রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে পাঁচ দিনের ওভাল টেস্ট নেমে এসেছিল তিন দিনে। তাই এই টেস্টে ফল পাওয়ার আশাও ছিল সামান্য। তবে দারুণ নৈপুণ্যে তিন দিনের খেলাতেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয় আদায় করে নিয়েছে ইংল্যান্ড।
বৃষ্টি ও রানির মৃত্যুর শোকে প্রথম দুই দিন একটি বলও মাঠে গড়ায়নি ওভালে। তৃতীয় দিন খেলা শুরুর পর উইকেট পড়েছে ১৭টি। চতুর্থ দিন শেষেই নিশ্চিত হয় দক্ষিণ আফ্রিকার হার। আজ পঞ্চম দিনে কেবল জয়ের আনুষ্ঠানিকতাটুকুই সেরেছে ইংলিশরা। এই জয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজও নিজেদের করে নিল ইংল্যান্ড।
জয়ের জন্য ১৩০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে চতুর্থ দিন শেষে জয়ের সুবাস নিয়ে মাঠ ছাড়েন দুই ইংলিশ জ্যাক ক্রলি ও ওলি পোপ। শেষ দিনে জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল মাত্র ৩৩ রান। ১ উইকেট হারিয়ে ঠিকই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ইংলিশরা। লিস ৩৯ রানে ফিরে গেলেও ক্রলি অপরাজিত ছিলেন ৬৯ রানে। ৯ উইকেটের জয় তুলে নেয় বেন স্টোকসের দল।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই বিপর্যয়ে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। ওলি রবিনসন ও স্টুয়ার্ট ব্রডের বোলিংয়ের কোনো জবাবই যেন ছিল না প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানদের। ইংলিশ পেসারদের তোপে মাত্র ১১৮ রানে গুটিয়ে যায় ডিন এলগারের দল। রবিনসন নেন ৫ উইকেট, ৪ উইকেট নেন ব্রড। প্রোটিয়াদের হয়ে মার্কো ইয়ানসেন করেন সর্বোচ্চ ৩০ রান।
নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংটা ভালো হয়নি ইংল্যান্ডেরও। অলি পোপের ৬৭ রান ছাড়া আর কেউই ফিফটির দেখা পাননি। প্রোটিয়াদের হয়ে মার্কো ইয়ানসেন নেন ৫ উইকেট এবং ৪ উইকেট নেন কাগিসো রাবাদা। পরে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬৯ রানে অলআউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা।
লো স্কোরিং এই ম্যাচে প্রোটিয়াদের দেওয়া ১৩০ রানের লক্ষ্য মনে হচ্ছিল বিশাল। তবে সব শঙ্কা উড়িয়ে দুই ওপেনারই জয়ের ভিত গড়ে দেন ইংলিশদের। ৯৭ রানে চতুর্থ দিন শেষ করেন তারা। আর শেষ দিনে ৫.৩ ওভার খেলেই জয় নিশ্চিত করেন স্বাগতিকেরা।
লর্ডসে প্রথম টেস্টে ইনিংস ও ১২ রানে জিতে সিরিজ জয়ের স্বপ্ন দেখেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে ম্যানচেস্টারে দ্বিতীয় টেস্টে ইনিংস ও ৮৫ রানে হেরে যায় তারা। সিরিজ নির্ধারণী ওভাল টেস্টে মাত্র তিন দিনের খেলাতেও শেষ পর্যন্ত হার এড়াতে পারল না তারা। ২-১ ব্যবধানে হারাতে হলো সিরিজও।