যেদিন কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছেড়েছিলেন টেন্ডুলকার
দুই যুগের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে দর্শক-সমর্থকদের আবেগে ভাসিয়েছেন বহুবার। একের পর এক সাফল্যের গল্প লিখে হাসিয়েছেন, সাময়িক অপ্রাপ্তি আর ব্যর্থতায় কাঁদিয়েছেনও।
কিন্তু বছরের পর বছর অপরকে হাসি-আনন্দে মাতিয়ে রাখলেও তিনি নিজে থাকতেন নির্লিপ্ত। বড় মাইলফলক ছোঁয়ার আনন্দ কিংবা সাময়িক ব্যর্থতায় মন খারাপের অভিব্যক্তি চেহারায় ফুটে উঠতে দেখা যেত কমই।
মাঠের ভেতরে আবেগে এমন দৃঢ় বাঁধ দিয়ে রাখা সেই শচীন টেন্ডুলকার জানালেন, একদিন আউট হয়ে কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছেড়েছিলেন তিনি। যে স্মৃতি এখনো তাঁকে নস্টালজিক করে তোলে।
ঘটনাটি অবশ্য তাঁর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকেরও আগের—১৯৮৬ সালের দিকের। পুনের পিওয়াইসি জিমখানা মাঠে সেদিন মুম্বাই অনূর্ধ্ব-১৫ দলের হয়ে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন শচীন।
বুধবার সেই মাঠে ফিরে গিয়ে একটি ভিডিও করেছেন তিনি, যেখানে তুলে ধরেন সাড়ে তিন দশক আগে কোথায় প্যাভিলিয়ন ছিল, কোথায় পিচ ছিল, আর কী ঘটেছিল সেদিন, ‘আমি তখন নন স্ট্রাইকিংয়ে দাঁড়িয়ে, স্ট্রাইকে আমার স্কুলবন্ধু রাহুল গানপুলে।
ও খুব জোরে দৌড়াতে পারত, আমি ততটা না। একটা অফ ড্রাইভ খেলে দুই রানের পর তৃতীয় রানের জন্য দৌড়াল রাহুল; কিন্তু আমি পৌঁছাতে পারলাম না। রানআউট হয়ে গেলাম, রান মাত্র ৪।’
সেদিনের কিশোর শচীন রানআউটটি ঠিক হজম করতে পারেননি, নিজের দুর্বলতায় আউটের পর অসহায় বোধ করছিলেন, ‘ওই রানআউটের কথা আমার এখনো পরিষ্কার মনে আছে।
আউটের পর আমি কাঁদতে কাঁদতে প্যাভিলিয়নে ফিরেছিলাম। আমার তখন প্রচণ্ড খারাপ লাগছিল। প্রথম ম্যাচ, বড় একটা ইনিংস খেলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেটা পারলাম না!’
‘পুনের জিমখানায় নস্টালজিক মুহূর্ত’ শিরোনামে টুইটারে পোস্ট করা ভিডিওতে শচীন যোগ করেন, ‘এই মাঠে ফিরে এলাম ৩৫ বছর পর। এই মুহূর্তে আমি কিছুটা আবেগপ্রবণ হয়ে গেছি।’