চোটাক্রান্ত সাকিব ভারতের বিপক্ষে খেলতে চান
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গত শুক্রবারের ম্যাচে বাঁ ঊরুতে চোট পেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। স্ক্যান করাতে তাঁকে হাসপাতালেও নেওয়া হয়েছিল। দলের একটি সূত্র মারফত তখন জানা গিয়েছিল, বাংলাদেশ অধিনায়ককে কয়েক দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। কনরাড পুনে হোটেলে আজ বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ জানিয়েছেন, সাকিব ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন। বৃহস্পতিবার পুনেতে ভারতের বিপক্ষে সাকিব খেলতে চান।
সাকিবের চোটের কী অবস্থা—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল খালেদ মাহমুদের কাছে। উত্তরে বাংলাদেশের সাবেক এই ক্রিকেটার বলেছেন, ‘সাকিব ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছে। ব্যথা নেই। যেহেতু এখনো মাঠে নামেনি, তাই পুরো পরিস্থিতিটা বলা যাবে না। কালকে (আগামীকাল) ব্যাট করবে, এরপর হয়তো একটু দৌড়াবে। তখন বোঝা যাবে। আশা করছি, এই ম্যাচের আগে তাকে (ফিট) পাব।’
খালেদ মাহমুদ অবশ্য ভারত-ম্যাচে সাকিবের খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তার ইঙ্গিতও দিয়েছেন, ‘আমাদের ধারণা, সে খেলতে পারবে। কিন্তু চিকিৎসার কিছু বিষয় তো আছেই। যেহেতু (চোট) আছেই পায়ে, ঝুঁকির একটা ব্যাপার থাকেই। তবে এখন ব্যথা নেই। আজ সুইমিং ছিল, সেখানে কিছু কাজও ছিল। শরীরের উপরিভাগ নিয়ে জিম করবে। কালকে মাঠে ব্যাটিংয়ের পর আমরা হয়তো বুঝতে পারব। একটা স্ক্যানও করানো হবে। স্ক্যান করানোর পর আমরা হয়তো (চোটের ব্যাপারে) পরিষ্কার একটা ছবি পাব।’
সংবাদকর্মীরা খালেদ মাহমুদের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, সাকিব ব্যাটিংয়ে নামার পর কিংবা দৌড়ের কারণে যদি আবারও ব্যথা ফিরে আসে? খালেদ মাহমুদের উত্তর, ‘ব্যথা থাকতেই পারে। যেহেতু (মাংসপেশি) ছিঁড়ে যাওয়ার ব্যাপার আছে। তবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে, যেমন হাঁটলেও ব্যথা হয়, সাকিবের ও রকম সমস্যা নেই। সে জন্যই আমরা একটু আশাবাদী। তবে মাঠে না গেলে, আস্তে হাঁটা ও দৌড়ের মধ্যে তো পার্থক্য আছে, যেহেতু শেষ ম্যাচে সে রান নিতে গিয়েই ব্যথা পেয়েছিল। কাল (আগামীকাল) হয়তো ওগুলো দেখবে। যদি এমনও বলি, ৯০ শতাংশ কিংবা ৯৫ শতাংশ ফিট, শেষ ম্যাচে কিন্তু সে ব্যথা পাওয়ার পরও পুরো ১০ ওভার বোলিং করেছে। সাকিব চাচ্ছে খেলতে, তবে এটা অবশ্যই ওর ফিটনেসের ওপর নির্ভর করছে।’
ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে সাকিবের খেলার ঝুঁকি নিয়ে খালেদ মাহমুদের ব্যাখ্যা, ‘টুর্নামেন্টে এখনো ৬টা ম্যাচ বাকি। আমরা কেউ চাই না একটা ম্যাচ খেলে সে বাকি ম্যাচগুলো মিস করুক। তবে ফিজিওরা একটা সিদ্ধান্ত তো নেবেনই। এটা কোচের সিদ্ধান্ত নয়। সাকিবও তার ব্যাপারটা বুঝবে। আমরা চাই না যে সাকিব এই ম্যাচ খেলায় তার ক্যারিয়ারের জন্য সমস্যা হোক। কিংবা দীর্ঘ মেয়াদে কোনো বিপদে পড়ুক। আমরা চাইব, সাকিব যদি মনে করে এবং ফিজিওর ছাড়পত্র থাকলে অবশ্যই খেলবে।’