৬ বলে প্রয়োজন ৭ রান। শেষ ওভারে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের হিসাবটা ভারতের জন্য ছিল এমন। হাতে ছিল ৫ উইকেট। কঠিন কোনো হিসাব নয়। কিন্তু বাঁহাতি স্পিনার মোহাম্মদ নওয়াজের প্রথম বলেই আউট হয়ে ফেরেন রবীন্দ্র জাদেজা। দিনেশ কার্তিক এসে মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলেই একটি রান নিয়ে হার্দিক পান্ডিয়াকে স্ট্রাইক দিলেন। ওভারের তৃতীয় বলটি ডট দিলেন পান্ডিয়া।
ম্যাচ কি তাহলে কিছুটা হলেও জমে উঠছে—এমন একটা প্রশ্ন তখন উঠতে শুরু করেছে। ৩ বলে তখন ৬ রান প্রয়োজন ছিল ভারতের। পান্ডিয়া পরের বলেই প্রশ্নটি থামিয়ে দেন। নওয়াজের চতুর্থ বলটি রশির ওপর দিয়ে পাঠিয়ে দেন সীমানার বাইরে।
দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে তখন ‘পান্ডিয়া, পান্ডিয়া’ ধ্বনি উঠেছে। পান্ডিয়া বাঁ হাতে হেলমেট আর ব্যাট নিয়ে ডান হাতটা উঁচিয়ে ধরলেন ওপরে। তিনি যেন অনুচ্চারে ঘোষণা করলেন—জয় আমাদেরই! ধারাভাষ্যকক্ষে তখন পান্ডিয়াকে নিয়ে স্তুতি চলছে। তাঁর অলরাউন্ড পারফরম্যান্সেই যে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারাতে পেরেছে ভারত।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা পাকিস্তানকে যে ভারত ১৪৭ রানে অলআউট করতে পেরেছে, এতে সবচেয়ে বড় অবদান পান্ডিয়ার। ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি। এরপর ব্যাট হাতে ৪টি চার ও ১টি ছয়ে ১৭ বলে করেছেন অপরাজিত ৩৩ রান। ম্যাচসেরার পুরস্কারটাও জিতেছেন পান্ডিয়াই।
ম্যাচ শেষে নিজের এমন পারফরম্যান্স এবং শেষ ওভারে মারা ওই ছক্কার রহস্য জানিয়েছেন পান্ডিয়া। রান তাড়া করতে নেমে কী পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়েছেন, সে বিষয়ে পান্ডিয়া বলেন, ‘এ ধরনের রান তাড়ায় আপনাকে সব সময় ওভার ধরে ধরে খেলতে হবে। আমি জানতাম ওদের একজন তরুণ বোলার আছে। এ ছাড়া একজন বাঁহাতি স্পিনারও (নওয়াজ) আছে।’
পান্ডিয়া এরপর কথা বলেন শেষ ওভার নিয়ে, ‘আমাদের তো মাত্র ৭ রান প্রয়োজন ছিল। যদি ১৫ রানও লাগত, আমি সুযোগ নিতাম। আমি জানি ২০তম ওভারে বোলারই আমার চেয়ে বেশি চাপে থাকবে। আমি জিনিসগুলো সহজভাবে করার চেষ্টা করি।’
নিজের বোলিং নিয়েও কথা বলেছেন ভারতের অলরাউন্ডার, ‘বোলিংয়ে আপনাকে পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করতে হবে। এরপর ঠিকভাবে অস্ত্র ব্যবহার করতে হবে। আমার শক্তির জায়গা শর্ট আর হার্ড লেংথের বল।’