৭ বছরেও ট্রফি নেই, দিল্লি থেকে পন্টিংয়ের বিদায়
অবশেষে রিকি পন্টিংয়ের ওপর আস্থা হারিয়েই ফেলল দিল্লি ক্যাপিটালস। আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিটি ঘোষণা দিয়েছে, প্রধান কোচ হিসেবে সাবেক অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক আর দিল্লির সঙ্গে থাকছেন না। ২০১৮ সালে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসে (তৎকালীন নাম) যোগ দিয়েছিলেন পন্টিং। তাঁর কোচিংয়ে টানা সাত মৌসুম খেলেও কোনো ট্রফি জিততে পারেনি দিল্লি।
পন্টিং ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি আইসিসি টুর্নামেন্ট জেতা অধিনায়ক, অস্ট্রেলিয়া তাঁর নেতৃত্বে জিতেছে দুটি করে বিশ্বকাপ ও চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। কিন্তু আইপিএল কোচিং ক্যারিয়ার তাঁর হাত এখনো শূন্যই।
পন্টিংয়ের কোচিংয়ে প্রথম মৌসুমে তলানির দল হিসেবে লিগ পর্ব শেষ করে দিল্লি। ২০১৯, ২০২০ ও ২০২১ আসরে অবশ্য কোয়ালিফায়ারে জায়গা করে দিল্লি। এর মধ্যে ২০২০ আসরে ফাইনালও খেলে, যদিও মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের কাছে হারতে হয়। আর সর্বশেষ তিন মৌসুমে লিগ পর্বই পেরোতে পারেনি দলটি, ২০২৪ আসরে ১০ দলের মধ্যে অবস্থান সপ্তম।
একের পর এক মৌসুম ট্রফিহীন থাকার পরও যে পন্টিংকে কোচ পদে রেখে দিয়েছে দিল্লি, এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন কেউ কেউ। আজ পন্টিংকে বিদায় জানাতে গিয়ে অবশ্য বেশ আবেগপ্রবণ বার্তাই দিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। দলের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হ্যান্ডল থেকে তিনটি ফটো কার্ড পোস্ট করা হয়েছে। পন্টিংকে উদ্দেশ করে লেখা প্রথম চিঠিতে আছে—‘প্রিয় রিকি, আমাদের প্রধান কোচের পদ ছেড়ে যাওয়ার এই সময়টা ভাষায় বর্ণনা করা অবিশ্বাস্য কঠিন। দলের প্রতিটি জমায়েতে তোমার বলা চারটি শব্দ—মনোযোগ, অঙ্গীকার, মানসিকতা ও প্রচেষ্টা—এসবই তোমার সাত বছরের সারমর্ম বোঝায়।’
পরের ফটো কার্ডে ক্রীড়াবিদের পাশাপাশি একজন মানুষ হিসেবে পন্টিংয়ের প্রশংসা করে লেখা হয়েছে, ‘সাত গ্রীষ্মেই প্রতিটি অনুশীলন সেশনে তুমি আগে এসেছে, বের হয়েছ সবার শেষে। সাত গ্রীষ্মেই স্ট্র্যাটেজিক টাইমআউটে তুমি ডাগআউট থেকে দৌড়ে গেছ, শেষ পর্যন্ত (উত্তেজনায়) নখ কামড়েছ।’
পন্টিং চলে গেলেও ডিরেক্টর অব ক্রিকেট সৌরভ গাঙ্গুলী, সহকারী কোচ প্রভিন আমরে, বোলিং কোচ জেমস হোপস এবং ফিল্ডিং কোচ বিজু জর্জরা তাঁদের কাজ চালিয়ে যাবেন। সামনের মৌসুমে গাঙ্গুলীকে কোচ হিসেবেও দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। পিটিআই জানিয়েছে, এ মাসের শেষ দিকে বা আগামী মাসের শুরুতে আগামী মৌসুম ও নিলামে দল গোছানো নিয়ে বৈঠকে বসবে দিল্লি ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকপক্ষ। দিল্লির মালিকানায় আছে জেএসডব্লু ও জিএমআর গ্রুপ।