এনামুলের ব্যাটে শীর্ষে সাকিবের বরিশাল
আয়ারল্যান্ড দলের জিম্বাবুয়ে সফর শেষ হয়েছে ২৩ জানুয়ারি। সেখান থেকেই সরাসরি বিপিএলে যোগ দিয়েছেন আইরিশ অলরাউন্ডার কার্টিস ক্যাম্ফার। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ড্রাফটের বাইরে থেকে চুক্তি করেছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক করা এই অলরাউন্ডারের সঙ্গে।
দলটির সঙ্গে সিলেটে এক দিন অনুশীলন করেই তিনি আজ ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে খেলতে নামেন। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই ২৫ বলে ৪৫ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন। চাপের মুখে ১৮০ স্ট্রাইক রেটের সে ইনিংস চট্টগ্রামকে ৬ উইকেটে ১৬৮ রানে পৌঁছে দেয়, যা শেষ ওভারে গিয়ে টপকে গেছে বরিশাল। ৪ উইকেটের জয়ে বিপিএল পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছেন সাকিবরা।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের শিশিরভেজা আউটফিল্ডে বরিশালের জয়ের নায়ক ছিলেন এনামুল হক। ওপেনিংয়ে নামা এনামুলের ব্যাট থেকে এসেছে ৫০ বলে ৭৮ রান। ৬টি চার ও ৬টি ছক্কায় সাজানো দুর্দান্ত ইনিংসে ছিল পুল শটের কর্তৃত্ব ও দাপট। ১৫৬ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসে পুল শট থেকেই এসেছে ৫টি বাউন্ডারি। অথচ ইনিংসের প্রথম ১১ বলে এনামুলের রান ছিল মাত্র ১।
এরপর টানা দুটি ছক্কায় ১৩ বলে ১৩ রানে পৌঁছে যান এনামুল। এরপর ফিফটি করেছেন মাত্র ২৭ বলে। মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর দুর্দান্ত ইয়র্কারে আউট হওয়ার আগে বরিশালকে জয়ের মঞ্চ গড়ে দিয়ে যান তিনি। সাকিব-ইফতিখারদের ব্যর্থতার দিনে বরিশাল ইনিংসের ফিনিশারের কাজটা করেছেন আফগান অলরাউন্ডার করিম জানাত ও সালমান হোসাইন। দুজন মিলে ২১ বলে ৫০ রান যোগ করলে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে চট্টগ্রাম।
চট্টগ্রামকে মূলত প্রতিযোগিতায় রেখেছেন দলটির বাঁহাতি স্পিনার নিহাদুজ্জামান। ভেজা বলে বোলিং করেও ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়েছেন, উইকেট নিয়েছেন ৪টি। সাকিব, মাহমুদউল্লাহ, চতুরঙ্গ ডি সিলভা ও ইফতিখারকে আউট করে চট্টগ্রামকে তিনিই জয়ের আশা দেখান। কিন্তু তাঁর স্পেল শেষ হতে না হতেই সে আশা ভঙ্গ হয়। ক্যাম্ফার ও মেহেদী হাসান রানার খরুচে বোলিংয়ে ম্যাচটা চট্টগ্রামের হাত থেকে বেরিয়ে যায়।
অথচ এই ক্যাম্ফারের ব্যাটেই চট্টগ্রাম লড়াই করার মতো রান করতে সক্ষম হয়। চট্টগ্রামের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার পর আফিফ হোসেন ২৩ বলে ৩৭ রানের ইনিংস খেলেন। দারুণ খেলতে থাকা এই বাঁহাতির ইনিংসটি থেমেছে ইনিংসের ১৪তম ওভারে ইফতিখারের দুর্দান্ত ক্যাচে।
সেখান থেকে চট্টগ্রামকে লড়াই করার মতো জায়গায় নিয়ে গেছেন ক্যাম্ফার। ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪৫ রান করেন এই ব্যাটসম্যান। তাঁকে সঙ্গ দিয়েছেন ইরফান শুক্কুর। ইনিংসের শেষ বলে রানআউট হওয়ার আগে ১৯ বলে ২০ রান করেন এই বাঁহাতি।