দল নির্বাচনে বাংলাদেশকে যতটা সাহসী দেখলাম, ব্যাটিংয়ে ঠিক ততটা সাহসী মনে হলো না। আশা করেছিলাম বাংলাদেশ মন খুলে ব্যাটিং করবে। তবে দেখে কখনোই মনে হয়নি এই দল তিনটি ম্যাচ জিতে সুপার এইটে খেলতে এসেছে। অনেকটা ধুঁকতে ধুঁকতেই ১৪০ রানে ইনিংস শেষ করল, যেটি উইকেট বিবেচনায় কাঙ্ক্ষিত স্কোরের চেয়ে অন্তত ৪০ রান কম।
তানজিদ হাসান ২/১০
এই বিশ্বকাপে দ্বিতীয়বার এভাবে আউট হলো। ওর কাছ থেকে আরও ধারাবাহিকতা আশা করি।
লিটন দাস ২/১০
ম্যাচের শুরুতে এমন একটি ইনিংস পুরো দলের ব্যাটিংয়ের টেম্পো নষ্ট করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। এই ব্যাটিং দলীয় পরিকল্পনার অংশ হয়ে থাকলে সেটি মোটেও কাজে আসেনি।
নাজমুল হোসেন ৬/১০
বোঝা গেল এত দিনের রান–খরার পরও নিজের ওপর থেকে বিশ্বাস হারায়নি। শুরুতে থমকে যাওয়া ইনিংসটিকে তার মতো করে একাই টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে।
রিশাদ হোসেন ৭/১০
রান না পেলেও দলের প্রয়োজনে চারে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্তটি ইতিবাচক ছিল। চাপের মুখেও ভালো বোলিং করেছে এবং সফল হয়েছে। ধারাবাহিকতা প্রশংসনীয়।
তাওহিদ হৃদয় ৮/১০
আরও বেশি বল খেলার সুযোগ দেওয়া উচিত তাকে। সমমানের একজন সঙ্গী পেলে এ ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের চিত্র কিছুটা ভিন্ন হতে পারত। একাই লড়ে গেছে।
সাকিব আল হাসান ৩/১০
সফট ডিসমিসাল। হৃদয়ের সঙ্গে ইনিংসটি শেষ পর্যন্ত টেনে নিয়ে যেতে পারলে দল লাভবান হতো।
মাহমুদউল্লাহ ২/১০
ইনসাইড-এজে আউট হয়ে গেল। থাকলে হয়তো স্কোরটা আরও কিছুটা সম্মানজনক হতে পারত।
মেহেদী হাসান ৫.৫/১০
সংক্ষিপ্ততম ব্যাটিং ইনিংস। বোলিং সন্তোষজনক, তবে ক্রিজে দুজন বাঁহাতি ব্যাটার থাকলেও একবারও অফ স্টাম্পের বাইরে বল টার্ন করিয়ে পরাস্ত করানোর চেষ্টা করতে দেখলাম না।
তাসকিন আহমেদ ৩.৫/১০
শেষ দিকে ইনিংসের হাল না ধরলে দলের রান আরও কম হতে পারত। বোলিংয়ে একটু খরুচে, তবে এই পুঁজিতে বোলারদের খুব বেশি কিছু করার ছিলও না।
তানজিম হাসান ৪.৫/১০
মাত্র এক ওভার বোলিংয়ের সুযোগ পেয়েছে, বোলিং সন্তোষজনক।
মোস্তাফিজুর রহমান ৪/১০
নিজের নামের প্রতি সুবিচার করেছে বলা যাবে না। তবে এই স্বল্প পুঁজিতে খুব বেশি কিছু করারও ছিল না।