মঈন খানের করা বলটাকে কাউ কর্নারের দিকে পাঠিয়েই পড়িমরি করে ১টি রান নিলেন অমিত হাসান। ম্যাচের প্রেক্ষিতে সিলেট বিভাগের অধিনায়কের অত তাড়াহুড়ো করার কোনো দরকারই ছিল। কিন্তু উপলক্ষটা যখন দলকে প্রথমবার জাতীয় লিগে চ্যাম্পিয়ন করার, দেরি করতে কে চায়। অমিতও চাননি। তার ওই সিঙ্গেলেই যে বরিশালের দেওয়া ১০৫ রানের লক্ষ্য ছুঁয়ে প্রথমবারের মতো জাতীয় লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেল সিলেট।
অমিতরা প্রথমবার দেশসেরা হওয়ার স্বাদ পেলেন ঘরের মাঠ সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামেই। আগের দিনই বরিশালকে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪২ রানের অলআউট করে ম্যাচ জিততে ১০৫ রানের লক্ষ্য পায় সিলেট। কাল ব্যাটিংয়ে নামার সুযোগ হয়নি সিলেটের। আজ দলটি লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলল দিনের প্রথম সেশনেই ৫ উইকেট হারিয়ে। চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেল এক ম্যাচ হাতে রেখেই।
সিলেটকে শেষ ম্যাচ পর্যন্ত অপেক্ষায় রাখতে পারত যে দলটি, সেই রংপুর কক্সবাজারে ঢাকা মহানগরের বিপক্ষে জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করতে না পারাতেই মূলত নিশ্চিত হয়ে গেছে সিলেটের শিরোপা। রংপুর মহানগরকে হারালেই শুধু আরও একটি ম্যাচ অপেক্ষা করতে হতো সিলেটকে। কিন্তু ওই ম্যাচটি ড্র হয়েছে। রংপুরের পেসার মেহেদী হাসান ৭ উইকেট নিয়ে মহানগরকে দ্বিতীয় ইনিংসে ১১৮ রানে গুটিয়ে দেওয়ার পরই ড্র মেনে নেয় দুই দল।
কে কত বার চ্যাম্পিয়ন
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আজ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনার চাপেই কিনা ৭ রানের মধ্যেই ফিরে যান সিলেটের দুই ব্যাটসম্যান। ওপেনার তৌফিক খান ও ওয়ানডাউনে নামা মুবিন আহমেদ কোনো রানই করতে পারেননি। আরেক ওপেনার পিনাক ঘোষও ফেরেন দলকে ২৭ রানে রেখে ব্যক্তিগত ১৮ রানে।
সেখান থেকে নাসুম আহমেদকে নিয়ে ৭৭ রানের জুটি গড়ে দলের রানটাকে ১০৪-এ নিয়ে যান অধিনায়ক অমিত হাসান। ১ রান যখন দরকার তখন তিন বলের মধ্যে ফিরে যান ৫২ বলে ৪৪ করা নাসুম ও আসাদুল্লাহ আল গালিব (০)। পরের ওভারে এরপর অমিতের সেই তড়িঘড়ি করে নেওয়া ১ রান ও সিলেটের চ্যাম্পিয়ন হওয়া। অমিত অপরাজিত ছিলেন ৩৮ রানে।
ষষ্ঠ ম্যাচে পাওয়া তৃতীয় জয়ের পর সিলেটের পয়েন্ট ৩৭। এই রাউন্ডে জয় পাওয়া অন্য দুটি দল ঢাকা বিভাগের পয়েন্ট ২৪, খুলনা বিভাগের ২২। ড্র হতে যাওয়া রংপুর-ঢাকা মহানগর ম্যাচ শেষে রংপুরের পয়েন্ট হতে পারে ২৩ ও মহানগরের ২১। তলানির দুই দল দল রাজশাহী ও বরিশালের পয়েন্ট ১০ ও ৪।