কাল সংবাদ সম্মেলনে আসা দলের সহ-অধিনায়ক তাসকিন বলছিলেন, ‘(দলের প্রতি) বার্তা একটাই, ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগেই আমাদের অসাধারণ পারফর্ম করতে হবে। পরের ম্যাচটা হেরে গেলে আর সেমিফাইনালের স্বপ্ন থাকবে না। পরের ম্যাচটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আর সে জন্যই ভুলের সংখ্যাটা কম হতে হবে। আশা করি, সেরা ক্রিকেট খেললে যেকোনো কিছু হতে পারে।’
অন্য একটি প্রশ্নের উত্তরেও তাসকিন শুনিয়েছেন আশার কথা, ‘অবশ্যই এখনো সুযোগ আছে। এখানে উইকেটটা বেশ ভালো, এখনো আশা হারাচ্ছি না। আমরা যদি দুইটায় দুইটা জিততে পারি, তাহলে সুযোগ থাকবে। পরের ম্যাচে বৃষ্টি হলে ১-১ পয়েন্ট ভাগ হবে, শেষ ম্যাচে একটা সুযোগ থাকবে। এটা হেরে গিয়েছি, অল্প রানের সংগ্রহ ছিল। তাই তারা (অস্ট্রেলিয়া) আগ্রাসী খেলেছে। আমরা আশাবাদী, পরের ম্যাচটা যদি জিততে পারি, তাহলে একটা সুযোগ থাকবে।’
বিশ্বকাপজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং–ব্যর্থতা। কাল তাসকিনের সংবাদ সম্মেলনেও ব্যতিক্রম কিছু হলো না। ব্যাটসম্যানদের বারবার ব্যর্থ হওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হয় তাঁর কাছেও, ‘দেখুন, এখানে আসার পর থেকে আমেরিকা ও এখানে (ওয়েস্ট ইন্ডিজে) শুরুর দিকে ব্যাটিং–বান্ধব উইকেটে খেলতে পারিনি। একেকটা ভেন্যুতে একেক রকম কন্ডিশন, একেক রকম চ্যালেঞ্জ। এখানে ভিন্ন রকম চ্যালেঞ্জ।’
তবে অ্যান্টিগায় এসে উইকেটের অজুহাত দিতে চান না তাসকিন, ‘এখানে ব্যাটসম্যানদের সুবিধা একটু বেশি। আমরা আগে ব্যাটিং করলে অবশ্যই আমাদের ১৭০-১৮০ করতে হবে। দিনে খেলা, আরেকটু ভালো থাকবে উইকেট।’ বোলারদের চ্যালেঞ্জটাও যে বেশি, সেটি মনে করিয়েছেন তিনি, ‘বোলারদেরও চ্যালেঞ্জটা একটু বেশি। এখানেও বুদ্ধি খাটিয়ে বোলিং করতে হবে। সহজ হবে না। কিন্তু আমরা যদি সঠিক প্রয়োগ করতে পারি, সুযোগ এলেও আসতে পারে।’
টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ এখন যে জায়গায় দাঁড়িয়ে, সেখান থেকে অবশ্য বড় অনিশ্চয়তায় ভরসা করা ছাড়া উপায় নেই। তাসকিনও তা–ই করছেন, ‘সুপার এইটে...অ্যান্টিগা ও বার্বাডোজের উইকেট একটু ভালো। এ ছাড়া বাকি ভেন্যুগুলো এবং আমেরিকা—সব জায়গাতেই ব্যাটসম্যানরা সংগ্রাম করেছে। যদিও আমরা এর চেয়ে ভালো ব্যাটিং করতে পারি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা পারিনি। এখন আসলে পারিনি বললে লাভ হবে না।’
এরপর সেই পুরোনো কথাই আরও একবার বললেন তাসকিন, ‘পরের ম্যাচটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাটিং-বোলিং দুইটাই ভালো করতে হবে। ভারত বিশ্বের অন্যতম সেরা দল। এটা তো কোনো সন্দেহ নেই, ওরা অনেক ভালো দল। ওদের সঙ্গে খেলতে হলে আমাদের অসাধারণ কিছু করতে হবে।’