‘বিকল্প’ হিসেবে সৌম্য-শামীমদের তৈরি রাখছে বাংলাদেশ
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের দলে নেই শামীম হোসেন। টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলে অবশ্য এই স্পিন বোলিং অলরাউন্ডারের নাম আছে। শেখ মেহেদী হাসান, সৌম্য সরকাররা জাতীয় দলের বাইরে আছেন দীর্ঘদিন। কিন্তু প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের ডাকে তাঁরা প্রত্যেকেই নিয়মিত মাঠে আসছেন, অনুশীলন করছেন।
তাঁদের ভুলত্রুটি ধরিয়ে দেওয়ার জন্য আছেন হাথুরুসিংহে কিংবা সহকারী কোচ নিক পোথাস। স্পিনারদের সঙ্গে কাজ করছেন রঙ্গনা হেরাথ। অ্যালান ডোনাল্ড অসুস্থতার কারণে ছুটিতে থাকলেও পেস বোলিং কোচের ভূমিকায় আছেন তালহা জুবায়ের। জাতীয় দলের বাইরের ক্রিকেটারদের নিয়ে কোচদের এ ব্যস্ততার কারণও আছে।
জাতীয় দলের সহকারী কোচ নিক পোথাস আজ জানালেন সে কারণটা, ‘এটা হচ্ছে ক্রিকেটারদের সুযোগ করে দেওয়ার একটা উপায়। তারা যেন নিজেদের গ্রুপের বাইরের কেউ মনে না করে। এখান থেকে আমাদের বিকল্প ক্রিকেটারও তৈরি হচ্ছে। কেউ চোটে পড়লে যেন একেবারেই নতুন কাউকে ডাকতে না হয়। এ জন্য আমরা তাদেরকে সেরা সুযোগ–সুবিধা দিয়ে অনুশীলনের সুযোগ করে দিচ্ছি। যেকোনো পরিস্থিতিতে তাদের দরকার হতে পারে।’
দলের বাইরে থাকা ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত নাম সৌম্য সরকার। এই বাঁহাতিকে পোথাস কেমন দেখলেন, এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেছেন, ‘আমি নিশ্চিত নই। কারণ, আমি তার সেরাটা দেখিনি। অনেক আগে তাকে টিভিতে দেখেছি। কিন্তু এখন তাকে সামনে থেকে দেখা হচ্ছে। আমরা জানি তার সেরাটা খুবই ভালো। কিন্তু এই মুহূর্তে আমি তাকে দুই থেকে তিনবার নেটে দেখেছি, যেটা যথেষ্ট নয়।’
সৌম্যকে জাতীয় দলে ফিরতে হলে যে রান করতে হবে, সে বার্তাও আছে পোথাসের কথায়, ‘এটা মাত্র তাকে দেখার শুরু করেছি। তার সামনে ইমার্জিং এশিয়া কাপ হচ্ছে। দিন শেষে যেকোনো ব্যাটসম্যানের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে রান করা। বাকি সব অমূলক। দলের যেটা দরকার, সেটা হচ্ছে রান।’
ঈদের ছুটিতে যাওয়ার আগে আজই সর্বশেষ অনুশীলন করলেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আগামী ৩ জুলাই আবার অনুশীলনে ফিরবে তামিম ইকবালের দল। দুই দিনের অনুশীলনের পর ৫ জুলাই শুরু হবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ।
এখন পর্যন্ত ক্রিকেটারদের যে প্রস্তুতি, তাতে পোথাসকে সন্তুষ্টই মনে হলো, ‘ক্রিকেটারদের ক্যাম্প খুবই ভালো হয়েছে। সব ক্রিকেটারদের দেখার একটা সুযোগ করে দিয়েছে। আমরা দারুণ সুযোগ–সুবিধাও পাচ্ছি। ছেলেরা যতটা সম্ভব তৈরি হয়েছে। আমরা খুবই খুশি।’