সোবার্সকে পেরোনো কামিন্সের সামনে শুধু বেনো ও ইমরান

নীতিশ কুমারের উইকেট নেওয়ার পর কামিন্সের উদ্‌যাপনএএফপি

ইমরান খান, রিচি বেনো, প্যাট কামিন্স।

স্রেফ মনে হলো, তাই নামগুলো পাশাপাশি লিখে ফেলা—ব্যাপারটি মোটেও তা নয়। পূর্বসূরি দুই ক্রিকেটারের নামের পাশে তৃতীয় নামটি লিখতে বাধ্য করেছেন কামিন্স নিজেই।

ব্রিসবেন টেস্টে ভারতের প্রথম ইনিংস শুরুর আগে অধিনায়ক কামিন্সের ঝুলিতে ছিল ১১৫ উইকেট। বৃষ্টিবিঘ্নিত এই টেস্টের আজ চতুর্থ দিন ৯ উইকেটে ২৫২ রানে পার করেছে ভারত। কামিন্সের শিকার ৪ উইকেট। অস্ট্রেলিয়ার এই অধিনায়ক উইকেটগুলো নেওয়ার পথে উঠে এসেছেন দারুণ এক তালিকার শীর্ষ তিনে। সেটি টেস্টে অধিনায়ক হিসেবে সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার তালিকা। যেখানে শীর্ষে পাকিস্তান কিংবদন্তি ইমরান, দুইয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রয়াত কিংবদন্তি বেনো।

আরও পড়ুন

ভারতের প্রথম ইনিংস শুরুর আগে এই তালিকার ছয়ে ছিলেন কামিন্স। ইমরান ও বেনো ছাড়াও তাঁর সামনে ছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিংবদন্তি গ্যারি সোবার্স ও নিউজিল্যান্ডের ড্যানিয়েল ভেট্টোরি। স্পিন কিংবদন্তি ভেট্টোরির অধিনায়ক হিসেবে টেস্টে শিকারসংখ্যা ৩২ ম্যাচে ১১৬ উইকেট। অধিনায়ক সোবার্স ৩৯ ম্যাচে নিয়েছেন ১১৭ উইকেট। আগের দিন ১টি উইকেট নেওয়া কামিন্স আজ দিনের খেলার ষষ্ঠ ওভারে রোহিত শর্মাকে ফিরিয়ে পাশে বসেন সোবার্সের। এরপর নীতীশ কুমারকে বোল্ড করে টপকে যান তাঁকে। চতুর্থ উইকেট হিসেবে রবীন্দ্র জাদেজাকে ফিরিয়ে কামিন্স আরেকটু এগোলেন সামনে।

অধিনায়ক হিসেবে টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেট

অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়কের সামনে যে দুজনের কথা বলা হলো, তাঁরা এখনো বেশ এগিয়ে। ধারাভাষ্যকার হিসেবে অনেকের কাছেই শেষ কথা বেনো ক্রিকেটার হিসেবেও ছিলেন অসাধারণ। লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডার। ১৯৫৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক হওয়ার পর ১৯৬৪ সালে অবসর নেওয়ার আগপর্যন্ত অধিনায়কই ছিলেন। টেস্টে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ২০০ উইকেট ও ২০০০ রান তাঁর। সেই বেনো অধিনায়ক হিসেবে ২৮ টেস্টে নিয়েছেন ১৩৮ উইকেট, অর্থাৎ পূর্বসূরিকে টপকে যেতে আরও ২০ উইকেট চাই কামিন্সের।

আরও পড়ুন

ইমরান খান সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডারদের একজন। পাকিস্তানকে বিশ্বকাপ জেতানো অধিনায়ক। ১৯৮২ থেকে ১৯৯২ পর্যন্ত কয়েক দফায় পাকিস্তানের অধিনায়ক ছিলেন। টেস্টে অধিনায়ক হিসেবে ৪৮ ম্যাচে ১৮৭ উইকেট নিয়েছেন সাবেক এই পেসার, অর্থাৎ ইমরানকে পেছনে ফেলে তালিকাটির শীর্ষে উঠতে ৬৯ উইকেট চাই কামিন্সের। তবে শীর্ষ তিনে এই তিন ক্রিকেটারের মধ্যে পার্থক্য হলো প্রথম দুজন ছিলেন অলরাউন্ডার। কামিন্স পুরোদস্তুর পেসার। তালিকায় ১ নম্বরে যাওয়ার খুব ভালো সুযোগই আছে তাঁর।