- বিশ্বকাপে স্বাগত
- টস
- বাংলাদেশ একাদশ, দলে মাহমুদউল্লাহ
- আফগানিস্তানে ওমরজাই
- বিশ্বকাপ নম্বর ৫
- ট্যাকটিকস কর্নার: পেস গড়ে দেবে পার্থক্য?
- ভিন্ন শুরু তাসকিন ও শরীফুলের
- ২ ওভারে ইব্রাহিমের ২ চার
- প্রথম ছক্কা
- ৪৭ রানের ওপেনিং জুটি ভাঙলেন সাকিব
- শেষ বলের চারে ব্রোঞ্জ বাংলাদেশের
- প্রথম পাওয়ারপ্লেতে ৫০/১
- সাকিব, সাকিব
- মিরাজের মেডেন
- গ্যালারিতে তামিম
- বোলিংয়ে মাহমুদউল্লাহ
- ধর্মশালায় উত্তাপ
- শহীদিকে ‘মুক্তি’ দিলেন মিরাজ
- গুরবাজের চূড়ান্ত হতাশা, মোস্তাফিজদের উল্লাস
- এ শুধু সাকিবের দিন?
- তাসকিনের বলে বোল্ড নবি
- হ্যাঁ, তানজিদের মতো ধর্মশালায় উড়ছে বাংলাদেশ
- আক্রমণের চেষ্টা ওমরজাইয়ের
- অনন্য ধর্মশালা
- গুরুত্বপূর্ণ জিনিস ফেলে এসেছিলেন মুজিব
- সফল শরীফুলও
- আরেকটি বোল্ড, আরেকটি উইকেট
- বোল্ড, বোল্ড, বোল্ড, বোল্ড, বোল্ড
- ১৫৬ রানেই শেষ আফগানিস্তান
- অবিশ্বাস্য রান আউট
- ওহ লিটন!
- এবার তিনে মিরাজ
- জীবন পেলেন মিরাজ, রিভিউ হারাল আফগানিস্তান
- ১০ ওভারশেষে
- মিরাজের আরেকটি জীবন
- এখন পর্যন্ত নিষ্ক্রিয় আফগানিস্তানের মূল অস্ত্র
- মিরাজ ও নাজমুলের জুটি
- মিরাজের ৫০
- দর্শক
- শেষ মুহূর্তের রিভিউ এবং….
- অবশেষে থামলেন মিরাজ
- ধীরে ধীরে….
- জয়ের কাছে এসে থামলেন সাকিব
- বাংলাদেশ ব্যাটিং ১, আফগানিস্তান স্পিন ০*
- নাজমুলের ফিফটি
- ৬ উইকেটের জয়ে বিশ্বকাপ শুরু বাংলাদেশের
- তিনে তিন
- জয়ের রেকর্ড
বিশ্বকাপে স্বাগত
বিশ্বকাপ শুরু হয়েছে আগেই, এরই মধ্যে হয়ে গেছে দুটি ম্যাচ। তবে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ শুরু হচ্ছে আজ।
ধর্মশালা। প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান।
আপাতত সব নাটক, বিতর্ক বা যা কিছু—সব পেছনে ফেলে বিশ্বকাপ শুরু করার পালা।
প্রথম আলো লাইভে আপনাকে স্বাগত।
টস
টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
সাধারণত এ মাঠে দল রান তাড়া করে ভালো। শুরুতে ফাস্ট বোলারদের জন্য কিছু সহায়তা থাকবে, সেটি কাজে লাগাতে চাই।
বাংলাদেশ একাদশ, দলে মাহমুদউল্লাহ
দলে আছেন স্বীকৃত দুই ওপেনারই—লিটন ও তানজিদ। বাংলাদেশ নামছে তিন পেসার—তাসকিন, শরীফুল ও মোস্তাফিজের সঙ্গে দুই স্পিনার—সাকিব ও মিরাজকে নিয়ে। সঙ্গে আছেন মাহমুদউল্লাহ। ফলে একাদশের বাইরে আছেন নাসুম আহমেদ, মেহেদী হাসান, হাসান মাহমুদ ও তানজিম হাসান।
বাংলাদেশ একাদশ
লিটন দাস, তানজিদ হাসান, নাজমুল হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম (উইকেটকিপার), তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, তাসকিন আহমেদ, শরীফুল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান।
আফগানিস্তানে ওমরজাই
দলে আছেন দুই পেসার নভিন ও ফারুকি। সঙ্গে পেস বোলিং অলরাউন্ডার ওমরজাই। রশিদ, মুজিবের সঙ্গে স্পিনে অপশন নবি।
আফগানিস্তান একাদশ
রহমানউল্লাহ গুরবাজ, ইব্রাহিম জাদরান, রহমত শাহ, হাশমতউল্লাহ শহীদি (অধিনায়ক), মোহাম্মদ নবি, নজিবুল্লাহ জাদরান, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, রশিদ খান, মুজিব উর রেহমান, নভিন-উল-হক, ফজলহক ফারুকি
বিশ্বকাপ নম্বর ৫
২০০৭
২০১১
২০১৫
২০১৯
২০২৩
সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। ২০০৭ সালে পোর্ট অব স্পেনে ভারতের বিপক্ষে সেই ম্যাচ দিয়ে শুরু। ২০২৩ সালে ধর্মশালায় দুজন নামছেন পঞ্চম বিশ্বকাপ খেলতে।
ট্যাকটিকস কর্নার: পেস গড়ে দেবে পার্থক্য?
দুই দলই পরিচিত তাদের স্পিন আক্রমণের জন্য। তবে বাংলাদেশের পেসারদের বদলে যাওয়ার গল্প একেবারে নতুন নয়।
‘খেলা যখন ধর্মশালায়, তখন গতি ও বাউন্স হবে বাংলাদেশের মূল শক্তি। আর আফগানিস্তান দলের ব্যাটসম্যানদের পেস বোলিংয়ের বিপক্ষে দুর্বলতাটা সবার জানা। বিশেষ করে বাউন্সের কথাটা বলতেই হয়। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে গত জুলাইয়ে আফগানদের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট জয়ের পেছনে তাসকিন আহমেদের বাউন্স ছিল অন্যতম কারণ। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আফগানদের টি-টোয়েন্টি সিরিজও হারিয়েছে উইকেটের বাড়তি বাউন্স কাজে লাগিয়ে। এশিয়া কাপের গল্পটাও একই। বাংলাদেশের ৩৩৪ রান তাড়া করতে নেমে ২৪৫ রানে অলআউট হওয়া আফগানদের ৮টিই নিয়েছিলেন বাংলাদেশের পেসাররা। আজও আফগানদের লেংথ বলের সঙ্গে বাউন্সার মিশিয়ে ভড়কে দিতে চাইবেন তাসকিনরা।’
ভিন্ন শুরু তাসকিন ও শরীফুলের
উইকেটে পেসারদের জন্য সহায়তার আভাস আছে। তবে লাইন-লেংথটা স্বাভাবিকভাবেই গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম ওভারে বেশ আঁটসাঁত ছিলেন তাসকিন। দ্বিতীয় ওভারে আসা শরীফুল অবশ্য সুইংয়ের আশায় গিয়েছিলেন ফুললেংথে, মিড অন ও মিড উইকেটের মাঝ দিয়ে ফ্লিক করে তাতে চার মেরেছেন গুরবাজ। ম্যাচের আগে অনুশীলনের সময় চোট পেয়েছিলেন গুরবাজ, ধারাভাষ্যে বলেছিলেন নাসের হুসেইন।
২ ওভারে ১১/০।
২ ওভারে ইব্রাহিমের ২ চার
তাঁকে ওই জায়গায় বল করবেন না! মানে অফ স্টাম্পের বাইরে জায়গা করে দেবেন না। তাসকিন ও শরীফুল দুজনই সে ভুল করলেন। ইব্রাহিম জাদরান মিস করেননি। দুটিতেই মেরেছেন চার। দুই পেসারের সর্বশেষ ২ ওভারে অবশ্য এসেছে ৯ রান।
৪ ওভারে ২০/০।
প্রথম ছক্কা
শর্ট বলের দিকে ঝুঁকেছিলেন তাসকিন। তবে এবার করে ফেলেছেন বেশি শর্ট, ইব্রাহিম মিস করেননি সেটি। পুল করে মেরেছেন ইনিংসের প্রথম ছক্কা। মানে সর্বশেষ ৩ ওভারেই বাউন্ডারি পেলেন তিনি। পঞ্চম ওভারে এসেছে ৭ রান। ৫ ওভারে বিনা উইকেটে ২৭ রান—ভালো শুরু আফগানিস্তানের।
৪৭ রানের ওপেনিং জুটি ভাঙলেন সাকিব
দুই প্রান্ত থেকেই বোলিংয়ে সাকিব পরিবর্তন এনেছিলেন। মোস্তাফিজের পর নিজেই আসেন। মোস্তাফিজকে গুরবাজ মেরেছিলেন ছক্কা।
তবে সাকিবই দিলেন প্রথম ব্রেকথ্রু। অফ স্টাম্পের বাইরে করেছিলেন, ছিল বাড়তি বাউন্স। সুইপের চেষ্টা করেছিলেন ইব্রাহিম, তবে টপ-এজে ক্যাচ গেছে ডিপ স্কয়ার লেগে। বাংলাদেশ পেয়েছে প্রথম উইকেট, নবম ওভারে। ইব্রাহিম থেমেছেন ২৫ বলে ২২ রানে, আফগানিস্তানের ওপেনিং জুটি ভেঙেছে ৪৭ রানে।
শেষ বলের চারে ব্রোঞ্জ বাংলাদেশের
শেষ বলে চার মেরে বাংলাদেশকে জিতিয়েছেন রকিবুল হাসান, অবশ্য তার আগে ৫ বলে ১৬ রান তুলেছিলেন ইয়াসির আলী। শেষ ওভারে ২০ রান তুলে পাকিস্তানকে হারিয়েছে বাংলাদেশ, জিতেছে হাংজু এশিয়ান গেমসে ব্রোঞ্জ।
প্রথম পাওয়ারপ্লেতে ৫০/১
তাসকিনের করা প্রথম ওভার ছিল বাংলাদেশের জন্য আশাজাগানিয়া। তবে প্রথম স্পেলে তিনি সফল হননি। সফল হননি শরীফুলও।
যে সাফল্য এনে দিয়েছেন সাকিব। ইব্রাহিম ও গুরবাজের জুটি ৫০ রানের আগেই ভেঙেছেন তিনি। যে জুটি হুমকি দিচ্ছিল। তবে আফগানিস্তান মোটামুটি ভালো শুরুই পেয়েছে। বাংলাদেশেরও খুব একটা অখুশী হওয়ার কথা নয়। প্রথম পাওয়ারপ্লেতে ৫০ রান তুলতে ১ উইকেটই হারিয়েছে আফগানিস্তান।
সাকিব, সাকিব
১৫তম ওভারে পঞ্চম বোলার হিসেবে এসেছেন মিরাজ। বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল আরেকটি ব্রেকথ্রু। তবে সেটি এনে দিলেন ওই সাকিব আল হাসান!
আবারও অফ স্টাম্পের বাইরের বল। এবারও লেংথ কম। আবার সুইপের চেষ্টা, এবার ব্যাটসম্যান রহমত শাহ। আবার টপ-এজ। যদিও এবার ক্যাচ গেছে উল্টো দিকে—কাভারে। লিটন দাস সেখানে ভুল করেননি। সাকিব পেয়েছেন দ্বিতীয় উইকেট, বাংলাদেশ পেয়েছে দ্বিতীয় উইকেট।
১৫.১ ওভারে ৮৩/২।
মিরাজের মেডেন
প্রথম ওভারে ৯ রান দিয়েছিলেন মিরাজ। পরের ওভারে দেন ২। এবার করলেন মেডেন। উন্নতির গ্রাফ স্পষ্ট।
আরেক প্রান্ত থেকে সরে গেছেন সাকিব, এসেছেন শরীফুল। বাংলাদেশ অধিনায়কের বোলিং ফিগার এখন পর্যন্ত ৫ ওভার, ১৫ রান, ২ উইকেট।
আফগানিস্তান ৮৮/২।
গ্যালারিতে তামিম
শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপে যাওয়া হয়নি তামিম ইকবালের।
তা নিয়ে হয়েছে অনেক নাটক। ফেসবুকে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করে দেওয়া এক ভিডিওবার্তায় তামিম বলেছিলেন, ‘আমাকে মনে রাখিয়েন। ভুলে যাইয়েন না।’
ধর্মশালায় বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচে গ্যালারিতে দেখা গেল এমন ব্যানার। তাতে লেখা, ‘আমরা আপনাকে কখনো ভুলব না।’
বোলিংয়ে মাহমুদউল্লাহ
শরীফুল ঠিক ছন্দে নেই। এ বাঁহাতি পেসার তাঁর প্রথম ৪ ওভারে দিয়েছেন ২৯ রান। তাঁকে সরিয়ে সাকিব এনেছেন ষষ্ঠ বোলার—মাহমুদউল্লাহকে। বাংলাদেশ এ ম্যাচে মেহেদীকে না নিয়ে খেলাচ্ছে মাহমুদউল্লাহকে।
এ অফ স্পিনার প্রথম ওভারে দিয়েছেন ৭ রান, দ্বিতীয় বলে চার মেরেছেন হাশমতউল্লাহ শহীদি। আফগানিস্তান পেরিয়েছে ১০০। ২২ ওভারশেষে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১০৪ রান।
ধর্মশালায় উত্তাপ
প্রথম ২২ বলে শহীদি করেছিলেন ৫ রান। এরপর মাহমুদউল্লাহকে চার। এরপর আবার খোলসবন্দী কিছুক্ষণ। এবার ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে অফ স্ট্যাম্প দিয়ে চার মারলেন মোস্তাফিজকে।
ধর্মশালায় গরম আছে। টেলিভিশন ব্রডকাস্টিংয়ে স্পষ্ট সেটি। সে উত্তাপ মাঠের খেলায় কতটুকু ছড়ায়, দেখার বিষয় সেটি। এখন পর্যন্ত অবশ্য লড়াইটা ভালোই।
২৪ ওভারশেষে ২ উইকেট হারিয়ে আফগানরা তুলেছে ১১২ রান। জুটি গড়ার চেষ্টা করছেন গুরবাজ ও শহীদি। ফিফটির পথে আছেন গুরবাজ, অপরাজিত ৪৭ রানে।
শহীদিকে ‘মুক্তি’ দিলেন মিরাজ
৩৭ বলে ১৮ রান। মাঝে দুটি চার মারলেও চাপটা টের পাওয়ার কথা শহীদির। সে চাপেই পিষ্ট আফগান অধিনায়ক।
এবার অফ স্টাম্পের বাইরের লাইনে করেছিলেন মিরাজ, টেনে মারার চেষ্টা ছিল শহীদির। তবে প্লেসমেন্টটা ঠিকঠাক করতে পারেননি, যেভাবে খেলতে চেয়েছিলেন পারেননি সেটিও। আবার উঠেছে ক্যাচ। সেটি নিয়েছেন হৃদয়। আরেকটি জুটি সেভাবে গড়ে ওঠার আগেই ভাঙল বাংলাদেশ।
অন্যপ্রান্তে গুরবাজের হতাশা ফুটে উঠেছে স্পষ্টই। একের পর এক সঙ্গী হারিয়ে ফেলছেন তিনি।
২৪.৪ ওভারে ১১২/৩।
গুরবাজের চূড়ান্ত হতাশা, মোস্তাফিজদের উল্লাস
গুরবাজের হতাশা বাড়ছিল। জুটি গড়তে না পারার হতাশা। অন্যপ্রান্তে ব্যাটসম্যানদের ধুঁকতে থাকার হতাশা।
সেটি থেকেই কি না অফ স্টাম্পের বাইরে থেকে তুলে মারতে গেলেন মোস্তাফিজকে। ড্রাইভ করেছিলেন। তবে ক্যাচ গেছে ডিপ পয়েন্টে। বলের গতি কমিয়ে এনেছিলেন মোস্তাফিজ।
সীমানার কাছ থেকে ছুটে এসে ভালো ক্যাচ নিয়েছেন তানজিদ। বাংলাদেশ ক্যাচিংয়ে ভুল করেনি আজ।
গুরবাজ আরেকবার হাত থেকে ফেলে দিয়েছেন হতাশায়। তবে এবার নিজের উইকেটেরই হতাশায়। ৪৭ রানেই থেমেছেন তিনি। ম্যাচের পরিস্থিতি বিবেচনায় দারুণ গুরুত্বপূর্ণ উইকেট বাংলাদেশের।
২৬ ওভারে ১১২/৪।
এ শুধু সাকিবের দিন?
একটু আগে টেলিভিশন সম্প্রচারে একটা কোলাজ দেখানো হয়েছিল, তাতে সাকিবের মাঠে অঙ্গভঙ্গী ছিল। ধারাভাষ্যে নাসের হুসেইন বলছিলেন, নিজের পঞ্চম বিশ্বকাপ খেলতে নামা সাকিবকে মাঠেও রোমাঞ্চিত দেখাচ্ছে। সেটি দেখানোরই কথা। সাকিবের দিনটি যে যাচ্ছে দারুণ!
বোলিংয়ে ফিরলেন পরের স্পেলে। এসেই পেলেন উইকেটের দেখা। লাইন পুরো মিস করে বোল্ড হয়েছেন নজিবুল্লাহ জাদরান। টার্ন করবে ভেবেছিলেন, যা হয়নি। সাকিব পেয়েছেন তাঁর তৃতীয় উইকেট, আফগানিস্তান হারিয়েছে তাদের পঞ্চম।
ধর্মশালায় আফগানিস্তানকে চপে ধরেছে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের সংগ্রহ ২৯ ওভারে ৫ উইকেটে ১২৩ রান।
তাসকিনের বলে বোল্ড নবি
বোলিংয়ে যেমন দিন যাচ্ছে সাকিবের, অধিনায়কত্বেও তেমন।
তাসকিনকে ফিরিয়েছেন। তাসকিন ফেরালেন মোহাম্মদ নবিকে। পিচে পড়ার পর একটু ভেতরের দিকে ঢোকা বলে ব্যাট চালিয়েছিলেন নবি। ইনসাইড-এজে হয়েছেন বোল্ড। ষষ্ঠ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে আফগানিস্তান। তাসকিনের উল্লাসই বলছিল, ধর্মশালায় উড়ছে বাংলাদেশ।
হ্যাঁ, তানজিদের মতো ধর্মশালায় উড়ছে বাংলাদেশ
আক্রমণের চেষ্টা ওমরজাইয়ের
পাল্টা আক্রমণে আজমতউল্লাহ ওমরজাই। সাকিবের ওভারে মেরেছেন দুটি চার। এরপর পুল করে আরেকটি মেরেছেন তাসকিনকে। শেষ ১২ বলে এসেছে ১৬ রান। তবে খাদ থেকে উঠে আসতে আফগানিস্তানের প্রয়োজন এমন আরও বেশ কয়েকটি ওভার।
অনন্য ধর্মশালা
মাঝে ধারাভাষ্যে আলোচনা চলছিল, ক্রিকেটের সবচেয়ে সুন্দর ভেন্যু এটিই কি না। দৃষ্টিসীমায় হিমালয়। ধর্মশালার হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়াম যে ক্রিকেটের সুন্দরতম ভেন্যুগুলোর একটি, তাতে সংশয় নেই।
সেখান থেকে মাঠের আবহ প্রসঙ্গে আমাদের প্রতিনিধি উৎপল শুভ্র জানিয়েছেন, গ্যালারির দুই তৃতীয়াংশ ফাঁকা। তবে ঢাকঢোলের আওয়াজে বিশ্বকাপের আমেজ টের পাওয়া যাচ্ছে ঠিকই।
বাংলাদেশ থেকেও সমর্থকদের একটা বহর গিয়েছে সেখানে।
১১২/২ থেকে ১৫০/৭
আরেকটি জুটি একটু এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিল আফগানিস্তানকে। যেটি থামল আগেভাগেই।
ব্যাকফুটে গিয়ে মিরাজের বলটি সহজেই খেলতে পারবেন, হয়ত রশিদ খান ভেবেছিলেন এমন। কিন্তু যতটা ভেবেছিলেন, বল ততটা ওঠেনি। ইনসাইড-এজে হয়েছেন বোল্ড। সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হয়েছেন তিনি। মিরাজের এটি দ্বিতীয় উইকেট।
১৫০ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে দ্রুতই অলআউট হয়ে যাওয়ার শঙ্কায় আফগানিস্তান। অথচ ১১২ রানেও ২ উইকেট ছিল তাদের।
গুরুত্বপূর্ণ জিনিস ফেলে এসেছিলেন মুজিব
না, শেফিল্ড শিল্ডে ফাওয়াদ আহমেদের মত ঠিক এত বড় জিনিসটা ভুলে যাননি মুজিব উর রেহমান। তবে ‘শক্ত’ ক্রিকেট বল থেকে সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস ভুলে গিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন তিনি। অ্যাবডমিনাল গার্ড ছাড়াই চলে এসেছেন এ আফগান। অবশ্য ব্যাটিং শুরু করার আগেই সেটি ‘অনুভূত’ হয়েছে তাঁর। ছুটে এসেছেন আফগানিস্তানের দ্বাদশ ব্যক্তি। এ নিয়ে লিটন দাসকে মজাও করতে দেখা গেছে। তবে ধারাভাষ্যে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস মনে করিয়ে দিয়েছেন সাইমন ডুল। ভাগ্যিস কোনো পেসার বোলিং করছিলেন না, ভাগ্যিস মুজিবের বল খেলার আগেই মনে পড়েছে সেটি।
সফল শরীফুলও
আরেকটি ইনসাইড-এজে বোল্ড। আফগানিস্তানের আরেকটি উইকেট।
শরীফুল ইসলামের দিনটি ঠিক ভালো যাচ্ছিল না। এর আগে ৫ ওভারে দিয়েছিলেন ৩৪ রান। এবার সফল হলেন তিনিও। ইনসাইড-এজে বোল্ড হওয়া তৃতীয় চতুর্থ আফগান ব্যাটসম্যান হয়েছেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। আচ্ছা, পরে রিপ্লে দেখিয়েছে, ঠিক ইনসাইড-এজ হননি ওমরজাই। বল তাঁর প্যাডে লেগে গিয়ে ঢুকেছে স্টাম্পে। যেভাবেই হোক, আফগানিস্তান হারিয়েছে অষ্টম উইকেট।
আরেকটি বোল্ড, আরেকটি উইকেট
এবার আর ইনসাইড-এজ হলো কি না, তা নিয়ে সংশয় নেই। পরিষ্কার বোল্ড হয়ে গেছেন মুজিব। মিরাজকে বড় শটের চেষ্টা চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে তাঁর। আফগানিস্তানের বাকি ৯ উইকেট। স্কোরবোর্ডে রানের কলাম পড়ছে ১৫৬।
বোল্ড, বোল্ড, বোল্ড, বোল্ড, বোল্ড
সব মিলিয়ে ওয়ানডেতে প্রতিপক্ষের অন্তত ৫ জন ব্যাটসম্যানকে বোল্ড করার ঘটনা বাংলাদেশের এ নিয়ে নয়বার। গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৬ জন বোল্ড হয়েছিলেন, যেটি এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ।
১৫৬ রানেই শেষ আফগানিস্তান
২৫তম ওভারে ১১২ রানে ২ উইকেট।
৩৭.২ ওভারে ১৫৬ রানে অলআউট।
ধর্মশালায় আফগানিস্তানকে এভাবেই বোলিংয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ।
শেষ উইকেট নিতে বাংলাদেশ অপেক্ষা করেনি বেশিক্ষণ। শরীফুল ইসলামের শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়েছেন নভিন-উল-হক।
রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরানে শুরুটা ভালো হয়েছিল আফগানিস্তানের। সাকিব এনে দেন প্রথম ব্রেকথ্রু। ইরবাহিম ফেরার পর রহমত শাহ বা হাশমতউল্লাহ শহীদি সেভাবে না টিকতে পারলেও গুরবাজে ভর করে এগোচ্ছিল আফগানিস্তান। এরপরই ইনিংসে নামে ধস।
বোলিংয়ে ৩০ রানে ৩ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সাকিব। দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রেও দারুণ ছিলেন তিনি। বোলিং পরিবর্তন কাজে এসেছে বেশ ভালোভাবে। শুরুতে না হলেও পরে এসে সফল হয়েছেন তাসকিন, শরীফুলরা। মোস্তাফিজ এনে দিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ উইকেট।
তবে দিনে সেরা বোলিং ফিগারটা মিরাজের—২৫ রানে ৩ উইকেট। ১ ওভার করা মাহমুদউল্লাহ ছাড়া বাকি ৫ বোলারই পেয়েছেন উইকেটের দেখা।
অধিনায়ক সাকিব
বোলার সাকিব ছিলেন দুর্দান্ত। অধিনায়ক সাকিবও তাই।
চার মেরে শুরু তানজিদ ও লিটনের
ফজলহক ফারুকির প্রথম ওভারে চার মেরে বিশ্বকাপে ব্যক্তিগত রানের খাতা খুলেছেন ওপেনার তানজিদ হাসান। মুজিব উর রহমানের করা পরের ওভারে লিটন দাসও চার মেরে রানের খাতা খোলেন। এই ওভারে দুটি চার মারেন লিটন।
বাংলাদেশ ২ ওভার শেষে বিনা উইকেটে ১৫।
অবিশ্বাস্য রান আউট
ফজলহক ফারুকির করা ৫ম ওভারের প্রথম বল কাভারে ঠেলে রান নেওয়ার জন্য সামনের পায়ে একটু ঝুঁকেছিলেন লিটন। রান নেওয়ার দিকে আগ্রহ ছিল না তাঁর। তবে অন্য প্রান্ত থেকে তানজিদ ততক্ষণে দৌড়ে উইকেটের মাঝে চলে এসেছিলেন, লিটনের কল না শুনেই। নজিবুল্লাহ জাদরানের সরাসরি থ্রোয়ে রান আউট হন তানজিদ। এ রানআউটের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, আয়েশি ভঙ্গিতে ক্রিজে ফিরতে চেয়েছিলেন তিনি, অথচ ডাইভ দিলে বেঁচে যেতে পারতেন সহজেই।
বাংলাদেশ ১ উইকেটে ১৯।
ওহ লিটন!
ফজলহক ফারুকির অফ স্টাম্পের বাইরের বল। ব্যাক অব দ্য হ্যান্ডের স্লোয়ার বল। লিটন সেটি খেলতে গেলেন আয়েশী ভঙ্গিতে। অবশ্য ঠিক নিশ্চিত ছিলেন না কীভাবে খেলবেন, মনে হয়েছে এমন। বিপদ ঘটল তাতেই। ইনসাইড-এজে বোল্ড হয়েছেন লিটন। বলা যায়, ‘ক্ল্যাসিক’ লিটন ডিসমিসাল। ১৮ বলে ১৩ রান করে থেমেছেন তিনি। ১৫৭ রান তাড়ায় হুট করেই চাপে বাংলাদেশ।
৬.৪ ওভারে ২৭/২।
এবার তিনে মিরাজ
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওপেনিং কে করবেন, দল ঘোষণার আগে থেকেই তা নিয়ে যে ঝামেলা শুরু, সেটি এখন জানা কথা। আজ অবশ্য লিটনের সঙ্গে স্বীকৃত ওপেনার তানজিদই আসেন।
তানজিদ রানআউট হয়ে ফেরার পর নেমেছেন মিরাজ। ক্যারিয়ারে এই প্রথম তিনে ব্যাটিং করতে এলেন তিনি। এর আগে মেকশিফট ওপেনার হিসেবে খেলতে দেখা গেছে তাঁকে।
বিশ্বকাপ শুরুর আগে অবশ্য শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে তিনে নেমে ফিফটি করেছিলেন মিরাজ। ইংল্যান্ডের সঙ্গে চারে নেমেও ফিফটির দেখা পেয়েছিলেন।
আফগান স্পিনার, বিশেষ করে মুজিবকে মিরাজ সামলাতে পারবেন, এমন ভাবনা আছে। তবে তানজিদের পর লিটনের আউটে মিরাজের দায়িত্বটা বেড়ে গেছে আরও।
বাংলাদেশ আজ একাদশে নিয়েছে মাহমুদউল্লাহকে। মিরাজ ওপরে উঠে আসাতে এখন আট নম্বর পর্যন্ত আছে স্বীকৃত ব্যাটসম্যান।
মিরাজ শুরুটা ভালো করেছেন, মুজিবকে ড্রাইভ করে মেরেছেন নিজের প্রথম চার।
বাংলাদেশ ৮ ওভারে ৩২/২।
জীবন পেলেন মিরাজ, রিভিউ হারাল আফগানিস্তান
১৭ রানে ব্যাটিং করছিলেন মিরাজ। ফারুকির অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাট চালিয়েছিলেন। পয়েন্টে সরাসরি ক্যাচ যায় নজিবুল্লাহ জাদরানের হাতে। সেটি রাখতে পারেননি তিনি। একটু আগে সরাসরি থ্রোয়ে তানজিদকে রানআউট করেছিলেন, এবার ফেললেন সহজ ক্যাচ। ১৫৬ রানের সম্বল নিয়ে এমন ক্যাচ মিস করার বিলাসিতা খুব একটা নেই আফগানদের, সেটি বলাই যায়।
এ ওভারেই মরিয়া আফগানিস্তান এরপর নাজমুল হোসেনের বিপক্ষে নেয় রিভিউ। তবে রিপ্লে দেখিয়েছে, প্যাডের আগে ব্যাটে লেগেছিল নাজমুলের। রিভিউ হারিয়ে ফেলা—ক্যাচ মিসের কাটা ঘায়ে সেটি এসেছে নুনের ছিটা হয়েই।
বাংলাদেশ ৯ ওভারে ৩৯/২।
১০ ওভারশেষে
যদিও ১৫৭ রানের লক্ষ্যে এমন তুলনায় পিছিয়ে থাকা খুব একটা ভাবনার কারণ নয়। মাঝারি একটি জুটিই অনেকটা এগিয়ে দেবে বাংলাদেশকে। মিরাজ ও নাজমুল—দুজনই ফর্মে আছেন, আত্মবিশ্বাসীও। আপাতত আদের সামনে রশিদ খানের চ্যালেঞ্জ।
পার্থক্য গড়ে দিবে রশিদ-ফ্যাক্টর?
মিরাজের আরেকটি জীবন
১২ ওভারে ৫৮/২
১৭ রানের ফারুকির বলে মিরাজের জীবন।
২৩ রানে নভিনের বলে মিরাজের জীবন।
এবার শর্ট বলে একটু লাফিয়ে উঠে আপার কাট করেছিলেন মিরাজ। ডিপ থার্ডে থাকা মুজিব ডানদিকে ছুটে বলের নাগাল পেয়েছিলেন ভালোভাবেই। তবে দুই হাত না বাড়িয়ে একটি বাড়িয়েছিলেন তিনি। হাতে পড়লেও আটকায়নি বল। মিরাজ দ্বিতীয় দফা জীবন পেয়েছেন। ফিল্ডিংয়ে এলোমেলো আফগানিস্তান সুযোগ দিচ্ছে বাংলাদেশকে।
এ মাঠে ফিল্ডিং, বিশেষ করে বাতাসে ভেসে আসা বল ধরা কেন সহজ নয়, প্রথম আলোর কলামে সেটি ব্যাখ্যা করেছেন সাবেক অধিনায়ক গাজী আশরাফ হোসেন।
এখন পর্যন্ত নিষ্ক্রিয় আফগানিস্তানের মূল অস্ত্র
মুজিব উর রেহমান। রশিদ খান। মোহাম্মদ নবি।
আফগানিস্তানের সবচেয়ে বড় অস্ত্র এ তিন স্পিনার। নবিও আক্রমণে এসেছেন। তবে প্রথম ২ ওভারে সফল হননি তিনি।
আফগানিস্তানের ৩ স্পিনার মিলে এখন পর্যন্ত করেছেন ১০ ওভার, দিয়েছেন ৫০ রান। বাংলাদেশ ১৭ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ৮৩ রান।
মিরাজ ও নাজমুলের জুটি ৫০ পেরিয়েছে আগেই।
মিরাজ ও নাজমুলের জুটি
ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এ নিয়ে তৃতীয়বার নাজমুলের সঙ্গে জুটি গড়লেন মিরাজ। এর আগে দুজনের দুটি জুটিই ছিল অবিচ্ছিন্ন।
মিরাজ অপরাজিত ৪৭ রানে। নাজমুল ব্যাটিং করছেন ২৫ রানে। দুজনের জুটি অবিচ্ছিন্ন ৮৬ রানে।
জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ৬২ রান। বাকি অ-নে-ক ওভার।
মিরাজের ৫০
এশিয়া কাপে ওপেনিংয়ে নেমে করেছিলেন সেঞ্চুরি।
বিশ্বকাপে তিনে নেমে করলেন ফিফটি।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে টপ অর্ডারে খেলাটা বেশ পছন্দ হচ্ছে মিরাজের, সেটি বলাই যায়!
মুজিবের বলে লং অনে খেলে নেওয়া সিঙ্গেলে ৫৮ বলে ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি পূর্ণ করেছেন এ অলরাউন্ডার। এর আগে বোলিংয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ম্যাচসেরার পুরস্কারটা মিরাজকে দিয়ে দেওয়াই যায়, কী বলেন?
দর্শক
ধর্মশালায় বাংলাদেশ সমর্থকদের উপস্থিতি আছে। তবে ঢাকার রাস্তায় দেখা মিলছে এমন দৃশ্যের।
শেষ মুহূর্তের রিভিউ এবং….
১ সেকেন্ড বাকি থাকতে রিভিউয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মিরাজ।
মুজিবের ভেতরের দিকে ঢোকা বলে ব্যাট ও প্যাড খুব কাছে ছিল মিরাজের। বল প্যাডে লাগার আগে ব্যাটে লেগেছে কি না, প্রশ্ন সেটি নিয়েই। ঝামেলা হলো, ব্যাট যখন প্যাডে লেগেছে, বলও প্রায় একইসঙ্গে ছিল ব্যাটের পাশে। টেলিভিশন আম্পায়ার আহসান রাজা শুরুতে সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন, ইনসাইড-এজ হয়েছে। তবে অন ফিল্ড আম্পায়ার যেন মানতে পারছিলেন না সেটি। আহসান আরও কয়েকবার আল্ট্রা-এজ দেখেছেন। শেষ পর্যন্ত বহাল রেখেছেন আগের সিদ্ধান্তই—ইনসাইড-এজ।
স্বাভাবিকভাবেই ব্যাটে লেগেছে কি না, সেটি নিয়ে নিশ্চিত ছিলেন না মিরাজ। সেটি থাকলে রিভিউটা সঙ্গে সঙ্গেই নেওয়ার কথা তাঁর।
পরে শুধু দেখানোর স্বার্থেই বল ট্র্যাকিং দেখানো হয়েছে। তাতে ইমপ্যাক্টে আম্পায়ার্স কল হলেও উইকেটে হিটিং ছিল। মানে ইনসাইড-এজ না হলে আউট হতেন মিরাজ।
তবে মিরাজ বেঁচে গেলেন কোনো একভাবে। এর আগে দুই দফা তাঁর ক্যাচ ফেলেছিলেন আফগান ফিল্ডাররা। এবারও ভাগ্যকে পাশে পেলেন তিনি।
অবশেষে থামলেন মিরাজ
দুই দফা ক্যাচ তুলেও বেঁচে গিয়েছিলেন। এরপর রিভিউয়ে ভাগ্যের সহায়তা পেয়েছেন, বলাই যায়। এবারও ক্যাচ ঠিকঠাক হয়েছে কি না, তা দেখার জন্য টেলিভিশন আম্পায়ারের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অন-ফিল্ড আম্পায়াররা। তবে এবার আর ভাগ্যকে পাশে পাননি মিরাজ।
নভিনকে মিড অফের ওপর দিয়ে তুলে মারতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে দারুণভাবে লাফিয়ে উঠে ক্যাচ নিয়েছেন রহমত শাহ। মিরাজ থেমেছেন ৭৩ বলে ৫৭ রান করে।
ভাগ্যকে পাশে পাওয়া এ ইনিংস বাংলাদেশকে জয়ের পথে এগিয়ে নিয়ে গেছে অনেকটাই।
ধীরে ধীরে….
বাংলাদেশের জয় আটকানো এখন অসম্ভব, সেটি বলাই যায়। তবে মিরাজ ফেরার পর থেকে ধীরলয়ে এগোচ্ছে বাংলাদেশ। মিরাজ ফেরার পর পরের ৩ ওভারে এসেছে মাত্র ১১ রান।
৩৩তম ওভারে ফ্রি হিট পেয়েছিলেন নাজমুল। সেটিও ডিপ ফাইন লেগে থাকা নবিকে টপকে যেতে পারেননি। সব মিলিয়ে সর্বশেষ ৪ ওভারে উঠেছে ১৫ রান।
রান রেট বাড়ানোর ভাবনা থেকে কি আরেকটু দ্রুতগতিতে এগোতে পারত বাংলাদেশ?
জয়ের কাছে এসে থামলেন সাকিব
আগের বলে চার মেরেছিলেন সাকিব, পরের বলে আবার পুল করতে গিয়ে সরাসরি ক্যাচ দিলেন ডিপ মিডউইকেটে। জয় থেকে ১১ রান দূরে থাকতে চতুর্থ উইকেট হারাল বাংলাদেশ, ১৯ বলে ১৪ রান করে থেমেছেন সাকিব।
বাংলাদেশ ব্যাটিং ১, আফগানিস্তান স্পিন ০*
মুজিব—৭ ওভার, ৩০ রান, ০ উইকেট
রশিদ—৯ ওভার, ৪৮ রান, ০ উইকেট
নবি—৬ ওভার, ১৮ রান, ০ উইকেট
*৩৪ ওভার পর্যন্ত
নাজমুলের ফিফটি
যখন নেমেছিলেন, দ্রুত ২ উইকেট হারিয়ে একটু চাপেই পড়েছিল বাংলাদেশ। নাজমুল ক্রিজে থেকেছেন। ধীরগতিতে হলেও পেলেন ফিফটি, তাঁর লেগেছে ৮০ বল। দারুণ ফর্মে থাকা নাজমুলের আরেকটি কার্যকরী ইনিংস।
৬ উইকেটের জয়ে বিশ্বকাপ শুরু বাংলাদেশের
নভিনের বলে ড্রাইভ নাজমুলের। মিড অফে থাকা ফিল্ডার ধরতে পারতেন সেটি। তবে তিনি করেছেন মিসফিল্ড। পুরো ম্যাচের চিত্রই ফুটে উঠেছে তাতে।
ধর্মশালায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৬ উইকেটের জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করেছে বাংলাদেশ। ১৫৭ রানের লক্ষ্যে ফিফটি পেয়েছেন মিরাজ ও নাজমুল। এর আগে মিরাজ নিয়েছেন ৩ উইকেট।
এমন জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন বোলাররাই। সাকিব ও মিরাজ ছিলেন দুর্দান্ত। শুরুতে না হলেও পরে গিয়ে পেসাররা রেখেছেন ভালো অবদান।
রান তাড়ায় শুরুতে ২ উইকেট হারালেও মিরাজ ও নাজমুলের ৯৭ রানের জুটিতে চাপ মিলিয়ে যায় অনেকটাই। আফগানিস্তান ফিল্ডিংয়ে সুযোগ হারিয়েছে। তাদের মূল অস্ত্র স্পিনও কার্যকরী হয়নি মোটেও। মুজিব, রশিদ ও নবি—তিন জন মিলে ২২ ওভার বোলিং করে থেকেছেন উইকেটশূন্য।
তিনে তিন
২০১৫: প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান, জয়ের ব্যবধান ১০৫ রান
২০১৯: প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা, জয়ের ব্যবধান ২১ রান
২০২৩: প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান, জয়ের ব্যবধান ৬ উইকেট
জয়ের রেকর্ড
বিশ্বকাপে এখন এটিই সবচেয়ে বেশি বল বাকি রেখে জয়ের রেকর্ড বাংলাদেশের। আগের রেকর্ড ছিল ৫২ বলের, ২০১১ সালে চট্টগ্রামে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে।