ধোনির ১১০ মিটার ছক্কাই চেন্নাইয়ের বিদায়ের কারণ
৬ বলে ১৭ রান দরকার—এমন সমীকরণে প্রথম বলেই ছয় হাঁকিয়েছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। যেনতেন ছক্কা নয়, বল রীতিমতো গ্যালারির ছাদে। দূরত্বের হিসাবে ১১০ মিটার। ধোনির বিশাল ওই ছক্কায় প্লে–অফে উঠতে প্রয়োজনীয় রান চলে আসে চেন্নাই সুপার কিংসের নাগালের মধ্যে।
তবে কাল রাতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে লক্ষ্যটা পূরণ করতে পারেনি চেন্নাই। ইয়াশ দয়ালের দ্বিতীয় বলে ধোনি আউট হওয়ার পর অন্যরাও বাকি রান তুলতে পারেননি। নির্ধারিত লক্ষ্য থেকে ১০ রান দূরে থাকায় লিগ পর্ব থেকেই বিদায় হয়ে যায় গতবারের চ্যাম্পিয়নদের, শেষ চারে ওঠে বেঙ্গালুরু।
ম্যাচ শেষে বেঙ্গালুরু অধিনায়কসহ অনেকেই দয়ালের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। ফাফ ডু প্লেসি তো নিজের ম্যাচসেরার পুরস্কারটি দয়ালেরই প্রাপ্য বলে মন্তব্য করেছেন। তবে বেঙ্গালুরুরই উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যান দিনেশ কার্তিকের কথায় মনে হতে পারে, দয়ালের দক্ষতা বিশেষ কাজে দেয়নি। কার্তিকের মতে, চেন্নাই শেষ চারে উঠতে পারেনি ধোনির ছক্কার কারণে।
বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের ম্যাচটিতে বিরাট কোহলিরা প্রথমে ব্যাট করে তোলেন ৫ উইকেটে ২১৮ রান। বেঙ্গালুরুর চেয়ে ২ এগিয়ে থাকায় চেন্নাইয়ের জয় জরুরি ছিল না, দরকার ছিল ২০১ রান, যাতে হারলেও রান রেটে এগিয়ে থাকা যায়। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে শেষ দিকে বল ছিল ভেজা, বোলারদের জন্য গ্রিপ করা কঠিন ছিল।
ওই অবস্থায় ম্যাচের শেষ ওভারে বল হাতে নেন দয়াল।
তাঁর লো ফুল টস প্রথম বলকেই গ্যালারির ছাদে আছড়ে ফেলেন ধোনি। এরপর কীভাবে ম্যাচের মোড় ঘুরে গেছে, খেলা শেষে ড্রেসিংরুমে সেটিই সতীর্থদের কাছে বিশ্লেষণ করেছেন কার্তিক। টাইমস অব ইন্ডিয়ায় কার্তিকের ড্রেসিংরুমের মন্তব্যকে উদ্ধৃত করা হয়েছে এভাবে—‘ম্যাচে সবচেয়ে বড় যে ব্যাপারটি ঘটেছে, সেটি হচ্ছে ধোনির ছক্কা মাঠের বাইরে চলে যাওয়া। ফলে আমরা নতুন একটা বল পেয়েছি, যেটা বোলিংয়ের জন্য আগেরটার চেয়ে ভালো (শুকনো)।’
অপেক্ষাকৃত ভালো বল পাওয়ায় দয়ালের বল গ্রিপিংয়ে নিয়ন্ত্রণ বেড়েছে। আর সেটার ফল তো পরের পাঁচ বলেই দেখা গেছে। দ্বিতীয় বলে স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়ে আউট ১৩ বলে ২৫ রান করা ধোনি। আর শেষ চার বলে শার্দুল ঠাকুর ও রবীন্দ্র জাদেজারা নিতে পারলেন মাত্র ১ রান। চেন্নাইয়ের নাগালে থাকা প্লে–অফ টিকিটটা হাত ফসকে গেল এভাবেই।