বিশ্বকাপ কঠিন জেনেও তামিমের ভালো করার আশা
অনেক অপেক্ষার পর শেষ পর্যন্ত ঘোষণা করা হয়েছে ২০২৩ বিশ্বকাপের সূচি। বিশ্বকাপ শুরু হবে ৫ অক্টোবর, তবে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ হবে ৭ অক্টোবর, ধর্মশালায় আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
গ্রুপপর্বে ৯টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ আর এই ম্যাচ নিয়ে আইসিসি ওয়েবসাইটের সঙ্গে কথা বলেছেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়কের মতে, বিশ্বকাপের যে ফরম্যাট, তাতে একটুও স্বস্তির জায়গা নেই।
২০১৯ বিশ্বকাপের মতো এবারও প্রাথমিক পর্বে প্রতিটি দল প্রত্যেকের সঙ্গে খেলব। আফগানিস্তান, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে যোগ হবে বাছাইপর্ব পেরিয়ে আসা দুটি দল। সেই দুটি দল এখনো চূড়ান্ত হয়নি। যে দুই দলই আসুক না কেন, ধারাবাহিকতা ধরে রেখে লম্বা সময় ভালো খেলে যাওয়াটা সব দলের জন্যই চ্যালেঞ্জ। যে কারণে তামিম বলছেন, ‘টুর্নামেন্টের যে ফরম্যাট, তাতে একটুও স্বস্তিতে থাকার সুযোগ নেই। প্রতিটি দলই কঠিন এবং সহজ ম্যাচ বলে কিছু নেই।’
অপ্রত্যাশিত কিছু না ঘটে গেলে অধিনায়ক হিসেবে এটা হবে তামিম ইকবালের প্রথম বিশ্বকাপ। খেলোয়াড় হিসেবে তাঁর বিশ্বকাপ–অভিজ্ঞতা খুব একটা ভালো নয়। ১৬ বছরের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এ পর্যন্ত ৪টি বিশ্বকাপে ২৯ ম্যাচে ২৪.৭৬ রান করেছেন মোট ৭১৮ রান। ৪টি ফিফটি থাকলেও নেই সেঞ্চুরি। তামিম নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই জানেন, এই সংস্করণের বিশ্বকাপ সাদা বলে সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ, ‘এটাই সর্বোচ্চ ইভেন্ট। ওয়ানডে বিশ্বকাপের সঙ্গে কোনোকিছুর তুলনা চলে না; কারণ, সাদা বলে এটাই সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং, যা আপনার ম্যাচ সচেতনতা ও টেম্পারামেন্টের পরীক্ষা নেবে।’
ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ এখন আছে সাত নম্বরে। এ বছর এখন পর্যন্ত ৯টি ওয়ানডে খেলেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে দুটি ম্যাচে কোনো ফল হয়নি। বাকি ৭ ম্যাচের মধ্যে ৫টি জিতেছে বাংলাদেশ। এই ৫ জয়ের ৪টিই আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে, অন্যটিতে প্রতিপক্ষ ছিল ইংল্যান্ড। বিশ্বকাপকে কঠিন মানলেও তামিম নিজের দল নিয়ে ভালো কিছুর আশাই করছেন, ‘বিশ্বকাপে আমাদের দল নিয়ে আশাবাদী। আমরা ওয়ানডেতে খুব ভালো করছি এবং বাছাইপর্বেও নেতৃত্বস্থানীয় দলগুলোর মধ্যে ছিলাম। দলে অভিজ্ঞতা ও প্রতিভার ভালো মিশেল আছে আর কন্ডিশনও আমাদের চেনা।’
এবার বিশ্বকাপ যেহেতু ভারতে, সেখানকার ক্রিকেটপ্রেমীদের সমর্থনও আশা করছেন তামিম, ‘ভারতে খেলা সব সময়ই উপভোগ্য। দুর্দান্ত দর্শক ও দারুণ সব স্টেডিয়াম। সেখানকার ক্রিকেটপ্রেমীদেরও খেলাটি নিয়ে জানাশোনা ভালো। আমরা যখনই সেখানে গিয়েছি, দারুণ সমর্থন পেয়েছি।’