কুশলে পাত্তা পেল না আয়ারল্যান্ডও
লক্ষ্যটা খুব বড় ছিল না। আর ছিল না বলে শ্রীলঙ্কার সুযোগ ছিল দ্রুত জিতে রানরেট বাড়িয়ে নেওয়ার।
সুপার টুয়েলভের প্রথম ম্যাচে আজ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সে কাজটিই করেছে শ্রীলঙ্কা। আইরিশদের তোলা ১২৮ রান ৫ ওভার রেখে দিয়ে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে জিতেছে দাসুন শানাকার দল।
৪৩ বলে ৬৮ রানে অপরাজিত ছিলেন কুশল মেন্ডিস, গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে যিনি ডাচদের বিপক্ষেও খেলেছিলেন ম্যাচজেতানো ইনিংস। ৭০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে কুশলের সঙ্গে ২২ বলে ৩১ রানে অপরাজিত ছিলেন চারিত আসালাঙ্কা।
বড় এই জয়ে গ্রুপ–১–এ পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় স্থানে উঠে গেছে শ্রীলঙ্কা। রানরেট ২.৪৬৭। ৪.৪৫০ রান রেট নিয়ে শীর্ষে নিউজিল্যান্ড। একই কারণে পিছিয়ে থাকায় ইংল্যান্ড আছে তিন নম্বরে।
হোবার্টের এ ম্যাচটিতে দুই দলই মুখোমুখি হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনে তিন ম্যাচ খেলে ফেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে।
১২৯ রানের ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম পাওয়ার প্লেতেই বিনা উইকেটে ৫০ রান তুলে ফেলে শ্রীলঙ্কা।
অষ্টম ওভারে ধনঞ্জয়া ডি সিলভা আউট হয়ে গেলে রানের গতিতে ভাটা পড়ে। আগের ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে প্রথম বলে আউট হয়েছিলেন ধনঞ্জয়া। এ যাত্রায় ২৫ বল খেলে ২ চার ১ ছয়ে খেলে যান ৩১ রানের ইনিংস।
রানের গতি স্লথ হলেও শ্রীলঙ্কার চাপ ছিল না লক্ষ্য বড় নয় বলে। আসালাঙ্কাকে নিয়ে ধীরেসুস্থে এগোনোর পথে হাঁটেন কুশল।
প্রথম ছয় ওভারে ৫০ তুললেও ১০০–তে পৌঁছাতে ১৩ ওভার লেগে যায় শ্রীলঙ্কার। এর মধ্যে টি–টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের দশম ফিফটিও তুলে নেন কুশল।
তিন অঙ্কে পৌঁছাতেই যেন দ্রুত খেলা শেষ করার তাড়না তৈরি হয় কুশল–আসালাঙ্কার।
১৪তম ওভারে বোলিংয়ে আসা জশুয়া লিটলের কাছ থেকে ২ চারসহ ১৭ রান তুলে নেন আসালাঙ্কা। পরের ওভারে সিমি সিং এলে প্রথম আর শেষ বলে ছয় হাঁকিয়ে ম্যাচ শেষ করে দেন কুশল।
লঙ্কান ব্যাটসম্যানদের এই হাত খুলে খেলার ছাড়পত্র নিয়ে দিয়েছেন অবশ্য বোলাররা। টস জিতে ব্যাট করতে নামা আয়ারল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের স্বস্তিতে থাকতে দেননি ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, মহীশ তিকশানারা।
দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে অ্যান্ডি বলবার্নিকে ফিরিয়ে শুরুটা করেন লাহিরু কুমারা। তিনে নামা লরকান টাকার ফেরেন পঞ্চম ওভারে।
শুরুর ওই সময়টায় আয়ারল্যান্ডকে প্রায় একাই টানেন পল স্টার্লিং। ৩৪ রান করে তৃতীয় উইকেট হিসেবে যখন আউট হন, আইরিশদের মোট রান ৫৫।
আয়ারল্যান্ড তাদের সর্বোচ্চ জুটি পায় পঞ্চম উইকেটে। হ্যারি টেক্টরের সঙ্গে ৪৭ রানের জুটিটিতে সঙ্গ দেন জর্জ ডকরেল।
করোনা আক্রান্ত হয়ে মাঠে নামা ডকরেল অবশ্য ১৬ বলে ১৪ রান করে মহীশ তিকশানার বলে থেমে যান। টেক্টরও বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। আঠারতম ওভারের শেষ বলে আউট হওয়ার আগে খেলে যান ৪২ বলে ৪৫ রানের দলীয় সর্বোচ্চ ইনিংস।
শ্রীলঙ্কার হয়ে ২টি করে উইকেট নেন তিকশানা ও হাসারাঙ্গা।