মিরপুর টেস্টে প্রথম দিন থেকেই নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ, ব্যাটসম্যানদের পর দাপট দেখিয়েছেন বোলাররাও। চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনেই বাংলাদেশ পেয়েছে বিশাল জয়। এই টেস্ট রেকর্ড বইয়ে জায়গা করে নিয়েছে ভালোভাবেই—
আফগানিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের জয়ের ব্যবধান ৫৪৬ রানের। শুধু রানের হিসাবে (ইনিংস ব্যবধান বাদ দিলে) টেস্ট ইতিহাসের এটি তৃতীয় বৃহত্তম জয়। এ শতাব্দীতে সবচেয়ে বড়।
মিরপুর টেস্টে বাংলাদেশ পেসারদের উইকেট। বাংলাদেশের কোনো টেস্টে যা সর্বোচ্চ। এর আগে এক টেস্টে বাংলাদেশের পেসাররা সর্বোচ্চ ১৩টি উইকেট নিয়েছিলেন গত বছর মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। দেশের মাটিতে এক টেস্টে পেসারদের সর্বোচ্চ উইকেট ছিল ১০টি, ২০০২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চট্টগ্রামে।
দুই ইনিংস মিলিয়ে মাত্র ৪৩২ বল খেলতে পেরেছে আফগানিস্তান। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে যেটি রেকর্ড। এর আগে ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে সর্বনিম্ন ৫৭৬ বলের মধ্যে দুবার অলআউট করেছিল বাংলাদেশ। মিরপুরের সে ম্যাচটি তারা জিতেছিল ইনিংস ও ১৮৪ রানে। সব মিলিয়ে প্রতিপক্ষকে সবচেয়ে কম বলের মধ্যে দুবার অলআউট করে দেওয়ার রেকর্ডটি ইংল্যান্ডের। ১৮৯৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে দুবার অলআউট করতে তাদের লেগেছিল মাত্র ২৪৮ বল।
এই প্রথম বাংলাদেশের বিপক্ষে কোনো দলের একজন ব্যাটসম্যানও কমপক্ষে ৫০ রানের ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হলেন (যেসব ম্যাচে প্রতিপক্ষ দল ব্যাটিং করেছে)। এর আগে সাতবার বাংলাদেশের প্রতিপক্ষের দুই ইনিংস মিলিয়ে একটি করে ফিফটি বা এর বেশি রানের ইনিংসের ঘটনা ছিল।
অধিনায়কত্বের অভিষেকে জয় পাওয়া বাংলাদেশের তৃতীয় অধিনায়ক হলেন লিটন দাস। ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে অধিনায়কত্বের অভিষেকে জয় পেয়েছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। যদিও সে ম্যাচে এক ইনিংস ব্যাটিংয়ের পর ৬.৩ ওভার বোলিং করে চোটের কারণে উঠে গিয়েছিলেন তিনি। ক্যারিয়ারে এরপর আর টেস্টও খেলেননি মাশরাফি। সিরিজের পরের টেস্টে মাশরাফির অনুপস্থিতিতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সাকিব, জিতেছিল বাংলাদেশ। এবার সেই সাকিবের অনুপস্থিতিতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়ে জয়ের স্বাদ পেলেন লিটন।