ইন্দোরের উইকেটের ‘মানোন্নয়নের’ দাবি বিসিসিআইয়ের
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সামনে আপিল করার জন্য সময় ছিল ১৪ দিন। বোর্ডার–গাভাস্কার ট্রফির ইন্দোর টেস্টের পিচকে আইসিসি ‘বাজে’ রেটিং দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করেছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফোকে মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের এক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকবাজের দাবি, ‘বাজে’ রেটিং থেকে ‘গড়পড়তার নিচে’ রেটিংয়ে নামিয়ে আনার আপিলও করেছে বিসিসিআই। পুরো বিষয়টি এখন আইসিসির দুই সদস্যের একটি প্যানেল আগের সিদ্ধান্তটি পর্যালোচনা করবে। এরপর আগামী ১৪ দিনের মধ্যে তাদের রায় জানাবে।
ইন্দোরে প্রথম ওভার থেকেই স্পিনারদের বলে ছিল বিশাল বাঁক। সঙ্গে ধীরগতি আর নিচু বাউন্স তো ছিলই। সব মিলিয়ে যে ৩১ উইকেট পড়েছে, তার ৩০টিই নিয়েছিলেন স্পিনাররা। স্পিনাররা এমনই আনপ্লেয়েবল হয়ে উঠেছিলেন যে চতুর্থ ইনিংসে মাত্র ৭৬ রানের লক্ষ্য দিয়েও জয়ের আশা করছিল ভারত। ভারতের সেই আশা পূরণ না হলেও মাত্র সোয়া দুই দিনেই শেষ হয়ে যায় টেস্ট।
যে কারণে ম্যাচ শেষে আইসিসির পিচ ও আউটফিল্ড পর্যবেক্ষণের প্রক্রিয়ায় ইন্দোরের উইকেট ‘বাজে’ হিসেবে রেটিং পায়। ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রড খেলা শেষে ম্যাচ অফিশিয়াল ও দুই দলের অধিনায়কের সঙ্গে আলাপ করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এই প্রসঙ্গে ম্যাচ রেফারি বলেছিলেন, ‘পিচ বেশি শুষ্ক ছিল। ব্যাট ও বলের মধ্যে কোনো ভারসাম্য ছিল না। একদম শুরু থেকে স্পিনারদের সাহায্য করেছে।’
সাধারণত ম্যাচ রেফারি উইকেটকে ছয় ধরনের রেটিং দেন। খুব ভালো, ভালো, গড়পড়তা, গড়পড়তার নিচে, বাজে, অযোগ্য। শুধুমাত্র গড়পড়তার নিচে, বাজে, অযোগ্য পিচকেই ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়ে থাকে। গড়পড়তার নিচে রেটিং পেলে ১ ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়।
ইন্দোরের উইকেট পেয়েছিল ৩ ডিমেরিট পয়েন্ট। যে ডিমেরিট পয়েন্ট সক্রিয় থাকবে পাঁচ বছরের জন্য। নিয়ম অনুসারে, এই সময়ে যদি এই উইকেট আরও ২ ডিমেরিট পয়েন্ট পায়, সে ক্ষেত্রে ১২ মাসের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আয়োজনের যোগ্যতা হারাবে ইন্দোর। মূলত এই শাস্তিটাই এড়াতে চাইছে বিসিসিআই। সে জন্যই গড়পড়তার নিচে এই রেটিংটা চাওয়া।
বোর্ডার–গাভাস্কার ট্রফির প্রথম দুই টেস্টও শেষ হয়েছিল তিন দিনের মধ্যে। তবে সেই দুই টেস্টের ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফট দুটি উইকেটকেই গড়পড়তা রেটিং দিয়েছিলেন।
ভারতের কাছে যুক্তি আছে আরও। মূলত বোর্ডার–গাভাস্কার ট্রফির তৃতীয় টেস্ট হওয়ার কথা ছিল ধর্মশালায়। তবে ধর্মশালার উইকেট প্রস্তুত না থাকায় ম্যাচ শুরুর দুই সপ্তাহ আগে ইন্দোরকে ম্যাচ আয়োজনের নোটিশ দেওয়া হয়। যে কারণে উইকেটের প্রস্তুতির জন্য যথেষ্ট সময় পাওয়া যায়নি। দেখা যাক, ভারতের যুক্তি আইসিসি কানে নেয় কি না।