ইংল্যান্ডের সিরিজ জয় নিয়ে দ্বিধা নেই স্টোকসের
বেন স্টোকসের মনে কোনো সন্দেহই নেই। তাঁর দল ফিরবেই। হেডিংলির জয়ে অ্যাশেজ সিরিজ ২-১ করে ফেলেছে ইংল্যান্ড। স্টোকস জানিয়ে দিয়েছেন, ইংল্যান্ড জিতবে বাকি দুটি টেস্টেও। এ নিয়ে সন্দেহ তো নেই-ই, এমন ভবিষ্যদ্বাণী অবলীলায় করে ফেলা নিয়ে তাঁর মধ্যে কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্বও নেই।
প্রশ্নটা ছিল ইংল্যান্ডের সিরিজ জয় নিয়ে। স্টোকস সোজাসাপটাই বলে দিয়েছেন, ‘হ্যাঁ, এ নিয়ে আমার মধ্যে কোনো দ্বিধা নেই। আরেকটি অনিশ্চয়তায় ভরা ম্যাচ খেললাম। ভালো লাগছে যে এবার আমরা জিততে পেরেছি এবং আমাদের আশাটা বাঁচিয়ে রাখতে পেরেছি।’
স্টোকসের ভবিষ্যদ্বাণী মিলে গেলে ১৯৩৬-৩৭ মৌসুমের পর অ্যাশেজে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ার পর সিরিজ জিতবে ইংল্যান্ড; স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের অস্ট্রেলিয়ার পর যেটি অ্যাশেজে আর কখনোই কেউ করতে পারেনি।
লর্ডসে ১৫৫ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেও দলকে জেতাতে পারেননি স্টোকস। অসময়ে আউট হয়েছিলেন। হেডিংলিতে অবশ্য রানই পাননি খুব একটা। ১৩ রান করে মিচেল স্টার্কের বলে অ্যালেক্স ক্যারিকে ক্যাচ দিয়েছেন।
তবে স্টোকস না পারলেও ইংল্যান্ডকে এবার চ্যালেঞ্জ জয় করিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব নেন হ্যারি ব্রুক। ডানহাতি এ ব্যাটসম্যান খেলেন ৯৩ বলে ৭৫ রানের ইনিংস। শেষ দিকে ক্রিস ওকস আর মার্ক উডের ২৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটির ভূমিকাও ছিল গুরুত্বপূর্ণ।
হেডিংলি টেস্টে তিনটি পরিবর্তন নিয়ে খেলতে নেমেছিল ইংল্যান্ড। ওকস, উড আর মঈন আলী—দলের জয়ে ভূমিকা তিনজনেরই। স্টোকস আর নির্বাচকেরা এখন নিজেদের পিঠ নিজেরাই চাপড়ে দিতে পারেন তাঁদের এমন সিদ্ধান্তের জন্য, ‘দারুণ ব্যাপার এটি। কোনো খেলোয়াড়কে খেলানোর সিদ্ধান্তের পর যখন তারা দলের সাফল্যে অবদান রাখে, সেটি আসলেই দারুণ। আমরা চাই এভাবেই খেলোয়াড়েরা দলে এসে অবদান রাখুক। তারা আমাদের নিজেদের খেলা দিয়ে নিয়ে যাক দারুণ জায়গায়। যে তিনজনকে হেডিংলিতে খেলানো হয়েছে, তারা সবাই সেটি করেছে।’