বাংলাদেশ জিতলে হ্যাটট্রিকটা আরও ‘মিষ্টি’ লাগত ফারিহার
হ্যাটট্রিক করা যেকোনো বোলারেরই স্বপ্ন। ফারিহা ইসলামের এ স্বপ্নপূরণের সৌভাগ্য হয়েছে দুবার। ২০২২ সালে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে অভিষেকেই হ্যাটট্রিক করেছিলেন। এরপর আজ অস্ট্রেলিয়া নারী দলের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে পেয়েছেন হ্যাটট্রিকের দেখা। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসে শেষ ওভারের শেষ তিন বলে পেয়েছেন তিন উইকেট।
আইসিসির পূর্ণ সদস্যদেশগুলোর মধ্যে প্রথম এবং সব মিলিয়ে তৃতীয় বোলার হিসেবে আন্তর্জাতিক নারী টি-টোয়েন্টিতে দুটি হ্যাটট্রিক হয়ে গেল ফারিহার। তবে ২১ বছর বয়সী এই বাঁহাতি পেসার জানিয়েছেন, দল জিততে পারলে হ্যাটট্রিকের আনন্দটা আরও বেশি হতো। এমনিতে হ্যাটট্রিকটা যে তাঁর কাছে মিষ্টি লাগছে না তা নয়। কিন্তু দল তো সবার আগে। দল জিততে না পারলে ব্যক্তিগত অর্জন দিয়ে কী হবে!
শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার কাছে দ্বিতীয় ম্যাচে ৫৮ রানে হেরেছে বাংলাদেশ নারী দল। তিন ম্যাচের এই সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জয় নিশ্চিতও করেছে অস্ট্রেলিয়া।
হারের পর সংবাদ সম্মেলনে এসে ফারিহা বলেছেন, ‘দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক পেয়ে ভালো লাগছে। দুটি উইকেট নেওয়ার পর পরের বলটি স্টাম্পে করতে চেয়েছি।’
১৯ রানে ৪ উইকেট নেওয়া ফারিহা জানিয়েছেন, দল জিততে পারলে হ্যাটট্রিক করে তাঁর আরও বেশি ভালো লাগত, ‘ম্যাচ হেরে যাওয়াটা হতাশার। দল জিতলে ব্যক্তিগত অর্জন নিয়ে আরও বেশি ভালো লাগত। তখন হয়তো আমরা (হ্যাটট্রিক) উদ্যাপনও করতাম। কিন্তু সবার আগে দল। আমরা ভালো শুরু করেছিলাম। আশা ছিল, ভালোভাবে শেষও করতে পারব। কিন্তু আমরা শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছি।’
গত বছর অক্টোবরে পিঠে চোট পান ফারিহা। এরপর প্রায় ছয় মাস মাঠের বাইরে ছিলেন। চোট থেকে সেরে ওঠার প্রক্রিয়াটা জানালেন ফারিহা, ‘চোট থেকে সেরে ওঠা ছিল প্রথম লক্ষ্য। প্রক্রিয়াটা অনুসরণ করতে চেয়েছি, তাই চোটের কারণে বাংলাদেশ দলে আর ফিরতে পারব না—এই সন্দেহ কখনো ছিল না। পুনর্বাসনপ্রক্রিয়া শেষে রমানায়েকের বোলিং ক্যাম্পে কাজ করতে পারাটা ছিল আমার জন্য সৌভাগ্য। এটা আমাকে অনেক সাহায্য করেছে।’
শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ।