২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

লিটন থাকলেন ভারতের অস্বস্তি হয়ে

লিটন দাস অপরাজিত ফিফটি করেছবি: শামসুল হক

লিটন দাসের ফিফটি, নুরুল হাসানের সঙ্গে ঝোড়ো জুটিতে দ্বিতীয় ইনিংসে ১০০ রানের লিড পেরিয়ে গেছে বাংলাদেশ। তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে অবশ্য বাংলাদেশ হারিয়েছে জাকির হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ ও নুরুল হাসানের উইকেট।

তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ এগিয়ে ১০৮ রানে, বাকি ৩ উইকেট। লিডের সংখ্যা আরেকটু বেশি হলে এ সেশন নিয়ে হয়তো শুধু আক্ষেপই করতে হতো ভারতকে! ফিল্ডাররা সুযোগ হারিয়েছেন বেশ কয়েকটি। জীবন পাওয়া লিটন শেষ পর্যন্ত বিরতিতে গেছেন ৫৮ রানে অপরাজিত থেকে। তাঁর সঙ্গী তাসকিন আহমেদ ব্যাটিং করছিলেন ১৮ বলে ১৫ রানে।

মধ্যাহ্নবিরতির পর ইনিংসের ৩৮তম ওভারে জাকিরের নেওয়া সিঙ্গেল লিডে পৌঁছায় বাংলাদেশ। জাকির ফিফটিতে যান উমেশের বলে স্ট্রেইট ড্রাইভে নেওয়া তিন রানে। জাকির ইনিংসে ঠিক দৃঢ় ছিলেন, বলা যাবে না তা। ড্রাইভ যেমন ভালো করেছেন, তেমনি কয়েকটি শট ছিল বেশ ঝুঁকিপূর্ণও।

লিটন–তাসকিনের অষ্টম উইকেট জুটি অবিচ্ছিন্ন ৩৬ রানে
ছবি: শামসুল হক

চট্টগ্রামে চতুর্থ ইনিংসে বেশ লম্বা ইনিংস খেললেও আজ ফিফটির পরপরই ফিরে যান এ বাঁহাতি। উমেশের অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বলে স্ল্যাশ করতে গিয়ে ক্যাচ দেন ডিপ থার্ডম্যানে। মিরাজ বেশিক্ষণ টেকেননি এরপর। অক্ষরকে সুইপ করতে গিয়েছিলেন, তবে লেংথ সে শটের পক্ষে ছিল না মোটেও। কোনো রান না করেই তিনি হন এলবিডব্লু।

আরও পড়ুন

লিটন ও নুরুলের জুটি এরপর হয়ে থেকেছে ‘মরো নাহয় মারো’-এর মতো। আক্রমণাত্মক ছিলেন দুজনই, তবে সুযোগও দিয়েছেন। ৪৪তম ওভারে অক্ষরের বলে স্লিপে দুবার ক্যাচ তোলেন লিটন, তবে নাগাল পাননি কোহলি, দুবারই হয় চার। ২৭ রানে দাঁড়িয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছিলেন নুরুল, এবার গ্লাভসে নিতে পারেননি পন্ত। সে ওভারেই আবার স্লিপে কোহলির দিকে ক্যাচ দিয়েছিলেন। কোহলি দাবি করলেও রিপ্লেতে দেখা গেছে, বল হাতে যাওয়ার আগে মাটিতে পড়েছিল পরিষ্কারভাবেই।

নুরুল অবশ্য সে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। অক্ষরকে সামনে ঝুঁকে খেলার চেষ্টায় ভারসাম্য হারান, ক্রিজে ফেরার আগেই স্টাম্প ভাঙেন পন্ত। লিটনের সঙ্গে তাঁর জুটিই এখন পর্যন্ত হয়ে থেকেছে ইনিংসে সর্বোচ্চ।

উমেশ যাদবের বলে আউট হওয়ার আগে জাকির হাসান করেন ৫১ রান
ছবি: শামসুল হক

লিটন এরপর যে শটে ফিফটিতে গেছেন, সেটিতে আউট হতে পারতেন। তবে স্লিপে আরেকটি সুযোগ হাতছাড়া করেন কোহলি। সে ওভারে অশ্বিনকে চার মেরে কোহলির আক্ষেপ আরও বাড়ান তিনি। পরে অক্ষরকে সুইপ করে মারা চারে বাংলাদেশের লিড পেরিয়ে যায় ১০০ রান।

আজ সকালের সেশনের শুরুটা ছিল ঘটনাবহুল। ওই সময়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওভারে ৫ বলের মধ্যে হয় তিনটি রিভিউ। অশ্বিনের বলে নাজমুলের বিপক্ষে ভারতের রিভিউ ব্যর্থ হয়, ঠিক পরের বলেই ব্যাকফুটে খেলতে গিয়ে ঠিকই এলবিডব্লু হন বাংলাদেশ ওপেনার। তিনিও রিভিউ করেন, তবে কাজে আসেনি তা। পরের ওভারে জাকিরের বিপক্ষে এলবিডব্লুর রিভিউ নেয় ভারত, সেটি পড়েছিল লেগ স্টাম্পের বাইরেই।

আরও পড়ুন

প্রথম ইনিংসে দারুণ ব্যাটিং করা মুমিনুল টেকেননি বেশিক্ষণ। সিরাজকে চার মেরেছিলেন, ঠিক পরের বলেই আউটসাইড-এজড হন। ৯ বল খেলেই ফিরতে হয় তাঁকে।

সাকিব আউট হন উনাদকাটের ক্রিজে পড়ার পর থেমে যাওয়া বলে শরীর থেকে দূরে দাঁড়িয়ে জোরের ওপর পুশ করতে গিয়ে এক্সট্রা কাভারে ক্যাচ দিয়ে। প্রথম ইনিংসের পর আবারও বেশ আলগাভাবে নিজের উইকেট দিয়ে আসেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। উমেশকে দারুণ একটি কাভার ড্রাইভে চার মারলেও অফ স্টাম্পের বাইরে ব্যাট চালানো কাল হয় তাঁর।

গতকাল ও আজ মিলিয়ে টানা ১৪ ওভারের স্পেল করা অশ্বিনের জায়গায় অবশেষে আসেন অক্ষর প্যাটেল। শুরুতে থেকেই চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন, তাঁর দ্বিতীয় ওভারে ব্যাকফুটে গিয়ে ভুল করেন মুশফিকও। আম্পায়ার ক্রিস ব্রাউনের দেওয়া এলবিডব্লুর সিদ্ধান্ত রিভিউ করেছিলেন, তবে বল ট্র্যাকিং দেখিয়েছে, সেটি লাগত লেগ স্টাম্পে।