শাহিন আফ্রিদির মুখোমুখি হওয়া নিয়ে ভাবছেন না মিরাজ
আফগানিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে উঠেছে বাংলাদেশ। বুধবার লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে সুপার ফোরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে সাকিব আল হাসানের দল। গতকাল আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের স্পিন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, পাকিস্তানের পেস আক্রমণ সামলাতে তিনি প্রস্তুত কি না? মিরাজ হাসতে হাসতে উত্তর দিয়েছেন, ‘আমি যেকোনো বোলারের মুখোমুখি হতে সব সময়ই প্রস্তুত।’
মিরাজের আত্মবিশ্বাস এখন তুঙ্গে থাকাই স্বাভাবিক। আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের বাঁচা-মরার ম্যাচে ওপেন করে ১১৯ বলে ১১২ রান করেছেন। পাকিস্তানের বিপক্ষেও মিরাজ ওপেন করবেন এবং সেটি করলে তাঁকে শাহিন আফ্রিদি, হারিস রউফ ও নাসিম শাহর মতো পেস তারকাদের সামলাতে হবে।
এমনিতে মিডল অর্ডারে শেষ দিকে ব্যাট করলেও কাল ওপেন করতে নেমে প্রত্যাশার দারুণ প্রতিদান দিয়েছেন মিরাজ। পাকিস্তানের বিপক্ষেও ওপেন করবেন, এমনটা ভেবে নিয়েই এক সংবাদকর্মী তাঁর কাছে জানতে চেয়েছিলেন, কোনো চাপ অনুভব করছেন কি না? নতুন বলে উইকেট নেওয়া মোটামুটি অভ্যাসে পরিণত করেছেন শাহিন আফ্রিদি। ভারতের বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচেও নতুন বলে রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলিকে তুলে নিয়েছেন।
কিন্তু মিরাজ এই প্রশ্নের উত্তরেও হেসেছেন। তারপর বলেছেন, ‘আমি কোনো বোলারকে (মুখোমুখি হওয়া) নিয়ে দুশ্চিন্তা করি না। আমি মিডল অর্ডারে ভালো খেলতে চাই। হ্যাঁ, পরের ম্যাচটা আমার জন্য দারুণ সুযোগ। টপ অর্ডারেও খেলতে পারব। টিম ম্যানেজমেন্ট সে সুযোগ দিলে ভালোই হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে শেষ প্রশ্নটি ছিল বেশ মজার। সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কার কলম্বোয় দুটি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার সুপার ফোর এখনো নিশ্চিত হয়নি ‘বি’ গ্রুপ থেকে। যদিও পয়েন্ট টেবিলে বেশ সুবিধাজনক অবস্থানেই রয়েছে দাসুন শানাকার দল।
শ্রীলঙ্কা সুপার ফোরে উঠবে—অনেকটা এমন ধরে নিয়েই মিরাজের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বাংলাদেশের ‘নাগিন ড্যান্স’-এর প্রতিযোগিতা হবে কি না? মিরাজ প্রশ্নটা শুনেই হেসে ফেলেন। এরপর বলেছেন, ‘সব সময়। বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে সব সময়ই এটা নিয়ে প্রতিযোগিতা হয়। এটা নিদাহাস ট্রফিতে শুরু হয়েছিল।’
২০১৮ নিদাহাস ট্রফিতে ‘নাগিন নাচ’কে বিশ্ব মিডিয়ার নজরে নিয়ে এসেছিল বাংলাদেশ দল। সেই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়েরা মাঠে ‘নাগিন নাচ’ নেচেছিলেন। শ্রীলঙ্কার খেলোয়াড়েরাও উদ্যাপনে লুফে নিয়েছিলেন এই নাচ।