চট্টগ্রামের জন্য এর চেয়ে খারাপ আর কী হতে পারত!
বিপিএলে নিজেদের প্রথম ৫ ম্যাচে ৪টিতেই জয় পাওয়া চট্টগ্রাম আজ সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করে মাত্র ৭২ রানেই গুটিয়ে যায়। যেটি এখন পর্যন্ত এবারের বিপিএলে সর্বনিম্ন।
৭২ রানের পুঁজি নিয়ে বল করতে নেমে প্রথম ৭ ওভারের মধ্যে চট্টগ্রামের বোলাররা ওয়াইড দেন ১৪টি! এমন হতশ্রী দিনে যা হওয়ার কথা তাই হয়েছে, ৭ উইকেট আর ৬৪ বল হাতে রেখে সহজ জয় পেয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস।
বিপিএলে এটি চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর। ২০১৭ সালে সিলেট সিক্সার্সের বিপক্ষে মাত্র ৬৭ রানেই গুটিয়ে গিয়েছিল চট্টগ্রাম। আজ তাদের ধ্বংসযজ্ঞের শুরুটা হয় ওপেনার তানজিদ হাসানকে দিয়ে। শূন্য রানেই রেমন রেইফারের বলে আউট হন তিনি।
রেইফার শুরুটা করেন, তবে কুমিল্লার আসল কাজটা করেন স্পিনার তানভীর ইসলাম। আভিস্কা ফার্নান্ডো, টম ব্রুস, শাহাদত হোসেন, সৈকত আলী—চট্টগ্রামের ব্যাটিংয়ের মূল স্তম্ভদের একা আউট করেন তানভীর। ৪ ওভারে ১৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন তানভীর। বাঁহাতি স্পিনার তানভীরকে দারুণ সঙ্গে দেন আরেক স্পিনার আলিস আল ইসলাম। ৪ ওভারে ১৪ রান দিয়ে তিনি নেন ২ উইকেট। এমন দুটি স্পেলের পর আর কী-ই বা বাকি থাকে!
৭৩ রানের লক্ষ্যের সহজ কাজটা সহজেই করেছে কুমিল্লা। কাজটা আরও সহজ হয়েছে, চট্টগ্রামের বোলাররা একের পর এক ওয়াইড দেওয়ায়। তবে লিটন দাস আজও ব্যর্থ হয়েছে, আউট হয়েছেন ২ রানে। তাওহিদ হৃদয় খেলেছেন ১৩ বলে ৩১ রানের ইনিংস। মোহাম্মদ রিজওয়ান ১৬ রানে অপরাজিত ছিলেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স : ১৬.৩ ওভারে ৭২ (তানভীর ০, ফার্নান্ডো ৭, ব্রুস ২৭, শাহাদত ৯, সৈকত ০, নজিবউল্লাহ ১১, শুভাগত ৭, জিয়াউর ০, নিহাদুজ্জামান ৭*, আল আমিন ০, বিলাল ০; রেইফার ১-০-৪-১, তানভীর ৪-১-১৩-৪, আলিস ৪-১-১৪-২, আমের ২.৩-০-১৮-১, খুশদিল ৩-০-১৭-০, মোস্তাফিজ ২-০-৬-১)
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস : ৯.২ ওভারে ৭৩/৩( রিজওয়ান ১৬*, লিটন ২, মাহিদুল ৫, হৃদয় ৩১, রেইফার ৪*; আল আমিন ৩-০-১৯-১, নিহাদুজ্জামান ৩-০-১২-০, বিলাল ২-০-২৭-১, জিয়াউর ১-০-১২-১, সৈকত ০২-০-২-০)
ফল : কুমিল্লা ৭ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা : তানভীর ইসলাম