আইপিএলকে ‘না’ বলার পুরস্কার
আইপিএলের সর্বশেষ আসরে খেলার সুযোগ ছিল সাকিব আল হাসানের। বাংলাদেশ দলের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ককে নিলাম থেকে কিনে নেয় দুবারের আইপিএল চ্যাম্পিয়ন কলকাতা নাইট রাইডার্স। পরে আইপিএল থেকে নাম সরিয়ে নেন সাকিব নিজেই। কলকাতার হয়ে পুরো আইপিএল খেলতে পারতেন লিটনও। কিন্তু জাতীয় দলের খেলার ফাঁকে যা সময় পেয়েছেন, তাতে আইপিএলে মাত্র একটি ম্যাচই খেলতে পেরেছেন তিনি। জাতীয় দলের খেলা থাকায় ২০২২ সালে আইপিএলে যাওয়ার সুযোগ থাকলেও যাননি তাসকিন আহমেদও।
দেশের হয়ে খেলার জন্য বিদেশি লিগ না খেলার সিদ্ধান্ত প্রশংসা পাওয়ারই যোগ্য। এ জন্য ক্রিকেটারদের বিশেষ প্রণোদনা দেওয়ারও ঘোষণা দিয়েছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান। সেটি এরই মধ্যে দেওয়াও হয়ে গেছে। আইপিএলে খেলতে না যাওয়ায় সাকিব, লিটন ও তাসকিনকে বিসিবির পক্ষ থেকে মোট ৭০ লাখ ৫১ হাজার ২৮২ টাকা প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। তিনজনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি টাকা পেয়েছেন সাকিব। লিটন ও তাসকিন পেয়েছেন প্রায় সমপরিমাণ টাকা।
বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, ‘এটা ওদের প্রাপ্য। যে পরিমাণ টাকা ওরা আইপিএল থেকে পেত, সেটা তো আর দেওয়া সম্ভব নয়। তবে ওরা আইপিএলে না খেলে দেশের হয়ে খেলছে, সে জন্য বোর্ড ওদের সম্মানিত করার চেষ্টা করেছে।’
আইপিএলের নিয়ম অনুযায়ী, ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিকের ২০ শতাংশ যায় সে দেশের ক্রিকেট বোর্ডের কোষাগারে। সাকিব–লিটনরা আইপিএলে না যাওয়ায় এবার সে অর্থ পায়নি বিসিবি, উল্টো বিসিবিই প্রণোদনা দিয়েছে তিন ক্রিকেটারকে।
সর্বশেষ আইপিএলে সাকিবকে ১ কোটি ৫০ লাখ রুপিতে দলে নিয়েছিল কলকাতা, লিটনের পারিশ্রমিক ছিল ৫০ লাখ রুপি। লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের মেন্টর গৌতম গম্ভীর বদলি খেলোয়াড় হিসেবে তাসকিনকে দলে নিতে চেয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত আইপিএলে না যাওয়ায় তাসকিনের পারিশ্রমিকও নির্ধারিত হয়নি। এই তিন ক্রিকেটারকে দেওয়া বিসিবির প্রণোদনাও ঠিক হয়েছে আইপিএলে তাদের মূল্যের ভিত্তিতে।