পাকিস্তান সিরিজে মুশতাককে পাচ্ছে বাংলাদেশ, তবে...
গত এপ্রিলে বিসিবির সঙ্গে স্পিন বোলিং কোচ হিসেবে চুক্তি করেন পাকিস্তানের সাবেক লেগ স্পিনার মুশতাক আহমেদ। শুরুতে চুক্তিটা ছিল সদ্য সমাপ্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত। কাজে সন্তুষ্ট হওয়ায় তাঁর সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে যেতে চায় বিসিবি। কিন্তু পরে জানা গেল, ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সঙ্গে নতুন করে চুক্তি করেছেন মুশতাক। যে কারণে আগামী মাসে বাংলাদেশ দলের পাকিস্তান সফরে মুশতাককে পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়।
তবে আজ বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস জানান, আগামী মাসে পাকিস্তান সফরে মুশতাককে পাচ্ছে বাংলাদেশ। বিসিবি কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের জালাল ইউনুস এ নিয়ে বলেছেন, ‘পাকিস্তান সিরিজের মুশতাক আহমেদ অ্যাভেইলেবল (পাওয়া যাবে)।’
কিন্তু এ বছর পরের সিরিজগুলোয় মুশতাককে পাচ্ছে না বিসিবি। জালাল ইউনুস এ নিয়ে বলেছেন, ‘যেহেতু সামনে ওর নিজেরও কিছু প্রোগ্রাম আছে, সে জন্য পারছে না বাকি সিরিজগুলোয় থাকতে। ডিসেম্বর পর্যন্ত সে ব্যস্ত। তবে আমরা জানুয়ারি থেকে চেষ্টা করব তার সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি করার। বলছি না যে করা যাবে। আমরা চেষ্টা করব। এখন পর্যন্ত ইতিবাচক একটা ভাইব পাচ্ছি। দেখা যাক, সামনে কী হয়।’
পাকিস্তান সফরে থাকছেন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানও। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে ব্যস্ত সাকিব চট্টগ্রামে টেস্ট দলের সম্ভাব্য ক্রিকেটারদের প্রস্তুতিতে অংশ নেননি। তবে তাঁকে নিয়েই পাকিস্তান সফরের পরিকল্পনা সাজানো হচ্ছে। জালাল ইউনুস বলেছেন, ‘সে টেস্টে অ্যাভেইলেবল। আমার সঙ্গে, বোর্ডের সঙ্গে, নির্বাচকদের সঙ্গে কথা হয়েছে। সময় যদি না থাকে, সে হয়তো দুবাই থেকে সরাসরি (পাকিস্তানে) চলে যাবে। অথবা তাকে বলা হয়েছে ঢাকায় এসে দলের সঙ্গে দু-এক দিন অনুশীলন করে একসঙ্গে যাওয়ার জন্য। ওকে পাকিস্তান সিরিজে পাওয়া যাবে।’
গত মার্চে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্ট সিরিজ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়া পেসার তাসকিন আহমেদও দিয়েছেন ইতিবাচক খবর। জালাল ইউনুস জানিয়েছেন পাকিস্তান সফরে বিবেচনায় আছেন তিনিও, ‘তাসকিনের কালকে একটা মূল্যায়ন ছিল। ওটা হয়ে গেছে। ওকে বিবেচনা করা হচ্ছে লাল বলের জন্য। এটা নির্বাচকদেরই সিদ্ধান্ত। যখন দল দেবে, তখন আপনারা বুঝতে পারবেন।’
বোর্ড আশাবাদী আরেক ফাস্ট বোলার ইবাদত হোসেনকে নিয়েও। দীর্ঘদিন চোটের কারণে খেলার বাইরে থাকা এই পেসারের দ্রুত মাঠে ফেরা নিয়ে আশাবাদী জালাল ইউনুস, ‘ইবাদত এখনো রিকভার করছে। আমাদের কাছে সবশেষ খবর হচ্ছে, তার সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ আছে। সে ৭০ শতাংশের মতো সুস্থ হয়ে উঠেছে। আশা করি, আগামী দুই মাসের মধ্যে আরও কিছু উন্নতি করবে। এখনো পুনর্বাসনপ্রক্রিয়ার মধ্যেই আছে। রিকভার করুক। তারপর দেখা যাবে।’